ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নবনির্বাচিত সাংসদদের কক্সবাজার চেম্বারের সংবর্ধনা

প্রকাশিত: ০৪:০২, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

নবনির্বাচিত সাংসদদের কক্সবাজার চেম্বারের সংবর্ধনা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজার জেলার চারটি সংসদীয় আসনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সংবর্ধনা দিয়েছে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। শুক্রবার রাতে শহরের অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স হলে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত কক্সবাজার এই প্রতিপাদ্যে সংবর্ধিতদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) জাফর আলম, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আশেক উল্লাহ রফিক এবং কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) সাইমুম সরওয়ার কমল। অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত তিন সংসদকে দেয়া হয় সম্মাননা ক্রেস্ট। চেম্বারের সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বহুমাত্রিক পর্যটন সেবা, নগরীর সার্বিক উন্নয়ন ও সর্বস্তরে সেবা নিশ্চিতকরণসহ সরকার কর্তৃক গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন-উদ্যোক্তাদের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ‘ওয়ান স্টপ সেন্টার’ সার্ভিস চালু করা দরকার। এ বিষয়ে জাতীয় সংসদে বক্তব্য উপস্থাপন করতে উপস্থিত সাংসদদের প্রতি অনুরোধ জানান। চেম্বার সভাপতির উত্থাপিত দাবি বাস্তবায়নের জন্য কক্সবাজারে একটি ‘আন্তর্জাতিক মানের ট্রেডসেন্টার’ স্থাপনে প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, কক্সবাজারের উন্নয়নের জন্য দল মত নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পর্যটন নগরী উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করতে হবে। সংবর্ধিত অতিথি এমপি জাফর আলম বলেন, আমরা কক্সবাজারবাসী হতভাগা। বৃহত্তর সমুদ্র সৈকতের মতো সম্পদ পেয়েও কক্সবাজারের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন করতে পারিনি। আওয়ামী লীগ ছাড়া বিগত সরকারগুলো কক্সবাজারের উন্নয়ন নিয়ে ভাবেনি। তেমন কোন দৃশ্যমান পরিকল্পনাও নেয়নি। আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতির নেতৃত্ব দিচ্ছে কক্সবাজার। কক্সবাজারকে নিয়ে সরকারের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক উন্নয়ন কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। সংবর্ধনা সভার আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, কক্সবাজার এখন আগের সেই কক্সবাজার নেই। এখানে সাড়ে চার শতাধিক আবাসিক হোটেল গড়ে উঠেছে। কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাজ শেষের পথে। রেল লাইনের কাজ চলছে। কক্সবাজারকে শিক্ষা নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সেজন্য ট্যুরিজম সেক্টরকে আরও উন্নত করতে হবে। স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে কমল এমপি বলেন, কক্সবাজারের আবাসিক হোটেলগুলোতে অধিকাংশ বহিরাগত কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এখানে স্থানীয়দের চাকরি নগণ্য। আগামী ৬ মাসের মধ্যে ৫০ শতাংশ চাকরি স্থানীয়দের দিতে হোটেল মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এমপি কমল।
×