ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাঙলা নাট্যদলের ২২ বছর পূর্তিতে আজ ‘মেঘ’

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ২৬ জানুয়ারি ২০১৯

বাঙলা নাট্যদলের  ২২ বছর পূর্তিতে   আজ ‘মেঘ’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের অন্যতম দুই নাট্যপাগল বন্ধু আবিদ আহমেদ এবং হ ম সহিদুজ্জামান ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বাঙলা নাট্যদল। নাট্যপ্রাণ এই দুই বন্ধুর পারস্পরিক উৎসাহে একে একে ২২টি বছর অতিক্রান্ত করে ২৩ বছরে পদার্পণ করছে বাঙলা নাট্যদল। বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন বাঙলা নাট্যদল। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় নাটক সরণির মহিলা সমিতি ভবনের ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে দলের ১৫তম প্রযোজনা ‘মেঘ’ নাটকের প্রদর্শনী হবে। উৎপল দত্ত রচিত নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন দল প্রধান আবিদ আহমেদ। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন আবিদ আহমেদ, সুবর্ণা মীর, সেলিম বহুরূপী, সৈয়দ গোলাম মুর্তুজা, জামিল উদ্দিন খান লোটাস, নাসির আহমেদ দুর্জয়, লিটন খান ও আফসানা আক্তার যুথি। নাটকের জন্য মঞ্চ নির্মাণ করেছেন আবিদ আহমেদ এবং শব্দ ও আলোক পরিকল্পনায় নাসির আহমেদ দুর্জয় এবং প্রক্ষেপণে রয়েছেন মিজান রহমান। বাঙলা নাট্যদলের ২৩ বছর পদার্পণ উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি আবিদ আহমেদ বলেন, অনাবিল মমতা আসুক সু-কঠোর সততা আসুক’ এই স্লোগানে ১৯৯৭ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রযোজনা ‘এখনো অন্ধকার’ নাটক মঞ্চায়নের মধ্যে দিয়ে বাঙলা নাট্যদল যাত্রা শুরু করে। মঞ্চ নাটককে আরও বিভিন্নভাবে তুলে ধরতে ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় আমাদের পদচারণায় মুখর ছিল। তারুণ্যদীপ্ত থিয়েটার সংগঠন বাঙলা নাট্যদল সক্রিয় নাট্যচর্চার পাশাপাশি সকল সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে আসছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ও নির্দেশক হ ম সহিদুজ্জামান বলেন, দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী জনপ্রিয় লেখক উৎপল দত্তের রচনা সাহিত্য নির্ভর নাটক ‘মেঘ’ মঞ্চে এনেছি। উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে দর্শকরা নাটকটি বেশ উপভোগ করেছে। আশা করি পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রদর্শনীতে নাটকটি দর্শক নন্দিত হবে। ‘মেঘ’ নাটকের গল্পে দেখা যায় সমরেশ স্যানাল কলকাতা শহরের একজন নামকরা সাহিত্যিক। সদ্য সিজোফ্রেনিয়া থেকে সেরে উঠেছে। তার সাহিত্যের লেখনীর মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে প্রেমে পড়েন মাধুরী। তারা বিয়ে করেন। কিন্তু অসুস্থ সমরেশকে সুস্থতার জন্য নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে সংসারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেন মাধুরী। বন্ধুসম ডাক্তারের বারবার নিষেধ সত্ত্বেও জটিল ও মনস্তাত্ত্বিক রহস্যময় লেখার মাঝেই নিজেকে হারিয়ে ফেলে সমরেশ। অনিদ্রা ও মানসিক চাপে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। অন্যদিকে হঠাৎ উপস্থিত হয় সমরেশের কলেজ জীবনের প্রাক্তন প্রেমিকা সুজাতা। পুরনো প্রেম এবং তাদের একান্ত ঘনিষ্ঠতার অনেক চিহ্ন দেখিয়ে সমরেশকে ব্ল্যাকমেল করে অর্থ দাবি করে বসে সুজাতা। উপায়ান্তর না দেখে সুজাতাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে ফেলে সমরেশ। প্রতিবেশী তারাপদ বাড়ুয্যের ছেলে প্রণব এসে উপস্থিত হয় সমরেশের বাড়িতে। নিজের বোকামিতে সুজাতাকে হত্যার কথা প্রণবের কাছে অকপটে স্বীকার করে বসে সমরেশ। সুজাতাকে হত্যার প্রমাণ নিশ্চিহ্ন করতে প্রণবকেও হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সমরেশ। অপরদিকে সুজাতাকে না পেয়ে পুলিশ অফিসার যতীন নন্দী এসে হাজির হয় সমরেশের বাড়ি। তীক্ষ্ন বুদ্ধিসম্পন্ন পুলিশ অফিসারের কৌশলী প্রশ্নে এবং ছোটখাটো ক্লুতে ধরা পড়ে ঘটনাটি আরও রহস্যময় করে তোলে সমরেশ। আর এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।
×