ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মাঘেও শীতের দেখা নেই

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

মাঘেও শীতের দেখা নেই

নিখিল মানখিন ॥ মাঘেও শীতের দেখা নেই। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠে গেছে ৩১ ডিগ্রী সেলসিয়াসের ওপরে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ১০ থেকে ১৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। মাঘের ১৩ দিন চলে গেছে। মাঘের বাকিদিনগুলোতে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে তীব্র শীতের পূর্বাভাস নেই। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বয়ে যাবে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে দেশের সর্বত্র তীব্র শীত অনুভূত হবে না। ঢাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এবার তীব্র শীত ছাড়াই মাঘ মাসের বিদায় ঘটবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। মাঘ মাসেও শীত নেই! কনকনে শীত ছাড়াই ১৩ দিন পার করেছে মাঘ মাস। ‘মাঘের শীতে বাঘ পালায়’ প্রবাদটি মিথ্যে হতে চলেছে। এখন পর্যন্ত ‘স্থিতাবস্থা’ বজায় রেখেছে শীত! কয়েকদিনের জন্যে উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় কনকনে শীত অনুভূত হয়েছিল। শীত মৌসুমের এ পর্যন্ত অধিকাংশ সময় মাঝারি ধরনের শীত পড়লেও স্বাভাবিকের কাছেই ঘোরাফেরা করেছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ বছর শীত মৌসুমের গোড়াতেই বারবার হোঁচট খেয়েছে উত্তুরী হাওয়া। ভরা ডিসেম্বরেও শীত-শীত ভাবটা উধাও হওয়ার অবস্থা হয়েছিল। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে শীতের মাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও মানুষের হাড় কাঁপাতে পারেনি। জানুয়ারিতেও পুরো বৈশিষ্ট ফুটিয়ে তুলতে পারেনি শীতকাল ! আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্তমানে তৈরি হয়েছে গুমোট আবহাওয়া। পুরো ব্যাপারটাই শীতের স্বভাববিরুদ্ধ। শীতের স্বাভাবিকতা এবার ধাক্কা খেয়েছে পদে পদে। সূচনা পর্বে দফায় দফায় ঝড়, ঘূর্ণিঝড় তার রাস্তায় কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছিল। অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ ও ডিসেম্বরে ঘূর্ণিঝড় ‘পেথাই’ সৃষ্টি হয়েছিল। তার পরেও মাথা তোলার চেষ্টা করেছিল ঠা-া। তিন-চার দিন ঠা-া ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সেই পথও কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে পশ্চিমা ঝড় আর লঘুচাপ। হিমাচলে যতই বরফ পড়ক ঝড় ও লঘুচাপের দ্বারা ঠা- বাতাসের রুদ্ধ হওয়া পথ এবার আর সরানো সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। অর্থাৎ মাঘের বিদায়ের আগেই শীতকে বিদায় নিতে হচ্ছে বলে মনে করছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, আর ক’দিন পরই বিদায় নেবে জানুয়ারি। মাঘ মাস ইতোমধ্যে ১৩ দিন পার করে দিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। ওই মাসের প্রথমার্ধে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ১টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ওই মাসের প্রথমার্ধে দেশের নদ-নদীর অববাহিকা ও অন্যত্র সকালের দিকে হালকা/ মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা আছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ১/২ দিন বজ্রঝড় হতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সীতাকু-ে ৩১.৭ ও সর্বনিম্ন শ্রীমঙ্গলে ১০. ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। আর ঢাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩০.২ ও ১৫.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
×