ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় আওয়ামী লীগের অর্ধশত মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে

প্রকাশিত: ১১:৩৫, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯

খুলনায় আওয়ামী লীগের অর্ধশত মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনায় উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরাই মাঠে সরব রয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধশত। এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হতে যাওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা মনে করছেন মনোনয়ন পেলেই জয় নিশ্চিত। তাই তারা দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতা ও স্থানীয় এমপিদের কাছাকাছি ভিড়তে শুরু করেছেন। সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিতরা চাচ্ছেন উপজেলায় প্রার্থী হতে। মনোনয়নের দৌড়ে থাকা অনেকেই এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুন টাঙিয়ে সবার কাছে দোয়া চাইছেন। অপরদিকে বিএনপি জোট নির্বাচনে যাবে না বলে ঘোষণা দেয়ায় খুলনায় বিএনপির কোন প্রার্থী এখন পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনের মাঠে নেই। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিভাগভিত্তিক ৫ ধাপে পঞ্চম উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, আগামী ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য খুলনা জেলার ৯টি উপজেলা- দিঘলিয়া, কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, রূপসা, তেরখাদা, ফুলতলা, বটিয়াঘাটা ও দাকোপকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধশত। রূপসা উপজেলায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সুজিৎ অধিকারী, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আলী আকবার, আইচগাতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল, শফিকুর রহমান পলাশ, শেখ অলিউর রহমান, মালিক সরোয়ার উদ্দিন, মোস্তফা কামাল মিনা, সরদার আবুল কাসেম ডাবলু, সরদার ফেরদৌস আহমেদ। তেরখাদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রথী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শরফুদ্দীন বিশ্বাস বাচ্চু, ইউপি চেয়ারম্যান এসএম দীন ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান কালু, এস বাদশা মল্লিক, এম আলী আকবার। দিঘলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান খান নজরুল ইসলাম, হায়দার আলী মোড়ল, শেখ মারুফুল ইসলাম, নূর এ আলম সিদ্দীকী মুন্না এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী শেখ হোসেন আলী। বটিয়াঘাটায় আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান, এ্যাডভোকেট নিমাই রায়, এ্যাডভোকেট নব কুমার চক্রবর্তী, ইউপি চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন মন্ডল, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হাদিউজ্জামান হাদী, মোশারেফ হোসেন মুসা, প্রফুল্ল কুমার রায়, দিলীপ কুমার পাল ও শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল। দাকোপ উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসেন ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না। ডুমুরিয়া উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম, গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা সারোয়ার, মোস্তফা কামাল খোকন, শাহনেওয়াজ জোয়ার্দ্দার, সাবেক অতিরিক্ত সচিব সরদার ইলিয়াস হোসেন, সরদার আব্দুল গণি, চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট প্রতাপ চন্দ্র রায়, হুমায়ুন কবির বুলু, গাজী এজাজ আহমেদ, কাজী আলমগীর হোসেন উল্লেখযোগ্য। এ উপজেলায় ওয়ার্কার্স পার্টির সম্ভাব্য চেয়রম্যান প্রার্থী হলেন শেখ সেলিম আখতার স্বপন। ফুলতলা উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা বি এম সালামের নাম শোনা যাচ্ছে। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ওয়ার্কার্স পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী গাজী নওশের আলী। পাইকগাছা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক গাজী মোহাম্মদ আলী, উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রশীদুজ্জামান মোড়ল, আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার ইকবাল মন্টু, কামরুল হাসান টিপু, শেখ আনিসুর রহমান মুক্ত, শেখ আবুল কালাম আযাদ। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ওয়ার্কার্স পার্টিও সম্ভাব্য প্রার্থী শেখ মিজানুর রহমান। কয়রা উপজেলায় আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রর্থী হিসেবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মহসিন রেজা, ইউপি চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের নাম শোনা যাচ্ছে। বাগেরহাট স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট থেকে জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই উপজেলা নির্বাচন নিয়ে হিসাব-নিকাশ শুরু করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এরই জের ধরে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার ও লবিং করছেন। কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় ইতোমধ্যে দৌড়ঝাঁপ ও নিজ পক্ষের নেতাকর্মী নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ১৮ প্রার্থী। সম্ভাব্য এসব প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলের উচ্চপদস্থ নেতাদের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার জন্য লবিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর এ কারণেই কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কারা হচ্ছেন দলীয় মনোনীত প্রার্থী তা নিয়ে এ উপজেলার সর্বত্র চলছে জল্পনা-কল্পনা। এদিকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় রয়েছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম মাহফুজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নকীব নজিবুল হক নজু, মীর ফজলে সাঈদ ডাবলু, জেলা যুবলীগ নেতা মীর জায়েসী আশরাফী জেমস, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আবু বক্কার সিদ্দিক, কচুয়া উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজরা জাহিদুল ইসলাম ও বাধাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কোতয়াল ইলিয়াস আহম্মেদ। ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কচুয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক দিহিদার আলী আহসান সুজন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাজরা ওবায়দুর রেজা সেলিম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিকদার ফিরোজ আহম্মেদ, সাবেক বিআরডিবি চেয়ারম্যান মীর আওসাফুর রহমান মারুফ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপজেলা সভাপতি শেখ সাজ্জাদুল ইসলাম সুমন।
×