ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

টু ক রো খ ব র

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

টু ক রো খ ব র

বাংলাদেশ হচ্ছে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ বিশ্বের তৃতীয় দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এই কথা জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এসডি এশিয়া। ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) উন্নয়নের ধারায় ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের তৃতীয় দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। চলতি বছর শক্তিশালী স্থায়ী বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বেসরকারী খাত ও অভিযোজিত আর্থিক নীতির কারণে চলতি বছরে বাংলাদেশের জিডিপি দাঁড়াবে ৭ দশমিক ৪ শতাংশে। একই প্রতিবেদন বলা হয়, জিডিপি ৮ দশমিক ১ শতাংশ নিয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে সবার আগে থাকছে সুদান। ৭ দশমিক ৬ শতাংশ জিডিপি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে ভারত। বাংলাদেশে দেশীয় মুদ্রার মূল্যহ্রাস ও তেলের উচ্চ দামের কারণে ২০১৮ সালে বাজারে মুদ্রাস্ফীতি দেখা গেলেও চলতি বছর পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির ওপর গুরুত্ব দিয়ে জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের মধ্যে আঞ্চলিক জিডিপি বেড়ে ৫ দশমিক ৪ শতাংশে এবং ২০২০ সালের মধ্যে ৫ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে অতিধনী বৃদ্ধির হারের দিক থেকে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বে প্রথম। আর কিছুদিন আগে ধনী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির হারের দিক থেকেও বাংলাদেশের অবস্থান হয় বিশ্বে তৃতীয়। এই দুটি তথ্যই যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ-এক্সের। সংস্থাটি বলছে, আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশে ধনী মানুষের সংখ্যা ১১ দশমিক ৪ শতাংশ হারে বাড়বে। ঋণ মিলবে সহজ নীতিমালায় ব্যাংকের ঋণ কারা পাবে, এ জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এ নীতিমালায় বলা হয়েছে, ঋণ আবেদন পেলে ব্যাংক ওই গ্রাহকের পরিমাণ ও গুণগত সক্ষমতা মূল্যায়ন করে একটি রেটিং করবে। এই রেটিংয়ে কোন গ্রাহক ৮০-এর বেশি নম্বর পেলে তাকে এক্সিলেন্ট (চমৎকার) ও ৭০–এর বেশি এবং ৮০–এর কম নম্বর পেলে গুড (ভাল) রেটিং পাবে। ‘চমৎকার’ ও ‘ভাল’ রেটিংধারী গ্রাহকেরাই কেবল নতুন ঋণ পাবে। আর ৬০–এর বেশি এবং ৭০–এর কম নম্বর পেলে মার্জিনাল (প্রান্তিক) এবং ৬০–এর নিচে নম্বর পেলে আন–এ্যাকসেপ্টেবল (অগ্রহণযোগ্য) রেটিং দেয়া হবে। ‘প্রান্তিক’ গ্রাহকের ঋণের ক্ষেত্রে অত্যধিক সতর্ক থাকতে হবে ব্যাংকগুলোকে। ‘অগ্রহণযোগ্য’ রেটিংধারী গ্রাহককে কোন পরিস্থিতিতেই নতুন ঋণ দেয়া যাবে না। আগামী জুলাই থেকে কার্যকর হবে এ নীতিমালা। নতুন এই নীতিমালা ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন ফজলে কবির। তিনি বলেন, আগের নীতিমালায় একটি ঋণ ঝুঁকি নিরূপণে একটি টেমপ্লেট ব্যবহার করা হতো। তবে নতুন নীতিমালায় ভিন্ন ভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন টেমপ্লেট রয়েছে। ঋণগ্রহীতা যাতে সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে পারে, সে বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সহযোগিতামূলক ভূমিকা রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর। গ্রাহকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কোন সমস্যা হলো কি-না, সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়ে গবর্নর বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর কেবল ঋণ আদায়ের একমুখী প্রত্যাশা থাকলে চলবে না। গ্রাহকের সুবিধা-অসুবিধাও দেখতে হবে।’ অর্থনীতি ডেস্ক
×