ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লিভারপুলের সাফল্য সুয়ারেজের আনন্দ

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ২৬ জানুয়ারি ২০১৯

 লিভারপুলের সাফল্য সুয়ারেজের আনন্দ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে এবার দুর্বার লিভারপুল। মৌসুমের প্রথম ২৩ ম্যাচ শেষে লীগ টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে জার্গেন ক্লপের দল। এই সময়ে ১৯ ম্যাচ জয় আর তিন ম্যাচ ড্রয়ের সৌজন্যে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে অবস্থান করছে লিভারপুল। দুই নম্বরে ম্যানচেস্টার সিটি। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের চেয়েও এখন চার পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে অলরেডরা। যে কারণেই ফুটবলবোদ্ধাদের ধারণা এবার দীর্ঘদিনের লীগ শিরোপাখরা ঘুচাতে পারবে লিভারপুল। আর লিভারপুলের এমন পারফর্মেন্সে মুগ্ধ-বিমোহিত ক্লাবটির সাবেক তারকা ফুটবলার লুইস সুয়ারেজ। বর্তমানে বার্সিলোনার জার্সিতে খেলা এই উরুগুইয়ান লিভারপুলের জার্মান কোচ জার্গেন ক্লপেরও প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এ প্রসঙ্গে লুইস সুয়ারেজ বলেন, ‘লিভারপুলে যে একবার খেলে সে আজীবন এই ক্লাবটির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এই মুহূর্তে দলটি দুর্দান্ত পারফর্মেন্স উপহার দিচ্ছে। আমিও অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি তারা এই বছরটা কিভাবে শেষ করে তা দেখার জন্য। আমি মনে করি, লিভারপুলের কাছ থেকে এবার আমরা অনেক কিছুই পেতে পারি।’ তাহলে কী বার্সিলোনা ছেড়ে লিভারপুলে ফিরতে পারেন সুয়ারেজ? জার্গেন ক্লপের অধীনে কী কাজ করতে পারেন এই উরুগুইয়ান? এমন প্রশ্নও করা হয়েছিল সুয়ারেজকে। জবাবে উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার জানালেন, ‘বর্তমানে আমরা ভিন্ন ভিন্ন দুটি ক্লাবের হয়ে খেলছি। যে কারণে এই মুহূর্তে আমার কাছে এটা তেমন কোন বিষয় নয়। তবে হ্যাঁ, জার্গেন ক্লপের অধীনে অনুশীলন করতে বিশ্বের প্রতিটি ফুটবলারই চান।’ ভবিষ্যতে যে এ্যানফিল্ডে ফিরছেন না অন্তত লুইস সুয়ারেজের বিষয়ে তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। লুইস সুয়ারেজের অতীত খুব বেদনার। সুইপার থেকে বিশ্বখ্যাত ফুটবলার হয়েছেন তিনি। উরুগুয়েতে একটা কথা প্রচলিত আছে, ‘অন্যান্য দেশের আছে ইতিহাস, আমাদের আছে ফুটবল।’ সত্যি সেই ফুটবল একজন সুইপারকে বিশ্বে এমন পরিচিতি দিয়েছে। সাত সন্তান নিয়ে কুলির কাজ করে বাবা রোডলফোর চালানো সংসারে সুয়ারেজ অভাবকে সঙ্গী করে বড় হয়েছেন। মা সান্দ্রো অন্যের বাড়িতে কাজ করে কিছু রোজগার করতেন। স্মৃতিচারণে সুয়ারেজ অকপটেই বলেন, ‘আমরা ছিলাম সমাজের নিম্ন শ্রেণীর। পরার মতো জুতা ছিল না আমার। আমার পরিবার বড় হওয়ায় এমনটা হয়েছিল। বা-বাবা আমাদের জন্য যতটা পেরেছেন করেছেন। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী কখনও কিছু পেতাম না। তবুও আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’ মায়ের পরামর্শে সুয়ারেজ তার ফুটবল খেলা শুরু করেন। ১৪ বছর বয়সে পাড়ি জমান ন্যাসিওনালে। উরুগুইয়ান সেই ক্লাবের যুবদলে খেলেন টানা চার বছর।
×