ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বড় জয়ে জার্মান বুন্দেসলিগায় দুইয়ে বেয়ার্ন মিউনিখ

প্রকাশিত: ১২:০৩, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯

বড় জয়ে জার্মান বুন্দেসলিগায় দুইয়ে বেয়ার্ন মিউনিখ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সম্মিলিত নৈপুর্ণে জার্মান বুন্দেসলিগায় সহজ জয় পেয়েছে বেয়ার্ন মিউনিখ। রবিবার রাতে ঘরের মাঠ মিউনিখের এ্যালিয়েঞ্জ এ্যারানায় বাভারিয়ানরা ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সফরকারী স্টুটগার্টকে। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বেয়ার্ন। বর্তমানে টেবিলের শীর্ষে থাকা বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের থেকে পয়েন্টের ব্যবধান ৬-এ কমিয়ে এনেছে তারা। এ নিয়ে টানা সাত লীগ ম্যাচে জয় পেল বেয়ার্ন। ১৯ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে বেয়ার্নের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে শীর্ষে আছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ৪২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান বেয়ার্নের। এর আগে তলানির দল হ্যানোভারকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ডর্টমুন্ড জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে। ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় বেয়ার্ন। অর্থাৎ পঞ্চম মিনিটে থিয়াগো আলকান্টারার গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। কিন্তু আত্মতুষ্টিতে ভুগতে থাকা বেয়ার্নের বিপক্ষে সমতা ফেরাতে খুব একটা সময় নেয়নি স্টুটগার্ট। ২৬ মিনিটে আনাসটাসিয়স ডোনিসের দূরপাল্লার শটে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে উজ্জীবিত স্টুটগার্ট। বিরতির পর ৫৫ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান জেন্টনারের আত্মঘাতী গোলে আবরও এগিয়ে যায় বেয়ার্ন। ৭১ ও ৮৪ মিনিটে লিয়ন গোরেজকা ও রবার্ট লেভানডোস্কির গোলে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। এর আগে ৬৫ মিনিটে পেনাল্টির সুযোগ নষ্ট করেন পোলিশ তারকা লেভা। ম্যাচের শুরুতে থমাস মুলারের ক্রসে ডি বক্সের ভিতর লেভানডোস্কির বাজে ফিনিশিংয়ে গোল না পেলেও থিয়াগো কোন ভুল করেননি। জোরালো শটে পোস্টের বাম কর্নার দিয়ে বল জালে জড়ালে এগিয়ে যায় বেয়ার্ন। ম্যাচে এগিয়ে গিয়েও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। ২৬ মিনিটে ডোনিস ২৫ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত শটে স্টুটগার্টকে সমতায় ফেরান। বিরতির পর নতুনভাবে খেলায় ফিরে এসে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বেয়ার্ন। বদলি খেলোয়াড় সার্জি গানাবারির হাফভলি জেন্টনারের ডিফ্লেকশনে জালে জড়ালে আত্মঘাতী গোলের লজ্জায় পড়ে সফরকারীরা। নিকোলাস গঞ্জালেসের শট কোনরকমে রুখে দেন বেয়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নিউয়ের। এরপর তার আরেকটি শট পোস্টে লাগলে হতাশ হতে হয় স্টুটগার্টকে। এরপর একইভাবে বেয়ার্নকে হতাশ করেন লেভানডোস্কি। মার্ক-অলিভার কেম্পের সঙ্গে চ্যালেঞ্জে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন পোলিশ এই তারকা। ৭১ মিনিটে অবশ্য গোরেজকা আর কোন ভুল করেননি। জসুয়া কিমিচের পাস থেকে দলকে ৩-১ ব্যবধানের লিড এনে দেন গোরেজকা। ম্যাচ শেষের ছয় মিনিট আগে গোল করে প্রায়শ্চিত্ত করেন লেভানডোস্কি।
×