ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মিন্দানাওয়ে গণভোট, রায় স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

মিন্দানাওয়ে গণভোট, রায় স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে

দক্ষিণ ফিলিপিন্সের একটি মুসলমান অধ্যুষিত এলাকা বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত গণভোটে স্থানীয় লোকজন হ্যাঁ ভোট দিয়েছে। এতে এশিয়ার সবচেয়ে সংঘাতময় অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটিতে শান্তির প্রত্যাশা বাড়ল। ইয়াহু নিউজ। মুসলমান অধ্যুষিত মিন্দানাও স্বায়ত্তশাসিত হওয়ার লক্ষ্যে ৮৫ শতাংশ ভোটার সমর্থন দিয়েছে বলে শুক্রবার রাতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। তিন বছরের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। এর মধ্যে আইনসভা নির্বাচন সম্পন্ন হবে এবং একজন নির্বাহীকে নিযুক্ত করবেন তারা। সোমবারের গণভোটটি তাই ছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ধারাবাহিক সরকারগুলোর মধ্যে এক দশক ধরে চলা সংঘাতময় পরিস্থিতি অবসানের একটি উপায়। যা ওই এলাকার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করেছে। এশিয়ার সবচেয়ে দরিদ্রতম অঞ্চলের মধ্যে মিন্দানাও রয়েছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও উচ্চমাত্রায় বেকারত্বের জন্য অশিক্ষিত যুবকদের দস্যু ও ইসলামী চরমপন্থীদের কাছে এলাকাটি সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে উর্বর ভূমি হিসেবে কাজ করেছে। যারা শান্তি প্রক্রিয়াতে অবহেলার অভিযোগ ও সরকারী দ্বৈত নীতির মাধ্যমে শোষণ করার কথা জানিয়েছিল। আনুমানিক ১৭ লাখ ৪০ হাজার ভোটার ভোট দিয়েছে। নতুন এই অঞ্চলটি এখন বাংসামোরো (মোরোস দেশ) নামে ডাকা হবে। সেখানে এখন বৃহৎ শক্তিগুলো কাজ করবে। পাশাপাশি তারা অর্থ বিনিয়োগও করবে। যা দিয়ে ৫০ লাখ লোকের জন্য অবকাঠামো, স্কুল, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করা হবে। ৬ ফেব্রুয়ারি অপর একটি গণভোট হবে সেখানে। যাতে অন্য এলাকাকে জিজ্ঞাসা করা হবে তারা এতে যোগ দেবে কিনা। কেন্দ্রীয় সরকার এখন প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, পররাষ্ট্র ও আর্থিক নীতি তত্ত্বাবধানের কাজ করবে। শীঘ্রই মোরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্ট (এমআইএলএফ) ক্ষমতা হস্তান্তর কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দেবে। ভাইস প্রেসিডেন্ট নেনি রোবরেডো বলেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে কেন্দ্রীয় সরকার বাংসামোরোর পুনর্গঠনে সহায়তা করবে। যাতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থানীয় সরকারের দায়িত্বশীলতা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি রক্ষা ও সমর্থনে কাজ করতে হবে। এখনও শান্তির জন্য লড়াই শেষ হয়নি। ফিলিপিন্সের জন্য ভোটগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যা দেখে এমআইএলএফ গ্রুপগুলো বিভ্রান্ত হয়েছিল। তারা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অপর সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিলে লড়াই চালাচ্ছিল।
×