ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের সহযোগী রজার স্টোন গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

ট্রাম্পের সহযোগী রজার স্টোন গ্রেফতার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোগী ও মিত্র রজার স্টোনকে ফ্লোরিডায় গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। মার্কিন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা রবার্ট মুলারের রাশিয়া বিষয়ক তদন্তের আওতায় ৭টি অভিযোগে স্টোনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফোর্ট লডারডেল শহরের আদালতে শুক্রবারই তাকে হাজির করার কথা রয়েছে। বিবিসি। রজার স্টোনের বিরুদ্ধে সরকারী কর্ম-প্রক্রিয়ায় বাধ সাধা, মিথ্যা বিবৃতি দেয়া এবং প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য বদলের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলীয় কর্মকর্তাদের ই-মেইল হ্যাকিংয়ের ঘটনায় রাশিয়ার হাত থাকার অভিযোগের সঙ্গে রজারের বিরুদ্ধে আনা ওই অভিযোগগুলোর সংশ্লিষ্টতা আছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচার চালাকালে হ্যাকিং করে হাতিয়ে নেয়া ডেমোক্রেট দলীয় কর্মকর্তাদের ওইসব ই-মেইলের তথ্য-উপাত্ত ফাঁস করেছিল উইকিলিকস ওয়েবসাইট। গোপন নথি ফাঁসের ওই ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করে। শুক্রবার ভোরের আলো না ফুটতেই এফবিআই এজেন্টরা স্টোনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের একজন স্টোনের ঘরের দরজায় টোকা দিয়ে বলেন, ‘এফবিআই...দরজা খুলুন।’ রজার স্টোনের এটর্নি ব্রুস রোগো ‘এত সকালে এভাবে তাকে গ্রেফতার করাটা অদ্ভূত’ বলে মন্তব্য করেছেন। স্টোন যে দোষী নন সে কথা তিনি আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে গিয়েই বলবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এবং ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার আঁতাতের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছেন বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট মুলার। তিনি শুরু থেকেই স্টোনের নির্বাচনী কর্মকা-ের সমালোচনা করে এসেছেন। ওদিকে, স্টোন কয়েকমাস ধরে তদন্তনাধীনে থাকলেও সবসময়ই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে একের পর এক গ্রেফতার হচ্ছেন তার উপদেষ্টারা। সে তালিকায় স্টোনই সর্বশেষ সংযোজন। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী প্রচারণা শিবিরের চেয়ারম্যান জন পোডেস্টা’র ই-মেইলই ছিল হ্যাকারদের টার্গেট। ট্রাম্পের সহযোগী স্টোন এ হ্যাকিংয়ের বিষয়ে আগে থেকেই জানতেন বলে অভিযোগ পোডেস্টার। ই-মেইলগুলো প্রকাশের এক মাসেরও বেশি সময় আগে পোডেস্টাকে নিয়ে এক টুইটে একটি মন্তব্য করেছিলেন স্টোন। ওই মন্তব্যেই হ্যাকিংয়ের ঘটনা সম্পর্কে স্টোনের আগাম জানা থাকার ইঙ্গিত মেলে বলেই মত অনেকের। তবে স্টোন এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং রাশিয়ার এজেন্টদের সঙ্গে কোন যোগাযোগের কথাও জানেন না বলে দাবি করেছেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ই-মেইল প্রকাশের আগে স্টোন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সে সময় এ যোগাযোগকে পুরোপুরি আইনী বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। স্টোনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা কমিটিতে স্টোন উইকিলিক্সের সঙ্গে তার যোগাযোগ সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলেছেন এবং এর কোন রেকর্ডও নেই বলে দাবি করেছেন।
×