ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দন্ত প্রসঙ্গে ॥ বয়ঃসন্ধিকালে মাড়ির প্রদাহ ও বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ১৩:২০, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯

দন্ত প্রসঙ্গে ॥ বয়ঃসন্ধিকালে মাড়ির প্রদাহ ও বৃদ্ধি

বয়ঃসন্ধিকালে মাড়ির প্রদাহ দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে মাড়ির কোষ বা টিস্যুর বৃদ্ধি ঘটে থাকে হরমোনের তারতম্যের কারণে। মাঝে মাঝে শিশুদের বয়ঃসন্ধিকালের আগে বা বয়ঃসন্ধিকালে পিউবারটি জিনজিভাইটিস বা মাড়ির প্রদাহ দেখা দিতে পারে। এ ধরনের মাড়ির প্রদাহ ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের ক্ষেত্রে আগে দেখা যায়। ছেলে এবং মেয়ে উভয় ক্ষেত্রেই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ প্রদাহ কমে যেতে থাকে। বয়ঃসন্ধিকালে মাড়ির প্রদাহ বা মাড়ির টিস্যুর বৃদ্ধি চোয়ালের সামনের অংশে সীমাবদ্ধ থাকে এবং এটি একটি চোয়ালে দেখা যায়। লিংগুয়াল বা জিহ্বার পাশে মাড়ি টিুস্য সাধারণত আক্রান্ত হতে দেখা যায় না। পিউবারটি জিনজিভাইটিস বা মাড়ির প্রদাহে মুখের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। স্থানীয় প্রদাহ সৃষ্টিকারী কোন কিছু থাকলে তা অপসারণ করতে হবে। দাঁতে যদি কোন ক্ষয় বা ক্যারিজ থাকে তাহলে তা ফিলিং করে নিতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ভিটামিন সি বা এসকরবিক এসিড ৫০০ মি.গ্রাম চার সপ্তাহের জন্য দেয়া যেতে পারে। মাড়ির প্রদাহ অর্থাৎ জিনজিভাইটিস যদি স্থানীয় বা সিস্টেমিক চিকিৎসায় ভাল না হয় তবে সেক্ষেত্রে জিনজাইভোপ্লাস্টি করতে হয়। জিনজাইভোপ্লাস্টি বলতে বোঝায় পুরু ফাইব্রোটিক মার্জিনাল এবং ইন্টারপ্রক্সিমাল মাড়ির অপসারণ যা সার্জারির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। তাই বয়ঃসন্ধিকালে মাড়ির প্রদাহ দেখা দিলে তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় এনে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
×