নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা, ২৮ জানুয়ারি ॥ দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে ওমিদুল ইসলাম (৩৮) নামে এক বাংলাদেশীকে ভারতের অভ্যন্তরে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ওমিদুল ইসলাম দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। সোমবার সকালে নাস্তিপুর সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে সীমান্তের ৮০ নম্বর ১৬-টি খুঁটি বরাবর ১০০ গজ অভ্যন্তরে কলাবাগানের মধ্যে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে মাঠে কাজ করতে আসা কৃষকরা। সে সময় খবর দেয়া হয় বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নকে (বিজিবি)। ঘটনাস্থলে তারা এসে বিএসফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে জানতে পারে, ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতর ওমিদুলের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। খবর পেয়ে নিহত বাংলাদেশী ওমিদুলের মরদেহ ফেরত চেয়ে এদিন সকালেই সীমান্তে পতাকা বৈঠক করেছে বিজিবি-বিএসএফ। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে ফেরত পাওয়া যাবে বলে বিজিবি নিশ্চিত করেছে।
পারষ্ণপুর-মদনা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম জাকারিয়া জানান, নাস্তিপুর গ্রামের কৃষকরা সকালে সীমান্ত সংলগ্ন মাঠে কৃষি কাজ করতে যান। এ সময় বাংলাদেশী সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বিজয়নগর অংশে ওমিদুলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বিজিবি ফাঁড়িতে খবর দেয়। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর দফতরের বিজিবির উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকে করেন।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস জানান, নিহত বাংলাদেশী ওমিদুলের মরদেহ দেখে ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নামে দামুড়হুদা মডেল থানাতে বেশ কয়েকটি মাদক ও চোরাচালানের মামলা রয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: