ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেনে পানি জমা মাথা বড় হওয়া ও মেরুদণ্ডে জন্মগত টিউমার

প্রকাশিত: ১৩:১৯, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯

ব্রেনে পানি জমা মাথা বড় হওয়া ও মেরুদণ্ডে জন্মগত টিউমার

ব্রেনে পানি জমা এবং মাথা বড় হওয়াকে ইংরেজীতে Hydrocephalus বলে। আমাদের ব্রেনের গভীরে ভেন্ট্রিকল নামে এক ধরনের খালি জায়গা আছে। যেখান থেকে ঈঝঋ বা cerebrospinal fluid তৈরি হয়। একদিকে এই পানি যেমন তৈরি হয়, অন্যদিকে উহা রক্তে শোধিত হয়। যার ফলে পূর্ণ বয়স্ক মানুষের মগজে ১৫০ মিলি ঈঝঋ থাকে। প্রতিদিন প্রায় ৪৫০ মি.লি ঈঝঋ তৈরি হয়। বাকি অংশ রক্তে শোষিত হয়। কোন কারণে ঈঝঋ বা ঈবৎবনৎড়ংঢ়রহধষ ভষঁরফ চলার পথে যদি ঞঁসড়ৎ, রক্তক্ষরণ হয় বা জন্মগতভাবে রাস্তা বন্ধ হয় তখন ঐুফৎড়পবঢ়যধষঁং হয়। ঐুফৎড়পবঢ়যধষঁং এর প্রধান কারণ হলো (১) জন্মগতভাবে ঈঝঋ চধঃযধিু বন্ধ থাকা (২) টিউমার ৩। ব্রেন এ রক্ত ক্ষরণ ৪। মেনিনজাইটিস বা ব্রেনের পর্দার প্রদাহ। জন্মগত বা ঐুফৎড়পবঢ়যধষঁং অনেক ক্ষেত্রে প্রতিরোধ যোগ্য। প্রতিরোগুলোর ব্যবস্থা হলো (১) ঈড়হংধহমঁরহড়ঁং সধৎৎরধমব বা রক্তের সম্পর্কের মধ্যে বিবাহ দেয়া বা না করা। ২। সাধারণত ঘবঁৎধষ ঃঁনব গর্ভ অবস্থার ৪ সপ্তাহের মধ্যে তৈরি হয়। ঘবঁৎধষ ঃঁনব থেকে ব্রেন, স্পাইনাল কর্ড এবং স্পাইন তৈরি হয়। ৩। মায়ের ঋড়ষরপ ধপরফ নামক এক ধরনের ভিটামিনের অভাব হলে বাচ্চার ঘবঁৎধষ ঃঁনব ক্রটিপূর্ণ হয়। ঘবঁৎধষ ঃঁনব-এর ফবাবষড়ঢ়সবহঃ ক্রটিপূর্ণ হলে জন্মগত ঐুফৎড়পবঢ়যধষঁং ও মেরুদ-ের জন্মগত টিউমার হয়। হাইড্রোসেফালাস চেনার উপায় হলো বাচ্চার মাথা আস্তে আস্তে বড় হয়। শিশুটি ওৎৎরঃধনষব থাকে। তাছাড়া মেন্টাল রিটার্ডেশন থাকে, কোন সময় রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং খিঁচুনি হয়। তাছাড়া রোগী মাথা ব্যথা, বমি, চোখে ঝাপসা দেখে। ঙপপরঢ়রঃড় ঋৎড়হঃধষ পরৎপঁসভবৎবহপব নরমাল এর চেয়ে বেশি থাকে। তাছাড়া রোগীর স্মৃতি শক্তি কমে আসে। হাটতে গেলে ওসনধষধহপব হয়। ঈঞ ংপধহ ড়ভ নৎধরহ করলে ঈড়হভরৎস হওয়া যায়। চিকিৎসা হলো ঝঁৎমরপধষ (১) Rt. Sided ventriculo peritoneal shunt (২) Endoscopic third ventriculostomy মেরুদ-ের জন্মগত ক্রটি ও টিউমার মেডিকেল টার্মে মেরুদ-ের ক্রটিকে ঝঢ়রহধষ ফুংৎধঢ়যুংস বলে। ঝঢ়রহধষ ফুংৎধঢ়যুংস আবার- তিন প্রকার-১। গুবষড়সবহরহমড়পবষব, ২. গবহরহমড়পবষব, ৩. ঝঢ়রহধ নরভরফধ ড়পপঁষঃধ, ব্রিটেনে প্রতি এক হাজারে দুইজনের এই ক্রটি দেখা যায়। আমাদের দেশে জানামতে সুনির্দিষ্ট কোন জরিপ নেই। কারণ হিসেবে ঋড়ষরপ ধপরফ নামে এক ধরনের ভিটামিনের অভাব। তাছাড়া ঈড়হংধহমঁরহড়ঁং সধৎৎরধমব বা রক্তের সম্পর্কের মধ্যে বিবাহ উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া মা গর্ভের সময়ে যদি ঝড়ফরঁস াধষঢ়ৎড়ধঃব নামে খিঁচুনির ওষুধ খান তা হলেও সন্তানের এই রোগ হতে পাড়ে। প্রতিরোধ : ১। কথায় বলে চৎবাবহঃরড়হ রং নবঃঃবৎ ঃযধহ পঁৎব। যদি মা বাচ্চা নেয়ার ৩ মাস আগে থেকে এবং গর্ভাবস্থায় ঞধন ভড়ষরংড়হ ১টা করে ২ বার খান তা হলে এই রোগের প্রকোপ অনেক কমে যাবে। এই জন্য বাচ্চা নেয়ার আগে দম্পতির ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। ২। বাংলাদেশে ঈড়হংধহমঁরহড়ঁং সধৎৎরধমব বা রক্তের সম্পর্কের বিবাহ প্রথা বেশি। ঈড়হংধহমঁরহড়ঁং সধৎৎরধমব কে নিরুৎসাহিত করলে এই রোগের প্রকোপসহ অনেক মবহবঃরপ ফরংবধংব থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ডাঃ হারাধন দেব নাথ সহযোগী অধ্যাপক, নিউরো সার্জারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ০১৭১১৩৫৪১২০ [email protected]
×