ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাইফের জয়, চট্টগ্রাম আবাহনীকে রুখে দিল রহমতগঞ্জ

প্রকাশিত: ০৮:২৫, ২৫ জানুয়ারি ২০১৯

সাইফের জয়, চট্টগ্রাম আবাহনীকে রুখে দিল রহমতগঞ্জ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাশিয়ান ফরোয়ার্ড দেনিস বলশেকভের গোলে ১-০ ব্যবধানে জেতে গত লিগে চতুর্থ হওয়া সাইফ স্পোটিং ক্লাব। নিজেদের প্রথম ম্যাচে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস এ্যান্ড সোসাইটিকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল দলটি। ৩৭তম মিনিটে এগিয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং। প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড় বল বিপন্মুক্ত করতে গেলে বলশেকভের পায়ে লেগে জাল খুঁজে পায়। দ্বিতীয়ার্ধে বিজেএমসির রক্ষণে চাপ ধরে রাখলেও ব্যবধান দ্বিগুণ করে নিতে পারছিল না সাইফ স্পোর্টিং। ৬৮তম মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে বলশেকভের শট ফেরান গোলরক্ষক। ৮৫তম মিনিটে ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাত দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেলে শক্তি কমে সাইফ স্পোর্টিংয়ের। তবে বলশেকভের গোল ধরে রেখে বাকিটা সময় পার করে দেয় দলটি। এ নিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচে বিজেএমসির বিপক্ষে জিতল সাইফ স্পোর্টিং। চলতি লিগে এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচেই হারল বিজেএমসি। মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের কাছে ২-১ গোলে হেরে লিগ শুরু করেছিল তারা। এদিকে ফুটবলে ‘ফেয়ার প্লে’ শব্দটি এখন বহুল প্রচলিত। খেলা চলাকালে প্রতিপক্ষ দলের কোন খেলোয়াড় আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বা খেলতে অক্ষম হলে তখন সৌজন্য-ভদ্রতা দেখিয়ে অপর দল বলটি ‘পাস’ দিয়ে দেন প্রতিপক্ষ দলকে- এটিই নিয়ম। কিন্তু সেই ভদ্রতার ধার ধারলো না রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে তারা ফেয়ার প্লেকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে গোল করে হার এড়িয়ে পয়েন্ট কেড়ে নিল চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের কাছ থেকে! বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত রাতের খেলায় এই দু’দলের ম্যাচটি ড্র হয় ১-১ গোলে। ম্যাচের প্রথমার্ধের স্কোরলাইন ছিল গোলশূন্য ড্র। খেলা শেষে রহমতগঞ্জের অশিষ্টাচারমূলক খেলার জন্য তাদের খেলোয়াড়ের সঙ্গে এবং ম্যাচের রেফারি ভারত চন্দ্র গৌড়ের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন চট্টগ্রাম আবাহনীর মহাক্ষিপ্ত খেলোয়াড়রা। কিন্তু রেফারি কার্যত ছিলেন অসহায়। কারণ টেকনিক্যালি তো ওটা গোলই ছিল রহমতগঞ্জের। ইচ্ছে করলেই সেটি তিনি বাতিল করতে পারেন না। এক্ষেত্রে তিনি কিছুই করতে পারবেন না। কিন্তু বন্দরনগরীরর দলটি এত সহজেই বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। কেননা রহমতগঞ্জ ফেয়ার প্লে মেনে এটি যদি গোল না করতো, তাহলে চট্টলার দলটিই ম্যাচে জিতে পূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জন করতে পারত। কিন্ত তাদের সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে যায় রহমতগঞ্জের এই অ-খেলোয়াড়সুলভ কারণে। ঢাকার ফুটবলে তো বটেই, বিশ^ ফুটবলেই এরকম অশিষ্টাচারমূলক গোল আছে কি না, সেটা রীতিমতো গবেষণার বিষয়। দুই খেলায় এটি চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রথম ড্র। পয়েন্ট ৪। প্রথম খেলায় তারা মুক্তিযোদ্ধাকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল। পক্ষান্তরে সমান খেলায় এটি রহমতগঞ্জেরও প্রথম ড্র। পয়েন্ট ১। নিজেদের প্রথম খেলায় তারা ১-২ গোলে হেরেছিল সাইফের কাছে। ম্যাচের ৪১ মিনিটে আবাহনীর নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড মাগালানের বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শট ক্রস বারে লেগে ফিরে আসে। ৫০ মিনিটে আবাহনীর অধিনায়ক মোনায়েম খান রাজুর বক্সের বাইরে থেকে নেয়া তীব্র শট প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক আরিফুল ইসলাম ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন। ৫৬ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় আবাহনী। মোনায়েম খান রাজুর কর্নারে গাম্বিয়ার মিডফিল্ডার মমোদৌ বাও হেডে লক্ষ্যভেদ করেন (১-১)। ৮০ মিনিটে নাইজেরিয়ার মিডফিল্ডার দামান চিগোজির কাটব্যাকে কঙ্গোর ফরোয়ার্ড সিও জুনাপিও প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন। সমতায় ফেরে রহমতগঞ্জ (১-১)। কিন্তু ফেয়ার প্লে না মেনে গোলটি করে রহমতগঞ্জ। এতে আবাহনীর খেলোয়াড়রা তীব্র প্রতিবাদ জানালেও তাতে কর্ণপাত করেননি রেফারি। ইনজুরি সময়ে নাজমুল ইসলাম রাসেলের কর্নারে ডিফেন্ডার কেষ্ট কুমার বোসের হেড সাইড বারে লেগে ফিরে এলে গোল ও জয়বঞ্চিত হয় চট্টগ্রাম আবাহনী।
×