ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাতক্ষীরা বন্দরের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে আমদানিকারকরা

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৫ জানুয়ারি ২০১৯

সাতক্ষীরা বন্দরের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে আমদানিকারকরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের সব বন্দরে আমদানির পর পণ্যের শুল্ক কর পরিশোধ করতে হলেও সাতক্ষীরা বন্দরে আগাম শুল্ক দিতে হয়। অন্যদিকে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, নেই কোন ট্রাক টার্মিনাল। এতে দিন দিন আমদানিকারকরা এ বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ হারাচ্ছেন। ফলে রাজস্ব আদায় হ্রাস পাচ্ছে। অবশ্য বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রাক টার্মিনালের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। ওয়্যারহাউস চালুর বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আর কাস্টমস রাজস্ব আদায় হ্রাসের কথা স্বীকার করে বলছে, অনুমোদিত আরও ৩৫টি পণ্য আমদানি শুরু হলে রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি পূরণ হবে। ১৯৯৬ সালের ১৫ মে সাতক্ষীরার ভোমরা শুল্ক স্টেশনের যাত্রা শুরু হয়। হাঁটি হাঁটি পা পা করে রাজস্ব আদায় দুই কোটি টাকা থেকে ৮০০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ভারতের কলকাতা থেকে সবচেয়ে কম দূরত্বের এ বন্দরের উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকলে ২৩ বছরেও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। সব বন্দরের মতো এখানেও সমান সুযোগ দেয়া হলে আমদানিকারকদের আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করেন ভোমরা সিএ্যান্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের নেতা এইচ এম আরাফাত হোসেন। তিনি বলেন, আমদানিকৃত মালামাল কাস্টম কর্তৃপক্ষের ওয়ার হাউসে রেখে এ্যাসেসমেন্ট করে দেয়া আমরা উপকৃত হব। রাজস্ব হ্রাসের কথা স্বীকার করে, নতুন অনুমোদিত ৩৫টি পণ্য আমদানি শুরু হলে রাজস্ব ঘাটতি থাকবে না বলে জানান ভোমরা কাস্টমের রাজস্ব কর্মকর্তা এ এইচ এম মহসিন কবির। তিনি বলেন, আমদানিকারকরা আমদানি করলে অবশ্যই আমাদের বিনিয়োগ বাড়বে। অবশ্য সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম। তিনি বলেন, বন্দর সম্প্রসারণের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ একটা উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বিশ্বব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে এই প্রকল্পের কাজ শীঘ্রই হবে। চলতি অর্থবছরে এ বন্দরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা এক হাজার ৮৪ কোটি টাকা।
×