ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রামোস ভেল্কিতে সেমির পথে রিয়াল

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ২৬ জানুয়ারি ২০১৯

 রামোস ভেল্কিতে সেমির পথে রিয়াল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অধিনায়ক সার্জিও রামোসের চোখ ধাঁধানো পারফর্মেন্সে ভর করে স্প্যানিশ কোপা ডেল’রে ফুটবলের সেমিফাইনালে এক পা দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। বৃহস্পতিবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে অতিথি জিরোনাকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে হ্যাটট্রিক ইউরোপিয়ান চ্যাািম্পয়নরা। ঘরের মাঠ সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে পিছিয়ে পড়েও রিয়ালের জয়ের নায়ক স্প্যানিশ ডিফেন্ডার রামোস। তারকা এই ফুটবলার করেন জোড়া গোল। রিয়ালের বাকি দুই গোলদাতা লুকাস ভাসকুয়েজ ও করিম বেনজেমা। ৩১ জানুয়ারি জিরোনার মাঠে শেষ আটের ফিরতি লেগ খেলতে যাবে রিয়াল। ঘরের মাঠে ৫০ হাজারেরও বেশি দর্শকের সামনে শুরুতেই ধাক্কা খায় গ্যালাক্টিকোরা। অর্থাৎ ম্যাচের সপ্তম মিনিটে স্বাগতিকদের হতবাক করে এগিয়ে যায় জিরোনা। বাঁদিক থেকে রাউল গার্সিয়ার ক্রস ডি বক্সের মুখে পেয়ে ডান পায়ের টোকায় বল জালে জড়ান হন্ডুরাসের ফরোয়ার্ড আলেকজান্ডার লোজানো। ব্যবধান অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি দলটি। ম্যাচের ১৮ মিনিটে আলভারো ওড্রিওসোলার কাটব্যাক ডি বক্সের বাইরে পেয়ে জোরালো শটে রিয়ালকে সমতায় ফেরান লুকাস ভাসকুয়েজ। ৪২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে রিয়ালকে প্রথমবারের মতো এগিয়ে দেন রামোস। ডি বক্সে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ভিনিসিউস জুনিয়র ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় তারা। বিরতির পর ৬৬ মিনিটে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আলেক্স গ্রানেলের স্পট কিকে সমতা ফেরায় জিরোনা। ফলে ম্যাচে আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে অতিথিদের এই স্বস্তি বেশিক্ষণ টিকেনি। তিন মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল। মার্সেলোর কাট ব্যাকে ৭৭ মিনিটে হেডে নিজের দ্বিতীয় গোল করে রিয়ালকে ফের এগিয়ে নেন রামোস। ৮০ মিনিটে ভিনিসিউস জুনিয়রের বাড়ানো বল সহজেই জালে পাঠিয়ে রিয়ালের জয় নিশ্চিত করেন ফরাসী ফরোয়ার্ড বেনজেমা। প্রত্যাশিত জয়ে রিয়াল সেমির পথে এগিয়ে থাকলেও রামোসের পানেনকা পেনাল্টি নিয়ে চারিদিকে চলছে প্রশংসার স্রোত। এর আগে তো পানেককা কি সেটা জানতে হবে। পেনাল্টিতে খুব কম গোলরক্ষকই নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকেন। যে কোন একদিকে ঝাঁপিয়ে পড়াটাই যেন নিয়ম হয়ে গেছে। পেনাল্টি শট নিতে আসা ফুটবলাররাও তা জানেন। বুদ্ধিটা তাই খেলে গিয়েছিল আন্টোনিন পানেনকার মাথায়। ১৯৭৬ ইউরো ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে টাইব্রেকারে পানেনকা তা কাজেও লাগান সফলভাবে। গোলরক্ষক একদিকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন আর বলটা ‘চিপ’ করে সোজাসুজি জালে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর থেকে পানেনকার দেখানো ওই শটের নাম হয়ে গেছে ‘পানেনকা পেনাল্টি’। পানেনকার দেখানো পথে এখন অনেকেই হেঁটে থাকেন। তবে রামোস বোধহয় সবচেয়ে বেশি। জিরোনার বিরুদ্ধেও তিনি এই শটে গোল করেছেন। এই মৌসুমে পেনাল্টিতে সাতটি শট নিয়েছেন রামোস। একবারের জন্যও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি। গোল হয়েছে সাতটিই। আরও আশ্চর্যের বিষয়, এই সাতটি শটের মধ্যে চারটি শট আবার পানেনকা। পানেনকা শটে জিরোনা গোলরক্ষক সম্ভবত রামোসের বেশ পছন্দের। চলতি মৌসুমে দুইবার তিনি এই শটে পরাস্ত করেছেন জিরোনা গোলরক্ষককে। সবমিলিয়ে রামোসের ক্যারিয়ারে ১৫টি পেনাল্টি শটের মধ্যে সাতটিই পানেনকা এবং সবগুলোতেই তিনি গোল পেয়েছেন।
×