ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে মারা যাচ্ছে বন্যপ্রাণী

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২৫ জানুয়ারি ২০১৯

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে মারা যাচ্ছে বন্যপ্রাণী

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী মরছে। হাতি, বাঘ, হরিণ, কুমিরসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর অকাল মৃত্যু এখানকার নিত্য নৈমেত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি কয়েকটি কুমির, হরিণ মারা যাওয়ার ঘটনা তার স্পষ্ট প্রমাণ। ঘটনার জন্য পার্কে দায়িত্বরতদের দায়ী করছে এলাকাবাসী। প্রাণী মারা যাওয়ার ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাচ্ছে দায়িত্বরতরা। সে জন্য গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে পরিচিত কাউকে পার্কে ঢুকতে দেয়া হয় না। গত কয়েকদিন ধরে খুব কড়াকড়ি চলছে। এমনকি দর্শনার্থীদের টিকেট বিক্রিতেও খুব সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। মূলত নিজেদের অপরাধ যাতে বাইরে ছড়িয়ে না পড়ে, সেই ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষের-এমনটি অভিমত স্থানীয়দের। বেড়াতে আসা পর্যটকের মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীরা ও স্থানীয় লোকজন জানতে পারেন, পার্কের ভেতর দুটি হরিণ মরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। স্থানীয় সংবাদকর্মী মোঃ নিজাম উদ্দিন জানান, পার্কে প্রবেশ করে পর্যটকের দেয়া সংবাদের সত্যতা মিলেছে। দেখতে পান একটি শিশু হরিণ লেকের পানিতে মরে ভাসছে। তার পাশে একটি মাদার হরিণ বেষ্টনীর সঙ্গে গেঁথে রাখা হয়েছে। বাতাসে সঙ্গে পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। মরা হরিণটি অন্তত ৩ দিনের হতে পারে বলে দর্শনার্থীরা জানিয়েছে। গত দুই-তিন দিন পূর্বে আরও দুটি হরিণ ও একটি কুমির মারা যায় স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে। পার্ক কর্তৃপক্ষ গোপনে মৃৃৃত প্রাণীগুলো মাটি চাপা দিয়ে ফেলছে। সংঘবদ্ধ চোরচক্রের ধাওয়ায় পালাতে গিয়ে হরিণগুলো মারা পড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে রেকর্ড সংখ্যক বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। কার্যকর পদক্ষেপ নেই পার্ক নিয়ন্ত্রকদের। এলাকাবাসীর অভিযোগ, চোরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে পার্কের হরিণ শিকার করা হয়। বন্দুক ও হরিণের মাংসসহ চোর আটক করলেও ব্যবস্থা নেয়া হয় না। বরং দফারফায় চোরদের গোপনে ছেড়ে দেয়া হয়। বিট কর্মকর্তা মাজাহারুল ইসলাম দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে একই স্থানে কর্মরত। অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে বিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিলেও তৎকালীন ডিএফও গোলাম মওলা তার অপরাধ ধামাচাপা দেন।
×