ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রলীগ এবারও ডাকসুর নেতৃত্ব দেবে

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

ছাত্রলীগ এবারও ডাকসুর নেতৃত্ব দেবে

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ’৫৪, ’৭১ এর মতো এবারও ছাত্রলীগ বিজয়ী হয়ে ডাকসুকে নেতৃত্ব দেবে বলে প্রত্যাশা করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ। গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালি পূর্ববর্তী এই সমাবেশে তিনি কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, লিয়াকত সিকদার, ইকবাল রহিম এমপি, বাহাদুর ব্যাপারী, ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হুসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী যিনি স্বপ্ন দেখতেন ও স্বপ্ন দেখাতেন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি তার হাত ধরে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা হয়। মূলত ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়েই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার বীজ বপন করেছেন। এ ছাত্রলীগ ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। এ ছাত্রলীগ ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। এ ছাত্রলীগ আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন করেছে। এ ছাত্রলীগ ৬২ শিক্ষা আন্দোলন নেতৃত্ব দিয়েছে। তিনি স্মৃতিচারণ করেন গণঅভ্যুত্থানের দিনগুলোর। তিনি বলেন, এই ছাত্রলীগ ‘৬৯ এর ১৭ জানুয়ারি এই বটতলায় আন্দোলন শুরু করেছিল। ১৭ জানুয়ারি আমরা বটতলায় টেবিল নিয়ে বক্তৃতা করেছিলাম। কিন্তু ২০ জানুয়ারি এত লোক হলো যে ছাদে উঠে বক্তব্য দিতে হলো। বক্তৃতা শেষে মিছিলে আসাদকে গুলি করে হত্যা করা হলো। আসাদের রক্তাক্ত জামাকে পতাকা বানিয়ে আমরা সেদিন শপথ নিয়েছিলাম যে আসাদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। তারপর ২৪ জানুয়ারি হরতালের মধ্যে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয় দাবানলের মতো আগুন জ্বলে উঠে। আইয়ুব খান বলতে বাধ্য হন যে আমি আর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন নিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দুটি; একটি স্বাধীন বাংলাদেশ, আরেকটি ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ দিয়েছেন আর তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত হবে। সমাবেশ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শাহবাগ মোড়-টিএসসি-দোয়েল চত্বর-শহীদ মিনার-ফুলার রোড-ভিসি চত্বর হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়।
×