ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রুবেল রহমান

এক ফুটবলপ্রেমীর সংগ্রাম-চ্যালেঞ্জ ও পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

এক ফুটবলপ্রেমীর সংগ্রাম-চ্যালেঞ্জ ও পরিকল্পনা

শত ব্যস্ততার মাঝেও ফুটবলই তার ধ্যান-জ্ঞান। নিজের অর্থে তৈরি করেছেন একটি বড় দল। ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে বড় আয়োজন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (পেশাদার লীগ) আরও একটি শীর্ষ দলের উর্ধতন কর্মকর্তাও তিনি। গত মৌসুমে চতুর্থ স্থান পাওয়া তারকা সমৃদ্ধ সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের চেয়ারম্যান আর চট্রগ্রাম আবাহনীর ফুটবল কমিটিরও চেয়ারম্যান তিনি। বলা যায় একাধারে দুটি শিরোপা প্রত্যাশী দলের বড় পৃষ্ঠপোষক তিনি। ফুটবলপ্রেমী হিসেবে কেবল ক্লাব নিয়েই নয়, গোটা দেশের ফুটবলের খোলনলচে পরিবর্তনের বিরাট পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছেন তিনি। দেশের ফুটবলের ভাগ্য নিয়ন্তা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন যা পারেনি, সেটা করে দেখিয়ে দিতে চান। সন্দেহ নেই বিরাট চ্যালেঞ্জ। আর এ লড়াইয়ে জয়ী হতে বদ্ধপরিকর তিনি। ফুটবল নিবেদিতপ্রাণ এই সংগঠক হচ্ছেন তরফদার মোঃ রুহুল আমিন। সাফল্যের জন্য শুধু ভাল দলই যথেষ্ট নয়। দলকে উজ্জীবিত রাখার পাশাপাশি সঠিক পরিকল্পনাও প্রয়োজন। ফুটবলের নারী-নক্ষত্র সবই তরফদার রুহুল আমিনের জানা। এই অভিজ্ঞতা থেকেই ব্যবসায়িক, পারিবারিক ব্যস্ততা সত্ত্বেও ক্যাম্পে গিয়ে ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনা করেন। নিয়মিত কথা বলেন কোচিং স্টাফদের সঙ্গে। দলের কর্নধারকে কাছে পেয়ে অনুপ্রাণিত হন ফুটবলাররা। গোটা দশের ফুটবলের সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাফুফের বর্তমান কমিটি দীর্ঘ ১০ বছর দায়িত্বে থেকে একটা ভাল মানের জাতীয় দল গঠন করতে পারেননি। এরচেয়ে ব্যর্থতা আর কি হতে পারে। ফুটবল এখন ঢাকা কেন্দ্রিক। সারা দেশে বাফুফের অধীনে নিয়মিত লীগ হয় না। এতে ক্ষতি হচ্ছে দেশের ফুটবলের। গোটা দেশের লীগ চাঙ্গা করতে না পারলে কোনদিনই ফুটবলের উন্নতি হবে না। নিয়মিত বয়সভিত্তিক ফুটবলের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। যার মাধ্যমে প্রতিভাবান ফুটবলার বেড় করা সম্ভব। এটা ফের চালু না করলে খেলোয়াড় তৈরি পাইপলাইনে যে জ্যাম লেগে গেছে তা ছুটানো সম্ভব নয়। ফলে প্রতিভাবান খেলোয়াড় পাওয়া যাবে না। ভাল মানের ফুটবলার না থাকলে মানসম্পন্ন জাতীয় গঠন করা কঠিন। রুহুল আমিন বললেন, বাফুফের ব্যর্থতা, বর্তমান উদ্দেশ্যহীন কর্মকা- ফুটবলের অগ্রগতির জন্য মোটেও যথেষ্ট নয়। ফুটবল ভালবাসী বিধায় বাফুফের দায়িত্ব আমরা কাঁধে নিয়েছি। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট ও নিয়মিত জেলা লীগ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছি। ফুটবলের উন্নতির জন্য সারা দেশের খ্যাতিমান সংগঠকদের নিয়ে গঠন করেছি বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এ্যাসোয়িশেন (বিডিডিএফএ)। গঠিত হয়েছে ঢাকার সংগঠকদের বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব এ্যাসোসিয়েশন। মুখ্য উদ্দেশ্য ঢাকার সব ধরনের লিগ সচল করা। ইতোমধ্যে বেশকিছু জেলায় আমরা লীগ সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। অচিরেই শুরু হবে যুবাদের নিয়ে দেশব্যাপী ফুটবল টুর্নামেন্ট। দেশের ফুটবল তখনই সফল বলা যাবে যখন দেখা যাবে পুরুষ জাতীয় দল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রত্যাশিত নৈপুণ্য প্রদর্শন করছে। কিন্তু বিগত এক দশকে উন্নতির পরিবর্তে ব্যর্থতার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে দেশের পুরুষ ফুটবল। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি সালাউদ্দিন ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে যা করতে পারেননি, আমি তার অর্ধেকেরও কম সময়ে দেশের ফুটবল এগিয়ে নিতে পারব। বিশিষ্ট শিল্পপতি তরফদার রুহুল আমিন বললেন, ফুটবলে অনেক টাকা দিয়েছি, স্পন্সর করেছি। কিন্তু এই অর্থ সঠিক কাজে ব্যবহার হয়নি। তাই নতুন সংগঠক (বিডিডিএফ) গঠনের মধ্যে দিয়ে ফুটবলপ্রিয় নিষ্ঠাবান সংগঠকদের নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আশা করি আমরা সফল হবই। আমরা দেশের সমস্ত বিভাগ, জেলা ও ক্লাব সংগঠক, সাবেক তারকা ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আগামী দিনে ফুটবলের অগ্রগতির মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জঙ্গীবাদমুক্ত দেশ গঠনের উদ্যোগ এগিয়ে যাবেন। পুরুষ ফুটবলে বাংলাদেশের র‌্যাঙ্কিং ১৯২। অর্থাৎ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ৯০ র‌্যাঙ্কিংয়ে উঠে এসেছে। তারা পারলে আমরা পারব না কেন? বাফুফের বর্তমান কমিটির অযোগ্যতার কারণেই ফুটবলে এই দৈন্যদশা। কাজেই ক্রীড়ানুরাগী হিসেবে আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না। হ বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব এ্যাসোসিয়েশন দেশের ফুটবল উন্নয়নের বৃহত্তর লক্ষ্যে ও একই সঙ্গে কাজ করার জন্য গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব এ্যাসোসিয়েশন। সম্প্রতি ঢাকার প্রিমিয়ার লীগ, চ্যাম্পিয়নশিপ লীগ, সিনিয়র ডিভিশন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের ৫৭টি ক্লাবের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গঠিত হয় বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব এ্যাসোসিয়েশন। নবগঠিত বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিশিষ্ট ফুটবল সংগঠক তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন। আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সভাপতি মমিনুল হক সাঈদকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন প্রতিনিধিরা। ক্লাব প্রতিনিধিদের স্বতঃস্ফূর্ত মিলনমেলায় উঠে আসে ফুটবলে পরিবর্তনের ডাক। তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ‘ফুটবলে বর্তমানে পরিচ্ছন্নতা ও শৃঙ্খলার বড়ই অভাব। ফুটবল উন্নয়নের সকল উপাদান আজ নিম্নমুখী। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ফুটবলকে বাণিজ্যিকভাবে ও খেলার মাঠে কোনদিকেই উন্নতি করতে পারেনি। আজ ফুটবলে নেমে এসেছে একরাশ অন্ধকার। এই ক্লাব এ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে ফুটবলের পরিবর্তনের ধারা শুরু হলো। বাংলাদেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে আমরা বদ্ধপরিকর। তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন তার প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগ দলগুলোর জন্য পাঁচ লাখ, সিনিয়র ডিভিশনের জন্য সাড়ে তিন লাখ, দ্বিতীয় বিভাগ আড়াই লাখ ও তৃতীয় বিভাগের দলগুলোকে দুই লাখ টাকা দেবার ঘোষণা দেন। এছাড়া ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন এবং নবগঠিত বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব এ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি নিয়ে কক্সবাজারে একটি ফুটবল মহাসম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। হ বাফুফেতে পরিবর্তনের বিকল্প নেই স্পন্সর তরফদার মোঃ রহুল আমিন বলেন খাদের কিনারা থেকে ফুটবলকে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দিতে যোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই। আর এই যোগ্য নেতৃত্বের অভাব দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা বাফুফেতে। দেশের ক্রীড়াপ্রেমী তথা ফুটবলপ্রিয় মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। এটা এখন সময়ের দাবি। বিডিডিএফএয়ের আয়োজনে সারাদেশে চলমান বিভিন্ন জেলা লীগগুলোর পর্যালোচনা করা হয়। সাইফ পাওয়াটেকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বিডিডিএফএয়ের উদ্যোগে দেশের ৪০ জেলায় ফুটবল লীগ সমাপ্ত হওয়ায় এটি একটি বড় অর্জন বলে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। বিডিডিএফএয়ের নতুন আয়োজন দেশের আট বিভাগীয় অনুর্ধ-২০ দল নিয়ে প্রস্তাবিত শেখ কামাল অনুর্ধ-২০ ফুটবল টুর্নামেন্ট ও এই টুর্নামেন্টের জন্য জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে দল গঠন, প্রশিক্ষণ ও ভেন্যু নির্বাচনের আলোচনা হয় সভায়। যে কথা সেই কাজ। টুর্নামেন্ট শুরু করতে বিভাগীয় পর্যায়ের দল গঠনে ফুটবলার বাছাই কার্যক্রম সুচারুভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন রুহুল আমিন। চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে যাত্রা শুরু হবে এ টুর্নামেন্টের প্রাথমিক পর্যায়ের খেলা। প্রাথমিকভাবে বিভাগীয় পর্যায়ে ২৫ সদস্যের একটি দল গঠন করে দলটিকে ৪৫ দিন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রতি বিভাগের এ দলটিই আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য (প্রস্তাবিত) শেখ কামাল অনুর্ধ-২০ ফুটবল টুর্নামেন্ট হোম এ্যান্ড এ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলবে। খেলোয়াড় বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত রয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় কোচদের একটি প্যানেল। বিডিডিএফএফের মহাসচিব তরফদার মোঃ রুহুল আমিন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নতুন উদ্যোগ দেশের ফুটবলে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে, বিডিডিএফএ আগামীতে দেশের মহিলা ফুটবল নিয়েও কাজ করবে।’ হ বিডিডিএফএ ফুটবলার বাছাই চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয় বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের শেখ কামাল অনুর্ধ-২০ জাতীয় ফুটবলের বিভাগীয় পর্যায়ের দল গঠন প্রক্রিয়া। প্রাথমিক পর্যায়ে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা থেকে আগত ১১০ খেলোয়াড়ের বয়স যাচাই করা হয়। তাদের মধ্য থেকে ২৫ ফুটবলার বাছাই করে ৪৫ দিনব্যাপী আবাসিক ক্যাম্প পরিচালনা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে এ দলটিই শেখ কামাল অনুর্ধ-২০ জাতীয় ফুটবলে চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করবে। রুহুল আমিন বলেন, দেশের ফুটবলে ভিন্নমাত্রা যোগ করবে সাইফ পাওয়ার ব্যাটারি বিডিডিএফএ অনুর্ধ-২০ খেলোয়াড় বাছাই প্রক্রিয়া। এটি অনুর্ধ-২০ ফুটবলারদের জন্য একটি কাঠামো ও প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে, জেলা পর্যায়ে ফুটবলার তৈরির এ ধরনের কার্যক্রম এর আগে নেয়া হয়নি। আমরাই প্রথম শুরু করলাম। আশা করি এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আগামীতে অনেক ভালমানের ফুটবলার উপহার দিতে পারব। যার মাধ্যমে দেশে খেলোয়াড় তৈরির একটা পাইপ লাইন তৈরি করবে। বাফুফের অধীনে বর্তমানে বয়সভিত্তিক কোন প্রশিক্ষণ বা টুুর্নামেন্ট নেই বললেই চলে। ফলে বেরিয়ে আসছে না সম্ভাবনাময় প্রতিভাবান খেলোয়াড়। বিষয়টা ফুটবলের জন্য সুখকর নয়। প্রসঙ্গত তরফদার মোঃ রুহুল আমিন নিজের অর্থে গোটা দেশের ফুটবল সচল করতে বিডিডিএফএ’র মাধ্যমে গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। নতুন গঠিত এই সংগঠনের মাধ্যমে সারাদেশে জেলা ফুটবল লীগ চালুর কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন। যা করতে ব্যর্থ হয়েছে বাফুফে। এবার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে অনুর্ধ-২০ বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। সন্দেহ তার উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। হ ফুটবলে খামখেয়ালিপনার স্থান নেই ফুটবলে খামখেয়ালিপনার স্থান নেই, বরং বাস্তবতাকে স্বীকার করে উন্নয়নের জন্য সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার মাঝেই রয়েছে সাফল্যের চাবি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ফুটবলের এক শীর্ষকর্তার ‘সঠিক পথেই রয়েছে বাংলাদেশের ফুটবল’ শীর্ষক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এমন প্রতিক্রিয়াই ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব তরফদার মোঃ রুহুল আমিন। গত ১১ বছরে এই র‌্যাঙ্কিং শুধু নিচেই নেমেছে, এ সময়কালে বাংলাদেশ জাতীয় দল সর্বমোট ৭৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে জয় ২০টি, ড্র ১৮টি এবং পরাজয় ৪১টিতে। দেশের মানুষ ফুটবল বিমুখ হয়ে পড়েছে, কারণ জাতীয় দলের সাফল্য বলতে কিছু নেই, টানা চারটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ, ফুটবলের বর্ষপঞ্জি কখনই মানা হয় না, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লীগ পুরোপরি অনিয়মিত, এরপরও কেউ যদি বলে ফুটবল সঠিক পথেই রয়েছে তবে তা মেনে নেয়া কোন নিবেদিতপ্রাণ ফুটবলপ্রেমিকের পক্ষে সম্ভব নয়।’ ‘আমার জানা মতে গত ১১ বছরে প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগ হয়েছে চারবার, দ্বিতীয় বিভাগ লীগ হয়েছে মাত্র তিনবার, তৃতীয় বিভাগ লীগ মাঠে গড়িয়েছে চারবার, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগ হয়েছে ছয়বার। এসব লীগ অনিয়মিত হয়ে পড়ায় সৃষ্টি হয়েছে মানসম্পন্ন ফুটবলারের সঙ্কট। ঘরোয়া ফুটবলের শীর্ষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ হয়েছে নয়বার- তবে স্পন্সরশিপ মানি কখনই বাড়েনি কারণ বড় কোম্পনিগুলো ফুটবলে থাকতে চায় না’ যোগ করেন তরফদার মোঃ রুহুল আমিন। গত ১০ বছরে দেশের ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ক্রীড়াক্ষেত্রসহ দেশের সবক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে। ক্রিকেট, ভলিবল, হকি আর্চারিসহ বিভিন্ন খেলায় উন্নতি হয়েছে এবং লাল সবুজের পতাকা বিশ্ব মানচিত্রে দৃশ্যমান হয়েছে। মেয়েদের ফুটবলে উন্নতি হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের কারণে। শুধু এগোয়নি ছেলেদের ফুটবল, এ অবস্থা মেনে নেয়া যায় না। রহুল আমিন বললেন ১২ বছর আগে বাংলাদেশের র‌্যাঙ্ক ছিল ১৩৬। এখন ১৯২। এক বয়সভিত্তিক নারী ফুটবল উন্নয়ন দিয়ে গোটা দেশের ফুটবলের সঙ্গে তুলনা করলে চলবে না। মেয়েদের সাফল্য-অগ্রগতিতে আমরা সন্তুষ্ট। একটা দেশের ফুটবলের মান বিচার করা হয় পুরুষদের সাফল্য দিয়ে। নারীদের দিয়ে নয়। এই পুরুষ ফুটবল এখন খাদের কিনারায়। সঙ্গত কারণে পরিবর্তন প্রয়োজন। পরিবর্তন দরকার ফেডারেশনে।
×