ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে ভেজাল বিরোধী অভিযান ॥ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

প্রকাশিত: ১২:২৪, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

রাজধানীতে ভেজাল বিরোধী অভিযান ॥ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বিভিন্ন শপিং মল, হোটেল-রেস্তরাঁ ও দোকানপাটে ভেজালবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার একাধিক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে জেল জরিমানার মতো শাস্তি প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে ওজন ও পরিমাপে কারচুপির অপরাধে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকার কসাই বাড়ি ও গাওয়াইয়ের বাজারে বিএসটিআই’র সার্ভিলেন্স টিমের মাধ্যমে ‘ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন-২০১৮’ লঙ্ঘন করায় এ মামলা করা হয়। অভিযুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দক্ষিণ খান এলাকার কসাই বাড়ি বাজারের মেসার্স আজোয়া কেক এ্যান্ড মিষ্টির দোকানে বাটারবন পণ্যের মোড়কে ওজন ও মূল্য, কেক পণ্যের প্যাকেটে পণ্যের নাম, ওজন, উৎপাদনকারীর নাম ও ঠিকানা উল্লেখ না থাকায় মামলা করে বিএসটিআই। বিএসটিআই’র সার্ভিলেন্স টিম গাওয়াইয়ের বাজার এলাকার কিবরিয়া এন্টারপ্রাইজ তেলের দোকানে জ্বালানি তেল পরিমাপে কম পায়। সেই সঙ্গে পরিমাপক যন্ত্রপাতির ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট না থাকার প্রমাণ পায়। সে কারণে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিএসটিআই। একই এলাকার টাঙ্গাইল সুইটস’র দোকানে পরিমাপক যন্ত্রের ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট না থাকার প্রমাণ পায় সার্ভিলেন্স টিম। এছাড়া এল কে প্লাজার মেসার্স ঢাকা জুয়েলার্স ও হিয়ামনি জুয়েলারির দোকানে ডিজিটাল স্কেলের ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট না থাকা ও ক্যাশ মেমোতে ভরি, আনা, রতির উল্লেখ পায় বিএসটিআই’র টিম। এতে ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন লঙ্ঘিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। বিএসটিআই’র এ অভিযানে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মোঃ রেজাউল করিমের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক মোঃ মোন্নাফ হোসেন, পরিদর্শক মোঃ লিয়াকত হোসেন ও মোঃ বিলাল হোসেন অংশ নেন। এদিকে বসুন্ধরা সিটির ফুড কোর্টে ভেজাল খাদ্যবিরোধী অভিযানে ৫টি রেস্তোরাঁকে সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়া ১৪টি রেস্টুরেন্টকে ৩২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নিম্নমানের মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং খাবারে কাপড়ের রঙ মেশানোর দায়ে এসব রেস্টুরেন্টকে সীলগালা ও জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার রাত এগারোটায় পান্থপথে বসুন্ধরা সিটির আটতলার খাবারের দোকানগুলোতে এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। তার সঙ্গে ছিলেন বিএসটিআইয়ের ফিল্ড অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম, ডিএনসিসির নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক আবদুস সালাম মৃধা ও আবদুল খালেক মজুমদার। অভিযানে মিডনাইট সান, ঢাকাইয়া নাইনটি সিক্স, ইন্ডিয়ান হট মাসালা, এলএফসি স্পাইসি ডোসা ও কড়াই গোসত নামে পাঁচ রেস্টুরেন্টকে সিলগালা করা হয়। এছাড়া মিডনাইট সানকে ৫ লাখ টাকা, ঢাকাইয়া নাইনটি সিক্সকে ৩ লাখ টাকা, মোঘল দরবারকে ৩ লাখ টাকা, ইন্ডিয়ান হট মাসালাকে ৩ লাখ টাকা, দিল্লি স্পাইশিকে ৩ লাখ টাকা, ইন্ডিয়ান দরবারকে ৩ লাখ টাকা, স্পাইসি ডোসাকে ৩ লাখ টাকা, ইন্ডিয়ান হান্ডিকে ১ লাখ টাকা, কাবালা সী ফুডকে ১ লাখ টাকা, কোরিয়ান ক্লোজিকে ১ লাখ টাকা, ডোসা কিংকে ৩ লাখ টাকা, বিএফসিকে ১ লাখ টাকা, টাংগি এ্যান্ড টমিকে ১ লাখ টাকা এবং দিল্লী দরবারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ বিষয়ে মঙ্গলবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, বসুন্ধরা সিটির শপিং মলের ফুড কোর্টের মতো জায়গায় খাবারের সঙ্গে যে রং মেশানো হচ্ছে তা কাপড়ের রং, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এ সব রং ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, কিডনি ড্যামেজসহ নানা রোগের কারণ হতে পারে।
×