ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিস্ময়কর প্রযুক্তি

প্রকাশিত: ০৭:২১, ২৫ জানুয়ারি ২০১৯

বিস্ময়কর প্রযুক্তি

মার্সিডিসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নতুন এক শ্রেণীর মার্সিডিস বেঞ্চ বেরিয়েছে যা কত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে থাকে। একে বলে মার্সিডিস বেঞ্চ ইউজার্স এক্সপেরিয়েন্স বা সংক্ষেপে এমবিইউএক্স। সত্যিকারের উত্তম ইনফোটেইনমেন্ট ব্যবস্থা অর্থাৎ কোন সংবাদ বা তথ্য বিনোদনের সঙ্গে বা কৌতুকপূর্ণ উপায়ে উপস্থাপন করার ব্যবস্থা বিরল হলেও এই শ্রেণীর মার্সিডিস বেঞ্চে তা রয়েছে। তা ছাড়াও এতে আছে নতুন প্রথম শ্রেণীর সিডার্ন। এমবিইউএক্সে ব্যবহৃত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই মানুষের ভাষা ও আচরণের ধারা অসংখ্যবার চর্চা করে এমনভাবে প্রশিক্ষিত হয়েছে যে তা চালকের পছন্দ-অপছন্দের বিষয়গুলো জেনে নিয়েছে এবং চালকের পছন্দ-অপছন্দের বিষয়গুলো জেনে নিয়েছে এবং চালকের কথা বলার সুনির্দিষ্ট উপায়টিও জেনে নিয়েছে। স্ক্রিনটাচ সুুনিশ্চিত করার জন্য মাসির্ডিস বেঞ্চ সিক্সকোর এনভিডিয়া প্রসেসর ও এনভিডিয়া পার্কার ১২৮ গ্রাফিক্সের ওপর নির্ভর করে। নিরাপদতম হেলিকপ্টার একজন হেলিকপ্টার পাইলটকে নানা ধরনের সমস্যার মোকাবেলা করতে হয় যেমন বিদ্যুত লাইনের কাছাকাছি বিপজ্জনকভাবে চলে আসা কিংবা অপ্রত্যাশিতভাবে দমকা বাতাসের কবলে পড়ে যাওয়া ইত্যাদি। এ জাতীয় পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনা বা বিপর্যয় ঘটে যাওয়া স্বাভাবিক। তবে ‘এয়ারবাস এইচ ১৬০’ হেলিকপ্টারটি এ বছরই প্রথম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এটি নানা কাজে ব্যবহারযোগ্য। যেমন বন্ধুর এলাকায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে ভিআইপিদের পরিবহনে কিংবা অয়েল রিগ ক্রুদের মতো ১২ জন পর্যন্ত যাত্রী আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহার করা যায়। এই হেলিকপ্টারে মূল রোটার থেকে সৃষ্ট নি¤œগামী কম্পন যথাসম্ভব কমিয়ে আনার জন্য পেছনের দিকে এক অভিনব দুই পর্যায়ের আনুভূমিক স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করা হয়। এতে লঘুগতির স্থিতিশীলতা বাড়ে। উড়ন্ত অবস্থায় সবচাইতে বিস্ময়কর ও আকস্মিক কোন ঘটনা ঘটতে বিপর্যয়ে পরিণত হতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য এতে সর্বদাই উপস্থিত রয়েছে একটি অটো পাইলট। এরচেয়ে নিরাপদ হেলিকপ্টার এতদিন বের হয়নি। ম্যাজিক গগলস এই অদ্ভুত বিনের গগলস ডিজিটাল বস্তু ও ইমেজকে সরাসরি আপনার চোখের সামনে নিয়ে আসবে অথচ একই সঙ্গে আপনি আপনার চারপাশে সংঘটিত বাস্তব সবকিছুর সঙ্গে ইন্টার এ্যাক্ট করার সুযোগ পাবেন। কল্পবিজ্ঞানের মতো মনে হলেও এই ম্যাজিক গগলস আজ বাস্তব রূপ নিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নির্দিষ্ট কিছু নগরীতে বিক্রি হচ্ছে। হেডসেট থেকে লাইট ফিল্ড নামের একটি প্রজেকশন টেকের আলোকসজ্জা হর্ষোৎফুল্ল নাইট, কদাকার ডাইনোসর ইত্যাদির রূপ গুটিয়ে তুলবে স্বচ্ছ কাচের ডিসপ্লেতে। ক্যামেরা ও ইনফ্রারেড সেন্সর আপনার চারপাশের দৃশ্যাবলী ধারণ করবে। তার ফলে আপনি এই গগলস দিয়ে দেখতে পাবেন একটা ভার্চুয়াল পেঙ্গুইন আপনার কফি টেবিলের ওপর দিয়ে হেঁটে নেমে আসছে মেঝেতে। অস্ত্র বা বোমা ডিটেক্টর গণপরিবহন ব্যবস্থাগুলো সন্ত্রাসবাদীদের একটা বড় টার্গেট। সাবওয়েতে এয়ারপোর্ট স্টাইলের যেসব চেকপয়েন্ট আছে সেগুলো খুব বেশি সুবিধার নয়। সে জন্যই উদ্ভাবিত হয়েছে টিএসি টিএস ৪ স্ক্রিনিং ব্যবস্থা যা ১৩ ফুট দূরে থেকে পোশাকের নিচে লুকিয়ে রাখা অস্ত্র বা বিস্ফোরকের সন্ধান বের করতে পারে। এ ব্যবস্থাটি লস এ্যাঞ্জেলেস মেট্রোতে সবার আগে চালু করা হয়েছে। এতে যে ক্যামেরা আছে তাতে টেরাহার্টজ তরঙ্গ ধরা পড়ে। টেরাহার্টজ তরঙ্গ হলো উষ্ণ শরীর থেকে বিকীরিত স্বাভাবিক ফ্রিকোয়েন্সি। ক্যামেরাতে আরও ধরা পড়ে আইডি স্পট অর্থাৎ এ বিকীরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানো রিভলবারের মতো পরিচিত আকৃতির বস্তু। কোন ব্যক্তি এ জাতীয় কোন নিষিদ্ধ বস্তু লুকিয়ে রেখেছে কিনা অফিসাররা এ পরিবহনের সঙ্গে সংযুক্ত ল্যাপটপে তা দেখতে পায়। টিএসসি-টিএস৪-এ এক ঘণ্টায় ২ হাজার আরোহীকে স্ক্রিন করা যায়। পরিবেশবান্ধব রেইন জ্যাকেট ওয়াটার প্রুফ ব্রিদেবল প্যাকেটগুলোর বহিস্তরে সাধারণত ডিউরেবল ওয়াটার রিপেলেন্ট বা ডিডব্লিউআর দেয়া থাকে যাতে করে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে ছিটকে সরে যায়। সমস্যা হচ্ছে অনেক ডিডব্লিউআর-এ থাকে। পারফ্লুওরিনেটেড কেমিক্যাল (পিএফসি) মানবদেহ ও এই গ্রহের জন্য ক্ষতিকর। এই ক্ষতি এড়ানোর জন্য এসেছে গ্রীন থিম প্রযুক্তি। এ ক্ষেত্রে গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক ওয়াটার প্রুফ জ্যাকেট বানাতে কাপড়ের গায়ে পিএফসিমুক্ত হাইড্রো কার্বনভিত্তিক তরল পদার্থ প্রয়োগ করে এবং সেই তরল পদার্থটি যাতে কাপড়ের গায়ে স্থায়ীভাবে এঁটে থাকে তার জন্য এতে চাপ প্রয়োগ করে। প্রক্রিয়াটি আরেক দিক দিয়েও পরিবেশবান্ধব। তা হলো এতে কোন পানির প্রয়োজন হয় না যা লাগে ডব্লিউআরের ক্ষেত্রে। দ্রুততম নভোযান গত বছরের ১২ আগস্ট উৎক্ষিপ্ত হয়েছে নাসার নভোযান ‘পার্কার সোলার প্রোব।’ গন্তব্য সূর্য। তবে ঠিক সূর্যের বুকে গিয়ে আছড়ে পড়বে না। বরং এর ছটাম-লের বহির্ভাগের কাছাকাছি অর্থাৎ সূর্যের কেন্দ্রভাগ থেকে ৪৩ লাখ মাইল রেডিয়াসের মধ্যে পৌঁছে ৪ লাখ ৩০ হাজার মাইল গতিতে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে করতে গভীরভাবে একে পর্যবেক্ষণ করবে। নভোযানটির বিশেষত্ব এর দ্রুতগতি। এর মতো দ্রুততম গতির আর কোন নভোযান এর আগে তৈরি হয়নি। ঠা-া আবহাওয়ার কলা মানবজাতি যদি স্বাভাবিক উপায়ে এবং কীটনাশক ছাড়াই উৎপন্ন শুধু কলাই খেয়ে থাকত তা হলে উষ্ণম-লীয় এলাকার বাইরের কেউ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ এই ফলটি খেতে পারত না। কারণ কলা শীতপ্রধান দেশের ফল নয়। তবে গত বছরের শেষ দিকে একটি জাপানী খামার মঙ্গি জাতের কলা চাষ প্রবর্তন করেছে। এই জাতটি নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের ঠা-া সইতে পারে। খামারিরা কলার চারা থেকে নেয়া কোষগুলো ৭৬ ডিগ্রীতে ১৮০ দিন হিমায়নে রাখেন। এতে কলার সেই জিনগুলো জাগ্রত হয় যা ঠা-ার সহনশীলতা সৃষ্টি করে। এই কোষ থেকে আবাদ করা কলার গাছ ৫০ ডিগ্রী তাপমাত্রা স্বচ্ছন্দে জন্মে। এই কলা স্বাভাবিক কলার চেয়ে বেশি মিষ্টি এবং আনারসের কিছুটা স্বাদ আছে। এর খোসা পাতলা খাওয়ার উপযোগী। থ্রি ডি প্রিন্টারের বাড়ি বড় আকারের এক নতুন থ্রি ডি প্রিন্টার এনেছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান আইকন যা দিয়ে দুই বেডরুমের ৬৫০ বর্গফুটের একতলা বাড়ি একদিনেই তৈরি করা যাবে এবং এতে খরচ পড়বে ৪ হাজার ডলার। উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য উদ্ভাবিত এক টন ওজনের এই প্রিন্টার সহজে পরিবহনের জন্য ট্রেইলার ট্রাকে বসানো থাকে এবং বিল্ট-ইন জেনারেটরে সর্বক্ষণ চলতে পারে। সিমেন্ট ও বালুর মতো মূলত স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত উপাদানের মিশ্রণ ও এই মিশনে ব্যবহার হয়ে থাকে। আইকন এই প্রিন্টার দিয়ে এ বছর লাতিন আমেরিকায় এক শ’ বাড়ি তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
×