ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে আজ থেকে বিশেষ অভিযান

প্রকাশিত: ১০:৫৪, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯

প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে আজ থেকে বিশেষ অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষা এলেই প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ভুয়া প্রশ্নপত্র ছড়ানোর বিষয়টি চলে আসে। তাই এবার প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে সারাদেশে বিশেষ সাঁড়াশি অভিযান শুরু হচ্ছে। শুধু সাঁড়াশি অভিযানই নয়, চালানো হবে আন্ডারকাভার অপারেশন। র‌্যাব, পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা এই অভিযান শুরু করছে। এবার যার হাতেই প্রশ্নপত্র পাওয়া যাবে, তাকেই গ্রেফতার করা হবে। এক্ষেত্রে কে শিক্ষক, কে অভিভাবক আর কে ছাত্র, তা দেখা হবে না। ভুয়া প্রশ্নপত্র বা ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রসহ কোন ছাত্রও গ্রেফতার হলে, তার প্রতি কোন প্রকার মানবিকতা দেখানো হবে না। কারণ যে শিক্ষক, অভিভাবক বা ছাত্র ভুয়া প্রশ্নপত্র বা ফাঁস করা প্রশ্নপত্র এবং এর সুবিধা নেয়ার মতো মারাত্মক অপরাধে জড়িত থাকবে, তার প্রতি মানবিকতা দেখানোর কোন সুযোগ নেই। বুধবার কাওরানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। তিনি আরও বলেন, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। আর ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। প্রতিবারের মতো এবারও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করে নিজ নিজ আসন গ্রহণ করার নির্দেশনা দিয়েছে বোর্ড। পরীক্ষায় যাতে কোনভাবেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে না পারে বা ভুয়া প্রশ্নপত্র ছড়ানোর ঘটনা না ঘটে এজন্য আজ বৃহস্পতিবার থেকেই সারাদেশে বিশেষ অভিযান শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সাইবার দুনিয়ায় নজরদারি চলছে। পাশাপাশি সারাদেশে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। চলছে সাইবার পেট্রোলিং। প্রয়োজনে আন্ডারকাভার অপারেশনও চালানো হবে। ইতোমধ্যেই র‌্যাব কার্যক্রম শুরু করেছে। ২/১ দিনের মধ্যেই ফল পাওয়া যাবে। র‌্যাব প্রধান বলেন, প্রশ্নপত্রের পেছনে দৌড়াদৌড়ি করে কারও লাভ হবে না। কারণ যার কাছেই প্রশ্নপত্র পাওয়া যাবে বা ভুয়া প্রশ্নপত্র দেখা যাবে, তাকেই গ্রেফতার করা হবে। এক্ষেত্রে কে শিক্ষক, কে অভিভাবক আর কে শিক্ষার্থী তা দেখা হবে না। ভুয়া প্রশ্নপত্র বা প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো মারাত্মক অপরাধে যারা জড়িত বা যারা ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র থেকে সুবিধা নিতে চায়, তাদের প্রতি মানবিকতা দেখানোর কোন সুযোগ নেই। কোন শিক্ষার্থী ভুয়া প্রশ্নপত্র বা ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র নিয়ে ধরা পড়লে, তার প্রতিও কোন মানবিকতা দেখানোর সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে কোন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বা পুরো জীবনটাই নষ্ট হয়ে গেলেও র‌্যাবের কিছুই করার নেই। র‌্যাব সদস্যরা প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করবে। অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে র‌্যাব অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করবে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং যেকোন এ্যাপস মনিটরিং করার সক্ষমতা আছে র‌্যাবের। গত বছর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ১২৮ জন গ্রেফতার হয়েছিল। এ বছরও একইভাবে অভিযান চালানো হবে।
×