ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে ফুল চাষ

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

কুড়িগ্রামে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে ফুল চাষ

রাজু মোস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে ফুল চাষ। এতে করে স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ফুল বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে কৃষক। জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ যৌথ উদ্যোগে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ফুল চাষে আগ্রহী করে তুলতে নিয়েছেন নানা পদক্ষেপ। মাঠ দিবসের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করাসহ দিচ্ছে নানা সহায়তা। কুড়িগ্রামে নার্সারি পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে কিছু ফুল চাষ ও চারা উৎপাদন হলেও বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ শুরু হয়েছে জেলায় এবারই প্রথম। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলাসহ, রাজারহাট, ফুলবাড়ী এবং নাগেশ্বরী উপজেলায় কয়েকজন কৃষক বাণিজ্যিকভাবে এ ফুল চাষ শুরু করছেন। এতে করে অন্যান্য ফসলের চেয়ে অল্প সময়ে বেশি লাভ হয়েছেন চাষিরা। তাদের দেখে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অন্যান্য কৃষক। ফুল চাষী রফিকুল জানান, যশোর থেকে আনা রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্র মল্লিকা, ক্যাবেজ, গোলাপের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত গাঁদা, প্রজাপতিসহ বিভিন্ন জাতের উন্নতমানের ফুল চাষ হচ্ছে কুড়িগ্রামে। কৃষক রমজান আলী জানান, চাষের ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যেই স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন চাষীরা। তাদের দেখাদেখি এ অবস্থায় দ্রুতই সাড়া জাগিয়েছে কৃষকদের মাঝে। তারাও ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। রাজারহাটের ছিনাই ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বুলু জানান পরীক্ষামূলকভাবে তার ইউনিয়নের ছিনাই গ্রামে জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুল চাষ সম্প্রসারণে কৃষকদের প্রণোদনাসহ মাঠ দিবসের মাধ্যমে উৎসাহিত করছেন। এবং ফুল চাষের সহায়তা করেছেন কয়েকজন কৃষককে। তারা সফলও হয়েছেন। তাদের দেখাদেখি অনেক কৃষক ফুল চাষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. মোস্তাফিজার রহমান জানান ধান, গম, পাট ও সবজি জাতীয় ফসলের পাশাপাশি জেলায় ফুল চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে একদিকে যেমন লাভবান হবেন কৃষক অন্যদিকে কৃষি অর্থনীতিতে যোগ হবে নতুন মাত্রা। জেলা প্রশাসক, সুলতানা পারভীন জানান এ জেলার মাটি ও আবহাওয়া ফুল চাষের উপযোগী হওয়ায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কৃষকদের ব্যাপক হারে ফুল চাষে আগ্রহী করে বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলা গেলে জেলার অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।
×