ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাঘের শেষভাগে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ

প্রকাশিত: ১২:২৪, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯

মাঘের শেষভাগে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ

বিডিনিউজ ॥ মাঘ মাসে এসে হঠাৎ দুদিন আবহাওয়া উষ্ণতা ছড়ালেও শীত এখনই কাটছে না। সামনে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহের খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বাংলাদেশে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত শীতের মৌসুম ধরা হয়। এ সময় শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং অন্যান্যস্থানে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকে। মাঘের মধ্যে হঠাৎ করেই গত দুদিন আবহাওয়া উষ্ণ ছিল। সোমবারও টেকনাফে তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠতে দেখা যায়, ঢাকায় তাপমাত্রা উঠেছিল ২৬ ডিগ্রীতে। এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রংপুরের রাজারহাটে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ঢাকায় তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৭ ডিগ্রীর নিচে নামেনি। জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এ বছর মৌসুমের প্রথম দফায় শীত কিছুদিন থাকলেও অনুভূত হয়েছে কম। বাতাসের গতি কম ছিল, কুয়াশা ও সূর্যকিরণও ছিল, সব মিলিয়ে শীতের তীব্রতা কম অনুভূত হয়েছে। তিনি বলেন, গত ৩০ বছরে মাঘ মাসে এমন আবহাওয়া হরহামেশাই ঘটেছে। মাঘ মাসের শীতের এমন আচরণ স্বাভাবিক। বিভিন্ন কারণে অনুভূতি কম হয় বলে মাঘের শীত কম পড়েছে ধারণা হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আবার তাপমাত্রা কমার আভাস দিয়ে কালাম বলেন, এখন উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হাওয়া বেড়েছে, আর্দ্রতা কম, দু-একদিনের মধ্যে রংপুর অঞ্চলে শীত বাড়বে। বুধবারের দিকে উত্তরাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ (১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে) বয়ে যেতে পারে। এ মৌসুমে ২১ ডিসেম্বর থেকে শীত পড়তে শুরু করে, মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। এবার শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। সেদিন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পারদ নেমেছিল ৫ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি এই তেঁতুলিয়াতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ২ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসে, যা বাংলাদেশে রেকর্ড।
×