ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঘরে বসে ক্লাস টেস্ট দিতে পারবে শিক্ষার্থীরা!

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

ঘরে বসে ক্লাস টেস্ট দিতে পারবে শিক্ষার্থীরা!

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ শিক্ষার্থীরা এবার ঘরে বসে শ্রেণী টেস্ট দিতে পারবে। পাঠ্যসূচীর আলোকে বোর্ডে সংরক্ষিত প্রশ্নব্যাংকের মাধ্যমে হবে এ টেস্ট পরীক্ষা। শিক্ষা বোর্ডের এ উদ্যোগ শীঘ্রই বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চলছিল প্রশ্নব্যাংককে প্রতিষ্ঠা করানো। প্রশ্নফাঁস বন্ধ, নির্ভুল ও মানসম্মত প্রশ্ন প্রণয়নের লক্ষ্যে তৈরি করা হয় অনলাইন প্রশ্নব্যাংক। যার কার্যক্রমে সারাদেশ থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ড। নানা জল্পনাকল্পনা শেষে প্রশ্নব্যাংকের মাধ্যমে স্কুলে নেয়া হয় এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষা। এবার এ প্রশ্ন ব্যাংককে পুঁজি করে শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে শ্রেণী টেস্ট। যার কাজ গত বছরই শুরু হয়। তবে এটি কোন রুটিন মাফিক কাজ নয়। এটা মূলত বোর্ডের একটি উদ্ভাবন। তাই অন্যান্য কাজের ফাঁকেই বোর্ডের এ উদ্ভাবন বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরও জানান, একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। সাইনআপ করলেই মূল ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারবে। তারপর অনলাইনে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই অনলাইনে দিতে পারবে শ্রেণী টেস্ট। এটা করতে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকে অনলাইন প্রশ্নব্যাংকের ক্লাস টেস্ট অপশনে গিয়ে বিষয় (সাবজেক্ট) পছন্দ করে ক্লিক করে এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। প্রতিবার ১০টি করে প্রশ্ন স্ক্রিনে আসবে। তা দেখে শিক্ষার্থীদের উত্তর দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীরা তাদের দেয়া টেস্টের ফল পাবে। ভুল বা সঠিকের তালিকাও দেখা যাবে স্ক্রিনে। শ্রেণী টেস্টের নাম রাখা হয়েছে মডেল টেস্ট। এর জন্যে প্রচুর প্রশ্ন তৈরির প্রয়োজন। এ কাজের জন্যে তিনি ১০ জেলার বিভিন্ন স্কুলে ঘুরছেন। শিক্ষকদের উদ্যোগী করছেন প্রশ্ন তৈরির জন্যে। কারণ, এ কাজে প্রয়োজন হাজার হাজার প্রশ্ন। তাছাড়া শিক্ষা বোর্ডের এ কার্যক্রমকে সফলভাবে এগিয়ে নিতে বোর্ডের ১০ জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়েও নানা প্রকার সভা করা হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এর কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন মাধব চন্দ্র রুদ্র। শিক্ষা বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী কামাল হোসেন জানান, ক্লাস টেস্ট বা মডেল টেস্টের জন্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগ কাজ করছে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে একটি পাইলট প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। যা বিভিন্ন মেলায় ও বোর্ডের সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে।
×