ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ছাত্রলীগের ডিজিটাল একাত্তর

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

ছাত্রলীগের ডিজিটাল একাত্তর

॥ দুই ॥ গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিয়ে ছোট একটি আলোচনা করেছিলাম। এবার এই আলোচনার শেষ পর্ব। আমরা যখন ছাত্রলীগ করতে শুরু করি তখন ছাত্রলীগের নিজের কোন অফিস ছিল না। ৬৯-এর গণআন্দোলনের সময় ঢাকার নিউমার্কেট এলাকার ৪২/ক বলাকা ভবনে (বলাকা সিনেমা হল ভবনে) ছাত্রলীগের অফিস স্থাপিত হয়। সেই অফিসটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। স্বাধীন বাংলার পতাকা, ইশতেহার, প্রস্তাবনাসহ দেশটির জন্মের সঙ্গে এই ঠিকানাটি সর্বতোভাবে সম্পৃক্ত। এককালে ছাত্রলীগের নেতা রেজাউল হক মুশতাক জানিয়েছেন যে, ১৯৭১ সালের ৮ মার্চ ৪২/ক বলাকা ভবনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নাম ছাত্রলীগ করা হয়। তার মতে স্বাধীনতার পর এর নামকরণ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করা হয়। ১৯৭২ সালে দুটি আলাদা সম্মেলন করার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগ দ্বি-খ-িত হয়। এক অংশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে, অন্য অংশ পরবর্তী সময় জন্ম নেয়া জাসদের সঙ্গে যুক্ত থাকে। পরবর্তীকালে ছাত্রলীগ আরও টুকরা হয়। জাসদ ও বাসদের সঙ্গে সঙ্গে এই টুকরার সংখ্যা বাড়তে থাকে। খুব সংক্ষেপেও যদি বলা হয় তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসহ ভাষা আান্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনসহ এমন কোন জাতীয় আন্দোলন নেই যাতে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দেয়নি। আমরা বিশ্বের বহু দেশে ছাত্র সমাজের সচেতন ভূমিকার খবর রাখি। তবে কোন দেশের সকল গণমুখী আন্দোলনে একটি ছাত্র সংগঠনের ৭১ বছরের লড়াইয়ের ইতিহাস আমি জানি না। ছাত্রলীগের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততার ইতিহাস যেহেতু স্বাধীনতার আগের সেহেতু এই কথাটি আমি দৃঢ়তার সঙ্গেই বলতে পারি যে, বাংলাদেশের একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হওয়াটা হয়তো সম্ভবই হতো না যদি এর অগ্রসেনা ছাত্রলীগ না হতো। এবার ২০১৮ সালে যখন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তার মাস দুয়েক আগে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে আমার যে আলোচনা হয় তারই ফলশ্রুতিতে এই সংগঠনটিকে নিয়ে আবারও গর্ব করার মতো অবস্থা অনুভব করছি। সেদিন আমি ছাত্রলীগকে ডিজিটাল বাহিনীতে পরিণত করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। পরবর্তী সময় নির্বাচনে আইটি কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে অনুভব করি যে, অন্য সকল নির্বাচনের চাইতে এবারের নির্বাচনটি আলাদা বলেই ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ জরুরী। অন্য নির্বাচনে অন্য সবই ছিল, ডিজিটাল অংশটি ছিল না। অন্যদিকে ডিজিটাল অংশ মানেই বস্তুত দেশের মোট ভোটারের শতকরা প্রায় ৫০ ভাগকে সম্পৃক্ত করা। তাদের কাছে আমাদের কর্মসূচী পৌঁছানো- বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের পাশাপাশি তাদের কাছে দেশটির জন্মের ঠিকানা তুলে ধরা অত্যন্ত জরুরী ছিল। সুখের বিষয় ছিল যে, ছাত্রলীগ ৩০০ আসনেই তাদের সাংগঠনিক সমন্বয় কমিটি গঠন করতে সক্ষম হয়। আমাদের উপ-কমিটি একটি মাত্র কর্মশালার মধ্য দিয়ে পুরো বাংলাদেশের এই সমন্বয়কারীদের সকলকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হই। আমাদের ডিজিটাল বাহিনী গড়ে ওঠে ওদেরকে দিয়ে। ঢাকাসহ দেশের বহু স্থানে আইটি কমিটি ডিজিটাল মাধ্যমে নিজেদের উপস্থাপন করার পাশাপাশি অপপ্রচার প্রতিরোধ করা, মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা, কনটেন্ট তৈরি করা ও ডিজিটাল মিডিয়ার সামগ্রিক ব্যবহারের অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করে। বস্তুত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে সাধারণ তরুণ-তরুণীরাও অনন্য ভূমিকা পালন করেছে। তাদের একটি বড় ভূমিকা ছিল এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অসাধারণ বিজয় অর্জনের পেছনে। খুুব সঙ্গত কারণেই এখন আলোচিত বিষয় হতে হবে যে, সামনের দিনে ছাত্রলীগ কোন্ পথে চলবে। আমরা খুব ভাল করে জানি যে, আমাদের পুরো দেশটাই একটি কৃষিভিত্তিক দেশ থেকে ডিজিটাল যুগে রূপান্তরিত হচ্ছে। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ডিজিটাল রূপান্তরের ঘোষণা প্রদান করেন। যদিও ডিজিটাল রূপান্তরের কাজটি শুরু হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে- ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে এবং তাকেই স্মরণ করতে হবে বাংলাদেশের মহাকাশ যাত্রার মূল ভিত্তি হিসেবে, তথাপি তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে অনন্য অবদানের সূচনা হয় ১৯৯৮/৯৯ সালের বাজেটে শেখ হাসিনা কর্তৃক কম্পিউটারের ওপর থেকে শুল্ক ও বিক্রয় কর এবং ভ্যাট প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে। কেবল শুল্ক প্রত্যাহার নয়, তিনি তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার বিশাল সুযোগ তৈরি করে দিয়ে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের ডিজিটাল যুগের মানবসম্পদে রূপান্তরের সাহসী পদক্ষেপ নেন। এরপর ২০০৯ থেকে ১৮ সময়কালে বস্তুত শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে ওঠে। স্মরণ করতে পারি, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা তরুণদের ডিজিটাল বাংলাদেশ উৎসর্গ করেছিলেন। ১০ বছর পর তিনি যখন আবার ৫ বছরের জন্য সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন তখন একাত্তর বছর বয়সী ছাত্রলীগের দায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে গেছে। এক. ছাত্রলীগের অনুভব করার বিষয় যে, বাংলাদেশটি এখন আর ব্রিটিশ-পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক আমলে নেই। ফলে একটি স্বাধীন দেশের ডিজিটাল রূপান্তরের অগ্রনায়ক ছাত্রলীগকেই হতে হবে। দুই. ছাত্রলীগের প্রচলিত রাজনীতির ধারায় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। রাজনীতির প্রচলিত সভা, সমাবেশ, মিছিলের বাইরে এই সংগঠনটিকে হতে হবে একটি ডিজিটাল সংগঠন। সাংগঠনিক কাঠামো থেকে শুরু করে এর সকল কর্মকা- হতে হবে ডিজিটাল। তিন. ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচী, এর ঘোষণা এবং বাস্তবায়নের ইতিহাস, অর্জন, ভবিষ্যত পরিকল্পনা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ইত্যাদি বিষয়ে নতুন প্রজন্মকে অবহিত করা বা তাদের কাছে সুস্পষ্ট তথ্য তুলে ধরা ছাত্রলীগের একটি বিশেষ দায়িত্ব। চার. আমি তো মনে করি ছাত্রলীগের সকল নেতা-কর্মী, আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীরা স্ব-স্ব সংগঠনের ইতিহাসসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনকাহিনী, তাদের সংগ্রাম অর্জনের ইতিহাস পুরোপুরি জানেন না। ছাত্রলীগের দায়িত্ব হচ্ছে এসব বিষয় দলের ভেতরে ও দেশের সকল জনগণের কাছে তুলে ধরা। যদি কেউ কেবল ছাত্রলীগের ইতিহাস জানেন তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্ম, বিকাশ, অর্জন ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাপক ধারণা পাবেন। পাঁচ. ছাত্রলীগের একটি বড় দায়িত্ব হচ্ছে দেশটির জন্মের ইতিহাস, রাষ্ট্রনীতি, জাতীয়তা, মুজিববাদ ও এর লক্ষ্য সম্পর্কে নিজেরা জানা ও জাতিকে জানানো। বাংলাদেশের অনেক মানুষের ধারণা যে, এই রাষ্ট্রটি পাকিস্তানের শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে জন্মগ্রহণ করে এই কথাটি যেমনি সত্য, তেমনি সত্য যে, কেবল শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি নয়, একটি বাঙালী জাতিসত্তার ভিত্তিতে এই রাষ্ট্রটির জন্ম হয়েছে। ছাত্রলীগের জন্মের সময় এর নামের সঙ্গে মুসলিম শব্দটি ছিল। কিন্তু ৫৫ সালের মাঝেই কেবল ছাত্রলীগ নয়, আওয়ামী লীগের নাম থেকেও মুসলিম শব্দ প্রত্যাহ্যার করা হয়। সেই থেকে আজ অবধি বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ অসাম্প্রদায়িকতার পাশাপাশি বাঙালী জাতিসত্তাকে মূলনীতি হিসেবে ভিত্তি করে সামনে চলে এসেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না বাংলা ভাষার আন্দোলনসহ বাঙালীর সাহিত্য-সংস্কৃতি তথা জাতিসত্তার মূল সৈনিক ছিল ছাত্রলীগ। সাম্প্রতিককালে বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের উত্থানের ফলে একাত্তরের পরাজিত শক্তিদের ষড়যন্ত্র এবং পাকিস্তানীদের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশেও জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতার জন্ম নিতে শুরু করেছে। ছাত্রলীগের দায়িত্ব হবে এই অশুভ চক্রান্তকে সমূলে উৎপাটন করা। এবার শেখ হাসিনা সরকারের তৃতীয় মেয়াদ হচ্ছে সেই কাজটি করার সুবর্ণ সময়। ছয়. বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০০৮, ১৪ ও ১৮ সালের ইশতেহার অনুধাবন করা ও তার প্রতিটি ধারাকে বাস্তবায়ন করার অগ্রণী ভূমিকা ছাত্রলীগকে পালন করতে হবে। সাত. ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করা ও ডিজিটাল মাধ্যমকে সংগঠনের মূল ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা। তাদের এটি বোঝার সময় হচ্ছে যে, লাঙ্গল-জোয়ালের দেশের নীতি-কর্মসূচী ও কর্মপরিকল্পনা ডিজিটাল যুগে অচল। ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্র অবধি সকল স্তরেই এর প্রয়োগ প্রয়োজন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, আইওটি, ব্লক চেইন এবং তার সঙ্গে যুক্ত ৫-জি প্রযুক্তি বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের জন্য বিশাল একটি চ্যালেঞ্জ। এটি একদিকে সম্ভাবনা এবং অন্যদিকে বিশাল চ্যালেঞ্জ। ব্যক্তি জীবনে যেমন এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে, তেমনি করে সমাজ ও রাষ্ট্রে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। আমাদের রাষ্ট্র তৈরির ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ জাতির পিতার অগ্রণী সেনা হিসেবে যেমনি কাজ করেছে, তেমনি এই ছাত্রলীগকেই শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের সৈনিক হতে হবে। এই মুহূর্তে ছাত্রলীগের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হওয়া। আমাদের সময় ডাকসু, চাকসু, রাকসু, ইউকসু ইত্যাদি ছাত্র সংসদসহ কলেজ ছাত্র সংসদগুলোর নির্বাচনও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর প্রধানতম কারণ ছিল যে, নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার পথে আনা, তাদেরকেই মুক্তিযুদ্ধের সৈনিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই ছাত্র সংসদগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব¡ পুরোটাই ডাকসুর ছিল। তবে আমি এটাও বিশ্বাস করি ৭০ দশকের ছাত্র সংসদ ২০১৯ সালের কাছাকাছি ছিল না। এখনকার অবস্থাটি হচ্ছে এই নতুন প্রজন্ম বস্তুত দেশের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম। ৩০ ডিসেম্বর ১৮ তারা সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ৬৯ সালেও আমরা সরকারের পতন ঘটিয়েছিলাম। ৯১ সালেও ছাত্ররাই এরশাদের পতন ঘটিয়েছিল। তবে যে পন্থায় ৬৯ বা ৭১ ঘটেছিল তার বিপরীত প্রান্তে দাঁড়িয়ে সরকারের উন্নয়নে অংশীদার হওয়ার কাজটি হবে এবারের ডাকসুর বা অন্য ছাত্র সংসদগুলোর। আমি বিশ্বাস করি, ছাত্রলীগ ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল ডাকসু নির্বাচনে সফলতার সঙ্গে জয়ী হবে এবং শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। আমরা এখন ওদের দিকেই তাকিয়ে থাকতে চাই। আমাদের মনে আছে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা তার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচী তরুণ প্রজন্মের প্রতি উৎসর্গ করেছিলেন। সেই ঘোষণার এক দশক পরে ছাত্রলীগের নেতৃত্বেই গড়ে উঠতে হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের যোদ্ধাবাহিনী। ১৯ সালে দাঁড়িয়ে আমরা একাত্তর বয়সী ছাত্রলীগের ডিজিটাল রূপান্তর চাই। (সমাপ্ত) ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি ১৯ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান-সম্পাদক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার-এর জনক
×