ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রস্তাব বাস্তবায়নের আহ্বান বাপার

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯

ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রস্তাব বাস্তবায়নের আহ্বান বাপার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নদী কনভেনশন ১৯৯৭ সালের নিয়ম মেনে নিয়ে সরকারকে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রস্তাব বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আব্দুল মতিন। জাতিসংঘের ৯৭ সালের নিয়মে যদি অনুস্বাক্ষর না করা হয় তাহলে সরকারের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ ব্যর্থ হয়ে যাবে এবং ভারতকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নদী আইন মেনে চলতে এই সরকারের কূটনৈতিক দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বাপার সাধারণ সম্পাদক। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বাপা-বেনের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ ও বাংলাদেশ দায়িত্বশীল উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনে চূড়ান্ত প্রস্তাব প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ডাঃ মতিন বলেন, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়ন করতে সরকারকে নেদারল্যান্ডস সাহায্য করছে। নেদারল্যান্ডস এই বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞ, কিন্তু সরকারকে বুঝতে হবে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে আমাদের জলবায়ুর অনেক পার্থক্য আছে। তাই তাদের প্রস্তাবগুলো আমাদের ভাল করে অনুসন্ধান করে গ্রহণ করতে হবে। আগামী ১০০ বছরের টার্গেট করে ব-দ্বীপ পরিকল্পনাটি তৈরি করা হয়েছে। এই তহবিলের সম্ভাব্য উৎস হিসেবে বাংলাদেশ সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কিত তহবিল বিশেষ করে গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) এবং সরকারী-বেসরকারী (পিপিপি) বিবেচনা করা হয়েছে। দেশের পানিসম্পদ নিয়ে ১০০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনার খসড়া তৈরিতে সহায়তা দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। পরিকল্পনা তৈরির জন্য ৪৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে দেশটি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এখন পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮৮ কোটি টাকা। নেদারল্যান্ডসের সব খালকে নদীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে পানি প্রবাহিত করার পদ্ধতিটি আমাদের গ্রহণ করা উচিত। নদী বাধাগ্রস্ত করে কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত না। সঠিক গবেষণা এবং পরিকল্পনা ছাড়া নদীতে বাঁধ দেয়া যাবে না। এছাড়াও নদীর পানি প্রবাহের গতি ঠিক রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন বাপার সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, সঠিক পরিকল্পনার অভাবে গত ৭০ বছরে ৫০০টি নদী ধ্বংস হয়েছে। ভারত, নেপাল, চীনসহ উজানের দেশগুলোকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে নদীর উপর বাঁধ তৈরি থেকে বিরত রাখতে হবে। কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে ভারতের কাছ থেকে আমরা নদীর পানির সঠিক হিস্যা পাই নাই। আমরা ভারতের কাছ থেকে ট্রানজিট দেয়ার মাধ্যমে অতি সহজেই তিস্তার পানির সঠিক হিস্যা পেতাম, কিন্তু আমরা তা-পাই নাই। তাই এখানে সরকারের চরম ব্যর্থতা আছে। সরকারকে অনুধাবন করতে হবে নদীর নাব্য রক্ষা পেলেই দেশের পরিবেশ ভাল থাকবে। এখনি যদি নদীর নাব্য রক্ষা না করতে পারি তাহলে আমাদের দেশের পরিবেশ মহাবিপর্যয়ের মধ্য পড়বে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নদী রক্ষার্থে অনেক আন্তরিক, কিন্তু সরকার প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ সঠিকভাবে পালন করে না।
×