ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় সড়কে বিদ্যুতের খুঁটি ॥ প্রশস্তকরণ কাজ বন্ধ

প্রকাশিত: ০৯:১৭, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

নওগাঁয় সড়কে বিদ্যুতের খুঁটি ॥ প্রশস্তকরণ কাজ বন্ধ

বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ ॥ নওগাঁ থেকে রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের ৭৪ কিলোমিটার চার লেন বিশিষ্ট সড়কের প্রশস্তকরণের কাজ চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এর মধ্যে নওগাঁ শহরের প্রায় ১১ কিলোমিটার রাস্তায় বড় বাধা নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) বিদ্যুতের খুঁটি। বিদ্যুতের এসব খুঁটি অপসারণ না করায় রাস্তার কাজ থমকে রয়েছে। গত ২১ জানুয়ারি, ২০১৮ সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে নেসকোকে অর্থ পরিশোধ করা হলেও খুঁটিগুলো অপসারণ না করায় রাস্তায় কার্পেটিং করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রাস্তার মধ্যে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে রাস্তার ধুলোয় পথচারীসহ শহরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল। জানা গেছে, নওগাঁর শহরের পূর্ব বাইপাস ঢাকা মোড় থেকে শহরের মধ্য দিয়ে গত বছরের মার্চ মাসে আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রশস্তকরণ কাজ শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে পরবর্তীতে জেলার অন্যান্য স্থানেও কাজ শুরু হয়। কিন্তু পরে যেসব স্থানে কাজ শুরু হয়েছে, সেগুলোর কাজ এখন প্রায় শেষের পথে। কিন্তু নওগাঁর বাইপাস ঢাকা মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের মধ্য দিয়ে প্রায় ১১ কিলোমিটার রাস্তার কাজ বন্ধ রয়েছে। রাস্তা প্রশস্তকরণসহ দীর্ঘদিন থেকে খোয়া ও পাথরের কাজ শেষ হলেও রাস্তায় নেসকোর বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় বিটুমিনাস কাজ (ওয়ারিং কোর্স/ সার্ফেসিং) শুরু করা যাচ্ছে না। নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হামিদুল হক বলেন, নওগাঁ থেকে রাজশাহী মোট ৭৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ চলছে। এর মধ্যে ১১ কিলোমিটারের মধ্যে নেসকোর বিদ্যুতের খুঁটি আছে। গত বছরের জানুয়ারিতে প্রায় ৮ কোটি টাকা নেসকোকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত খুঁটি অপসারণ করা হয়নি। রাস্তা প্রশস্তকরণে খোয়া ও পাথরের কাজ অনেক আগে শেষ হলেও খুঁটি অপসারণ না হওয়ায় কার্পেটিং কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড নওগাঁ প্রকৌশলী সুব্রত কুমার দাস বলেন, শুধু আমাদের গাফিলতির কারণে কাজটা হচ্ছে না, এটা ঠিক না। আমাদের ৬০ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। তারা সেখানে কাজ করতে পারেন। আমাদের ডিপার্টমেন্ট (বিভাগ) থেকে মালামালের কিছুটা সঙ্কট আছে। যার কারণে পর্যাপ্ত মালামাল বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। এই কারণে কাজের অগ্রগতি হচ্ছে না। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হতে এখনও ২/৩ মাস সময় লাগতে পারে।
×