ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এন্টার্কটিকায় পুরু বরফের নিচে প্রাণের হদিস

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯

এন্টার্কটিকায় পুরু বরফের নিচে প্রাণের হদিস

এন্টার্কটিকায় বরফের পুরু চাঙড়ের তলাতেও প্রাণের জন্ম হতে পারে এবং সেই প্রাণের বিকাশও হতে পারে বলে সম্প্রতি একটি অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। প্রাণ টিকে থাকতে পারে এন্টার্কটিকায় বরফের ১ কিলোমিটার পুরু চাঙড়ের তলায় আলো, বাতাসহীন পরিবেশেও। দক্ষিণ মেরু থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম এন্টার্কটিকায় রয়েছে বেশ কিছু সাব গ্লেসিয়াল লেক বা হ্রদ। মারসার সে রকমই একটি হ্রদ। যেখানে মিলেছে সেই প্রাণের বিরল হদিস। অভিযাত্রী দলের নাম ‘সাব গ্লেসিয়াল এন্টার্কটিক লেকস সায়েন্টিফিক এ্যাকসেস (সালসা)’। তারা মারসার হ্রদের বরফের পুরু আস্তরণ ভেদ করে পৌঁছে গিয়েছিলেন অনেক অনেক নিচে। বিশেষ একটি যন্ত্র ও ক্যামেরার মাধ্যমে। সেখানে তারা দেখেছেন বরফের মধ্যেই রয়েছে পোস্তর মতো ছোট ছোট প্রাণীর অসংখ্য মৃতদেহ। আনন্দবাজার পত্রিকা। মেরু অঞ্চলে বরফের পুরু আস্তরণের নিচে থাকে এই ধরনের লেক বা হ্রদ। বরফের নিচে থাকা এই হ্রদে শীতল পানি তরল অবস্থায় থাকে। বড় হিমবাহ বা গ্লেসিয়ারের নিচে এই ধরনের হ্রদ থাকে বলে একে সাব গ্লেসিয়াল বলে। এন্টার্কটিকা মহাদেশে মারসার হ্রদ, ভোস্তক হ্রদ, হুইলান্স হ্রদের মতো প্রচুর সাব গ্লেসিয়াল হ্রদ আছে। বরফের নিচে প্রাণের সন্ধান পেয়ে ‘সালসা’ অভিযানের সদস্য, নেব্রাস্কা-লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রো প্যালিয়েন্টোলজিস্ট ডেভিড হারউড বলেন, ‘এটা আশাতীত।’ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লেসিয়ার বিশেষজ্ঞ স্লায়েক তুলাজিক বলেন, ‘অনুসন্ধানের এই ফলাফল সত্যিই খুব অবাক করে দিয়েছে আমাদের।’ গবেষকরা বরফের পুরু চাঙড়ের গভীরে যে প্রাণীর মৃতদেহ পেয়েছেন তা দেখতে অনেকটা পোস্তর মতো।
×