ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হুয়াহুয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৮:৪৭, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

হুয়াহুয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ

চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের বিরুদ্ধে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন এবং মার্কিন কোম্পানির কাছ থেকে রোবোটিক প্রযুক্তি চুরির অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার মার্কিন বিচার বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে এ অভিযোগ দায়েরের কথা ঘোষণা করেছে। খবর ইয়াহু নিউজ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ দ্বন্দ্ব সামনের দিনগুলোতে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের বাণিজ্য আলোচনাতেও উত্তাপ ছড়াবে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। সোমবার মার্কিন বিচার বিভাগ হুয়াওয়ে ও এর প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝুর বিরুদ্ধে গোপনে একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তেহরানের সঙ্গে ব্যবসা ও এসব তথ্য লুকিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইরান নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে। চীনা এ টেলিকম জায়ান্ট মার্কিন টি-মোবাইল কোম্পানির কাছ থেকে রোবোটিক বিষয়ক প্রযুক্তি চুরি করেছে বলেও আরেকটি অভিযোগে জানিয়েছে তারা। হুয়াওয়ে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ২০১৭ সালেই টি-মোবাইলের সঙ্গে তাদের এ বিষয়ক দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এ প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যে গোপনে ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করছে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল। ২০১২ ও ২০১৩ সালে আলাদা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে রয়টার্সও এ বিষয়ে সন্দেহ উসকে দিয়েছিল। মার্কিন কর্তৃপক্ষের দাবি, সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তেহরানের সঙ্গে ব্যবসা করে যুক্তরাষ্ট্রের ইরান নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনে মেংয়ের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা ছিল। হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেইয়ের মেয়ে মেং অবশ্য শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন। গত বছরের ১ ডিসেম্বর ভ্যাঙ্কুবারে বিমান বদলানোর সময় মেংকে গ্রেফতার করে কানাডার কর্তৃপক্ষ। মেংয়ের গ্রেফতারের ‘বদলা হিসেবে’ চীনা নিরাপত্তারক্ষীরাও এরই মধ্যে অন্তত দুজন কানাডীয় নাগরিককে আটক করেছে বলে খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের। জামিনে মুক্ত মেংয়ের মঙ্গলবার ফের ব্রিটিশ কলাম্বিয়া সুপ্রীমকোর্টে হাজিরা দেয়ার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাকে তাদের কাছে হস্তান্তরে আনুষ্ঠানিক আবেদনও জানিয়েছে বলে কানাডার বিচার মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সিবিসি জানিয়েছে। কানাডার আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বহিঃসমর্পণের অনুরোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে ৩০ দিন সময় পাচ্ছেন কানাডার বিচারমন্ত্রী। তিনি যদি সম্মতি দেন, তাহলে মেংকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে কি হবে না, সে বিষয়ে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সুপ্রীমকোর্টেই ফয়সালা হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে কয়েক সপ্তাহ বা মাসও লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। হুওয়াওয়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোতে ‘গভীর উদ্বেগ’ জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
×