ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিমানবন্দরে ঝটিকা অভিযান

অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ১১:১০, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিমানবন্দরগুলোতে ঝটিকা সফর শুরু করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। মঙ্গলবার সকালে তিনি চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর ও বিকেলে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছেন। দুটোতেই টয়লেট পরিষ্কার, যাত্রী সেবা, বিমানের সময়সূচী ও লাগেজ ডেলিভারি দেয়ার ক্ষেত্রে আরও উন্নতি করার নির্দেশ দেন। যদি কোন যাত্রীর কাছ থেকে ভবিষ্যতে কোন ধরনের অভিযোগ তার কানে যায়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইসমার্শাল নাইম হাসান, মেম্বার (অপস) এয়ার কমডোর মোস্তাফিজুর রহমান ও বিমানের এমডি ক্যাপ্টেন মোসাদ্দিক আহমেদকে নিয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। পরিচালক উইং কমান্ডার সারওয়ার ই জাহান তাদের অভ্যর্থনা জানানোর পর শাহ আমানত বিমানবন্দর সম্পর্কে বিগত এক বছরের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে ব্রিফিং দেন। এ সময় জানান, ২০১৮ সালে এ বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ মোট ১৬ লাখ ৯৩ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেছে। এ সময়ে আমদানি রাজস্ব ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ও রফতানি রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ১ কোাটি ৩৬ লাখ টাকা। ব্রিফিং শেষে অতিথিরা বিমানবন্দরের থাকা মাস্কটগামী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। মন্ত্রী তাদের কোন সমস্যার কথা জানতে চাইলে কয়েক যাত্রী বিমানবন্দরের সার্বিক সেবার মান মোটামুটি সন্তোষজনক বলে অভিমত প্রকাশ করেন। এরপর মন্ত্রী প্রতি বিভাগ ঘুরে টয়লেটে গিয়ে দেখতে পান কিছু ময়লা ও টিস্যু পেপারের অভাব। এখানে দাঁড়িয়ে তিনি এ সমস্যা দূরীকরণের জন্য আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন। এ সময় মাহবুব আলী শাহ আমানত বিমানবন্দরে কার্গো কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ ও মাস্টার প্ল্যান তৈরির পরামর্শ দেন। বিকেলে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেও একইভাবে বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে সরজমিনে পরিদর্শন করেন। বিশেষ করে এরাইভাল বেল্ট এরিয়ায় গিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যা কথা শুনতে চান। তিনি প্রথমেই ১ ও ২নং বেল্টে দাঁড়িয়ে দেখেন ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের যাত্রীদের প্রথম ও শেষ লাগেজ কত মিনিটে ডেলিভারি দেয়া হয়। তখন দেখতে পান মোট ৪৮ মিনিটের মধ্যেই সব লাগেজ ডেলিভারি দেয়া সম্ভব হয়েছে। এ সময় একজন যাত্রীর অভিযোগ ছিল তার লাগেজ সামান্য ভাঙ্গা। মন্ত্রী এর কারণ জানতে চাইলে আর্মড পুলিশের কো-অধিনায়ক আলমগীর শিমুল তাৎক্ষণিক সিসি ক্যামেরায় দেখতে পান ওই লাগেজটা ভাঙ্গা অবস্থায়ই এসেছে ঢাকায়। এ সময় পাশের এরাইভাল ইমিগ্রেশন চেকের সময় দেখতে পান ইমিগ্রেশনের সিল স্বাক্ষর হওয়ার পরও বের হওয়ার মুহূর্তে আরও একটি চেক করার দরুণ যাত্রীর জটলা বাধে। মন্ত্রী তা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। ক’জন যাত্রী যে কোন লাগেজ ডেলিভারি ও ফ্লাইটের সময়সূচী ঠিক রাখার দাবি জানায়। মন্ত্রী তাৎক্ষণিক উপস্থিত বিমান ও সিভিল এভিয়েশনের কর্তাদের এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
×