ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলার মানুষ যে উদার তার কারণ তাদের সঙ্গে সুর আছে

প্রকাশিত: ১২:২৪, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯

বাংলার মানুষ যে উদার তার কারণ তাদের সঙ্গে সুর আছে

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ সুর এবং রং না থাকলে মানুষ আড়ষ্ট হয়ে যায়। আড়ষ্ঠতা সাধারণত মানুষকে জঙ্গী করে তোলে। এটি মানুষকে উদার দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীতে নিয়ে যেতে পারে। বাংলার মানুষ যে অনেক উদার, অসম্প্রদায়িক ও অনেক মানবিক তার পেছনে মূল কারণ হলো তাদের মাঝে সুর আছে। সুর এবং রং দ্বারা মানবজাতির কখনও কোন অকল্যাণ হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গীত বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত উৎসবের প্রথম দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান এসব কথা বলেন। সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান টুম্পা সমাদ্দারের সভাপতিত্বে এ সময় কলা অনুষদের ডিন ড. আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেন, ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক ড. নিপা চেীধুরী এবং বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের চেয়ারম্যান টুম্পা সমাদ্দার। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘জয় হোক জয় হোক’ গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য আরও বলেন, ভারত এবং বাংলার একটি অসাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো এখানে সুর আছে, রং আছে। রং এবং সুরে ভারত-বাংলা ভরপুর। তাই যখন কোন সঙ্গীত বা নৃত্য পরিবেশন হয়, বাংলার এবং ভারতের মানুষগুলোর হৃদয়ে, মনে এবং প্রাণে এক ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এটি আবহমান বাংলার একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এতে মানুষের সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও মননশীলতা অভিন্ন হয়ে যায়। নারায়ণ চন্দ্র শীল বলেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় সঙ্গীত বিভাগ বাংলাদেশে বেশকিছু শিল্পী সৃষ্টি করতে পেরেছে। তবে আমাদের সঙ্গীত একটি অস্থির সময় পার করছে। রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, লোকগান এসব গানে ফিউশানের নামে একটি কনফিউশন সৃষ্টি করছে। রেডিও চ্যানেলগুলো এই কাজটা বেশি করছে। লোকগীতি কিংবা শাহ আব্দুল করিমের গান ফিউশান হচ্ছে। একটি সৃষ্ট গানের মাঝে অন্য একটি সুর আরোপ করে তারা প্রচার করছে। এতে গানের বাণী ও সুর বিকৃত হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে এই সঙ্গীত উৎসবের আয়োজন তরুণদের আকৃষ্ট করবে বলে মনে করি। এর মাধ্যমে সমাজে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আসবে। সঙ্গীত জগতে অবদান রাখা দুইজন গুণী ব্যক্তিত্বকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা হলেন, ড. অধ্যাপক মৃদুল কান্তি চক্রবর্র্তী, শ্রী মদন গোপাল দাশ। মৃদুল কান্তি চক্রবর্তীর পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন তার স্ত্রী জয়া চক্রবর্তী এবং শ্রী মদন গোপাল দাশের পক্ষে তারই ছেলে অজয় গোপাল দাশ সম্মাননা গ্রহণ করেন। এছাড়া ভাল ফলাফলের পুরস্কার স্বরুপ নিলুফার ইয়াসমিন স্মারক বৃত্তি পান ঊর্মি ঘোষ।
×