ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ॥ কাউন্সিলর জখম

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

কিশোরগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ॥ কাউন্সিলর জখম

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ২৬ জানুয়ারি ॥ সন্ত্রাসী হামলায় যুবলীগ নেতা এ কে এম ইউসুফ মনি (৩৮) নিহত হয়েছেন। এ সময় তার ছোট ভাই কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমন (৩৬) গুরুতর আহত হয়েছেন। সন্ত্রাসীরা তাদের বাড়িঘরেও হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। শুক্রবার রাতে শহরের রথখোলায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। নিহত ইউসুফ মনি শহরের আখড়াবাজার এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে। সূত্র জানায়, রথখোলা এলাকার একটি জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রাতে চাপাতি, কিরিচ ও অন্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী পৌর কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তার বড় ভাই যুবলীগ নেতা ইউসুফ মনি তাকে রক্ষা করতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক ইউসুফ মনিকে মৃত ঘোষণা করেন। পৌর কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত ইউসুফ মনির ছোট ভাই এ কে এম. ইউনুস রোমান বলেন, রথখোলা এলাকার একটি বিল্ডিংয়ের মালিকের কাছে কতিপয় চিহ্নিত চাঁদাবাজ চাঁদা দাবি করে আসছিল। প্রায় এক সপ্তাহ আগে তার ছোট ভাই পৌর কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমন বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। কিন্তু চাঁদাবাজরা মীমাংসা না মেনে তার ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার পর শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক জানান, হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশী তৎপরতা চালানো হচ্ছে। হত্যাকা-ের ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
×