ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাগুরায় এখনও বেতের কাঠা

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ২৬ জানুয়ারি ২০১৯

মাগুরায় এখনও বেতের কাঠা

মাগুরার গ্রামে এখনও বেতের সের ও কাঠার প্রথা প্রচলন রয়েছে। গ্রামবাসী জিনিস পরিমাপের ক্ষেত্রে বেতের সের ও কাঠার ব্যবহার করে থাকেন। ফলে এই বেত সের ও কাঠা তৈরি করে শতাধিক পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। বিভিন্ন মেলা ও ভাড়ংয়ে বেতের সের ও কাঠা ব্যাপকভাবে বিক্রি বলে এর আলাদা বাজার বসে। গ্রামের মানুষ কেজি থেকেও বেতের সের ও কাঠার বেশি ওপর নির্ভর করেন। জানা গেছে, জেলার ৪টি উপজেলার ৩৬টি ইউনিয়নের ৭৭২টি গ্রামের সাধারণ মানুষ তাদের সাংসারিক পরিমাপের কাজে বেতের সের ও কাঠা ব্যবহার করেন। বেত দিয়ে তৈরি বলে এর নাম বেতের সের ও কাঠা। বেতের কারিগররা বেত দিয়ে বেতের সের ও ধামা কাঠা তৈরি করেন। গ্রামের সাধারণ মানুষ তাদের ফসল পরিমাপের জন্য ধামা, কাঠা ও বেতের সেরের ওপর বেশি নির্ভরশীল। একটি বেতের সের এক শ’ টাকা এবং কাঠা প্রকারভেদে তিন থেকে পাঁচ শ’ টাকায় বিক্রি হয়। জেলায় শতাধিক পরিবার রয়েছে যারা এসব তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বেতশিল্পী উত্তম কুমার জানান, আজকাল বেত পাওয়া যায় না। তারপর তারা কষ্ট করে বেত যোগাড় করে ধামা কাঠা তৈরি করেন। বেতের দাম বেড়ে যাওয়ায় তেমন লাভ হয় না। তারপর পৈত্রিক পেশা ধরে রাখার জন্য চেষ্টা করে চলেছেন তারা। -সঞ্জয় রায় চৌধুরী, মাগুরা থেকে
×