ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ড. কামাল গংয়ের নির্বাচনোত্তর ভেল্কিবাজি

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২৫ জানুয়ারি ২০১৯

ড. কামাল গংয়ের নির্বাচনোত্তর ভেল্কিবাজি

নির্বাচনোত্তর সময়ে ড. কামাল গংরা যে নতুন খেলা শুরু করেছেন তা যে কত নির্বুদ্ধিতার পরিচায়ক সেটি তারা বোঝেন না তা হতে পারে না! কিন্তু তবু তিনি তার সাঙ্গোপাঙ্গদের বোকা বানিয়ে যেভাবে চরিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন তা রীতিমতো কৌতূহলোদ্দীপক বৈ নয়! বিদেশীদের কাছে মুহুর্মুহু ধরনা দিয়ে একটি নতুন বা নিদেনপক্ষে একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে দাবি তিনি পেশ করে চলেছেন তা যে আদৌ সংবিধানসম্মত ও বাস্তবসম্মত নয় তা ড. কামাল হোসেন জানেন না এ কথা পাগলেও বিশ্বাস করবে না নিশ্চয়ই! তবু, গ্রাম্য মামলাবাজদের মতো হুমকি-ধমকি দিয়ে তিনি ও তার সঙ্গীরা রাষ্ট্রময় বলে বেড়াচ্ছেন যে- নির্বাচন কমিশনের ‘অনিয়মে’র বিরুদ্ধে মামলা করে তিনি অচিরেই একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে আর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার ও কমিশনকে বাধ্য করবেন। অথচ এ যে একটি ‘ছেলে ভুলানো ছড়ার’ই নামান্তর তা বোঝার মতো সাবালকত্ব¡ এ জাতি যে আজ বহুদিন হলো প্রাপ্ত হয়েছে সে খেয়াল কিন্তু এদের একেবারেই নেই। থাকলে, নিশ্চয়ই উনারা এই জাতীয় বালখিল্যতা করা থেকে নিজেদের বিরত রেখে নির্বাচনে পরাজয়ের কারণসমূহ বিশ্লেষণ ও নির্ণয়পূর্বক তাদের স্ব-স্ব সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজে মনোনিবেশ করতেন। ইতোমধ্যে যেখানে বিশ্বের তাবত গুরুত্বপূর্ণ দেশসমূহের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানগণ এবং সংস্থাসমূহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিপুল বিজয়কে স্বাগত জানিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন ও জানাচ্ছেন সেখানে উনারা অন্ধকারে পথ হাতড়ানোকেই শ্রেয় জ্ঞান করে চলেছেন। প্রবাদ বাক্যে একেই বুঝি বলে, ‘হাতি-ঘোড়া গেল তল, ভেড়া বলে কত জল?’ যা ভাবা হয়েছিল তা-ই ঘটল। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, ড. কামাল হোসেন গংরা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে গো-হারা হেরে গিয়ে নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা ছল-চাতুরীর আশ্রয় নেবেন এবং এর পর পরই তাদের বিভিন্ন দেশী-বিদেশী সঙ্গী-সাথীরা এদের সমর্থনে একের পর এক হুক্কা দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে। এ তো অকালমন্দদের জন্য জানা কথাই ছিল! আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, টিআইবি, ‘নিউইয়র্ক টাইমস’, এ্যামনেস্টি ওয়াচ প্রভৃতি সংগঠন একে একে মঞ্চে অচিরেই আবির্ভূত হবে ওই কুচক্রী মহলের সুরে সুর মেলাতে। তবে এ ক্ষেত্রে, টিআইবির প্রতিক্রিয়া প্রকাশে একটু বিলম্ব-দৃষ্টে খানিক আশ্চর্য বোধ করছিলাম বৈকি! অবিশ্যি, সকল শত্রুর মুখে ছাই ঢেলে দিয়ে যথাবিহিত আপন স্বরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে টিআইবি সম্প্রতি এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে। এতে ওই সংগঠনের নির্বাহী এবং অপর এক ব্যক্তি ঐক্যফ্রন্ট আর বিএনপির নির্বাচন বিষয়ক যাবতীয় অভিযোগনামারই প্রতিধ্বনি করে নিজেদের ক্রেডিবিলিটি আর গ্রহণযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে বসেছেন! পাঠক, মনে রাখতে হবে যে, এসব বিদেশী প্রতিষ্ঠানের হয়ে যারা কাজ করেন তাদের পক্ষে নিজ বিবেকের অনুশাসন মেনে বুক চিতিয়ে সত্যকে আর ‘সত্য’ বলা সম্ভব হয় না। ‘কর্তার ইচ্ছায় কীর্তন’ করা ছাড়া যাবতীয় আর্থিক সাহায্য, আনুকূল্য, সর্দারি-মাতব্বরি বন্ধ হয়ে যাবে বিধায় তাদের ওই বিদেশী প্রভুদের সুর মিলিয়েই কথা বলতে হয় বৈকী! আমাদের মতো স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিজেদের কব্জায় রাখার জন্য বিদেশীরা তাদের উন্নয়ন সহযোগী বা ডেভেলপমেন্ট পার্টনারের নামে আমাদের দেশগুলোতে কিছু স্থানীয় বরকন্দাজ লালন-পালন করে আর অধিকাংশ এনজিও ওই বিদেশীদের তাঁবেদারি করার জন্যই সৃষ্টি হয়ে থাকে। অতীতে সাম্রাজ্যবাদীরা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দেশে দেশে নিজেদের তাঁবেদার সরকার প্রতিষ্ঠিত করে তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ওই দেশটিকে নিজেদের স্বার্থে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করত। কিন্তু দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে এবং মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়লে সাম্রাজ্যবাদীরা এই নতুন তরিকা খুঁজে বের করেছে। অর্থাৎ উন্নয়ন সহযোগীর নামে স্থানীয়ভাবে একদল তল্পিবাহক তৈরি করা। ভরাডুবির কারণগুলো গভীর অভিনিবেশ সহকারে বিচার-বিশ্লেষণের পরিবর্তে বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট এখনও নানাবিধ কপটতা ও ভণ্ডামির আশ্রয় নিয়ে ফিরছে। ড. কামাল হোসেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ও পরে ঢাকার সাংবাদিকদের কাছে ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতকে অংশীদার করার বিষয়টি তিনি কিছুই জানতেন না বলে যে আত্ম-সাফাই গাইবার প্রয়াস পেয়েছেন, তা-ও এক ধরনের মিথ্যাশ্রয়ী বক্তব্য তো বটেই; এমনকি তা সরাসরি কপটতারও নামান্তর বৈ নয়! তার মতো একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর এই প্রকার অধঃপতন সত্যিই বিস্ময়কর! যে সব সস্তা কথা বলে ড. কামাল-ফখরুল-রব-কাদের সিদ্দিকী-মান্নারা সেদিন নির্বাচনী ময়দানে হাজির হয়েছিলেন তা যে কত বেমানান ও হাস্যকর ছিল সেটুকু বোঝার মতো ধীশক্তি তারা সকলেই যে সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে ফেলেছেন তা দেশবাসী কিন্তু স্পষ্টতই দেখতে পেল এই নির্বাচনে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়লাভের কারণ অনেক। যেমন : ১. এই দলের কর্মীদের দীর্ঘদিন যাবত মাঠে থাকা, ২. দলীয় প্রধানের- তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ভাবমূর্তির অনন্য উচ্চতা, ৩. সারা দেশে বিদ্যুত, কৃষি, মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন, ৪. স্থানীয় পর্যায়ে মানসম্পন্ন চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, ৫. মুক্তিযোদ্ধা-বয়স্ক-বিধবাদের জন্য ভাতার প্রবর্তন, ৬. বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ, ৭. রাস্তাঘাট-কালভার্টের ব্যাপক উন্নতি, ৭. স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-মসজিদ-মন্দির-প্যাগোডার বহুমুখী সংস্কার সাধন, ৮. নদী সংস্কারের উদ্যোগ, ৯. সন্ত্রাস ও জঙ্গীদের ব্যাপারে সাফল্যের সঙ্গে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ, ১০. ভারত-চীন-জাপান-রাশিয়া-যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপসহ প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে ব্যাপক ও আস্থাভিত্তিক সুসম্পর্ক গড়ে তোলা, ১১. দৃশ্যমান মেগা প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়নে বিপুল কার্যক্রম গ্রহণ, ১২. মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে সম্ভাব্য বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভাবিত সাফল্য, ১২. স্থানীয় উদ্যোক্তাদের আর্থিক ও অন্যান্য সাহায্য প্রদান, ১৩. সাধারণ মানুষের আবাসন সমস্যা নিরসনে নানামুখী উদ্যোগ, ১৪. আমলা-পুলিশ-ব্যবসায়ী-র‌্যাব প্রভৃতি সংস্থার সময়োপযোগী ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ, ১৫. তরুণ প্রজন্মের বৃহদাংশের মাঝে এই সরকারের সাফল্যকে কার্যকরভাবে তুলে ধরা, ১৬. ধর্মীয় সংগঠনসমূহকে সাফল্যের সঙ্গে ও কার্যকরভাবে নিরপেক্ষ অবস্থায় রাখাসহ আরও অনেক বাস্তুবসম্মত কারণ ছিল যা বিস্তারিত লিখে নিবন্ধের কলেবর বৃদ্ধি করতে চাই না। নির্বাচনের মাসখানেক আগে থেকেই ড. কামাল, মির্জা ফখরুল, আসম রব, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্নারা যে ধরনের চোটপাট শুরু করেছিলেন এখন সেগুলো গেল কোথায়? ৩০ ডিসেম্বরের পরে আওয়ামী লীগ ও তাদের সঙ্গী-সাথীরা দেশ থেকে পালাবার পথই পাবে না বলে যে বাগাড়ম্বর তারা করেছিলেন তার এখন কি হবে? এ কথা সত্য যে, আওয়ামী লীগ হেরে গেলে এ ক’দিনে বিএনপি-জামায়াত হাজার হাজার মানুষকে শুধু দেশ ছাড়াই করত না, এমনকি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে রক্ত গঙ্গা বইয়ে দিত! আর এখানেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে ওদের এক বিরাট পার্থক্য! বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে কত মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে তার হিসেবে নেয়ার সময় হয়েছে। এসব কথা বা বিষয় আমাদের আ স ম রব-ড. কামাল-কাদের সিদ্দিকী-মান্না সাহেবদের বিলক্ষণ জানা আছে, তবু তারা নিছক ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে ওই শত্রু শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন আর এতে করে তাদের অতীতের অর্জন বা গৌরব ধরার ধুলায় হারিয়ে যাবার উপক্রম আজ! এরা আজও কত অন্ধ যে এখনও আসম রব, ড. কামাল প্রমুখ সেই আগের মতোই বাগাড়ম্বর করে ফিরছেন। আসম রব সেদিন সাংবাদিকদের জানালেন যে, তার নির্বাচনী আসনে নাকি তিনি মাত্র একজন ভোটারের সাক্ষাত পেয়েছেন যিনি তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন আর একজনও নাকি তা পারেননি। কথা হলো : তার আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা কত, কত সংখ্যক ভোট সেখানে কাস্ট হয়েছে এবং তিনি মোট ভোটারের মধ্যে কত জনের সঙ্গে সাক্ষাত করে এমন ‘গায়েবি’ তথ্য আবিষ্কার করেছেন তার পরিপূর্ণ হিসাবটা জানা দরকার। নইলে, এমনি ধারার মিথ্যা-বানোয়াট ও সস্তা কথা বলে ভোটারদের বোকা বানাবার এই অপচেষ্টা উনারা করেই যাবেন বৈকি! একাত্তরে আমার শহীদ সাংবাদিক পিতা সিরাজুদ্দীন হোসেন একবার একটি নিবন্ধে লিখেছিলেন : পরহিথব্রতী রাজনীতি রাজনীতিকে করে মহান আর স্বার্থের রাজনীতি রাজনীতিকের জীবনে আনে জগতজোড়া ধিক্কার! তাই যুগে যুগে লিঙ্কন-গান্ধী-সোহ্রাওয়ার্দীরা মরিয়াও হন অমর আর মির্জা-গোলাম মোহাম্মদেরা জন্মে যেমন মৃত্যুতেও তেমনি থাকিয়া যান!’ আশা করি, আমাদের রাজনৈতিক নেতারা এই অমোঘ বাণীর সারবত্তা বুঝতে সক্ষম হবেন একদিন। এদিকে জাতিসংঘ আবার বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে খানিক তীর্যক মন্তব্য এবং বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে নির্বাচনটিকে ‘ত্রুটিপূণ’ বলেও উল্লেখ করেছে। জাতিসংঘের যে সচিব সাহেব এই কথাগুলো বলেছেন তাতে মনে হলো ড. কামাল গংয়ের বক্তব্যটিই মুখস্থ করে তা তিনি উগলে দিলেন মাত্র! জাতিসংঘ, টিআইবি এবং এদের সঙ্গী-সাথীরা বাংলাদেশের নির্বাচনকে যখন সুইজারল্যান্ড বা জার্মানি কিংবা বেলজিয়ামের নির্বাচনের দাঁড়িপাল্লায় মেপে এই জাতীয় বুজরুকি ফলায় তখন বলতে সাধ জাগে যে, ‘ধরণী তুমি দ্বিধা হও।’ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বা নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করতে বসলে অতি অবশ্যই এই রাষ্ট্রের রাজনৈতিক-সামাজিক-অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসকে আমলে নিতে হবে। এগুলোর পরিপূর্ণ মূল্যায়ন ব্যতিরেকে কেবল বিরোধীদের ঢালাও ও মিথ্যা অভিযোগের ওপর ভর করে প্রতিবেদন তৈরি করাটা অসাধুতা ও শঠতা ছাড়া আর কিছু বলে গণ্য হতেই পারে না! জাতিসংঘের এ হেন মন্তব্যকে কিছুতেই মেনে নেয়া সমীচীন নয়। কেননা, বিশ্বে অদ্যাবধি জাতিসংঘ কোন দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক বা বৈশ্বিক সঙ্কট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছে? সেই ১৯১৯ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে ভার্সাই চুক্তির অব্যবহিত পরেই সম্মিলিত রাষ্ট্র সংঘ (পরবর্তীতে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ বা জাতিসংঘ) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত এর ভূমিকা কোনই গৌরব বহন করে না। কোরিয়া যুদ্ধ বা ভিয়েতনাম যুদ্ধের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম, কিন্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালে জাতিসংঘের বিপরীত ভূমিকার কথা আমরা নিশ্চয়ই ভুলে যাইনি! তা ছাড়া, এই তো মাত্র কয়েক বছর আগে বুশ-ব্লেয়ার জুটি জাতিসংঘকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যখন ইরাক, লিবিয়াসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশে ফোঁপর দালালি করতে- তথা পশ্চিমা গণতন্ত্র কায়েম করতে মারণাস্ত্র নিয়ে ছুটে গিয়েছিল তখন এই জাতিসংঘের রথী-মহারথীরা কোথায় লুকিয়ে ছিলেন? নির্বাচন কমিশনে কোন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ যেখানে বলতে গেলে উপস্থিত হাজার হাজার পর্যবেক্ষক, মিডিয়া কর্মী বা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে নেই সেখানে জাতিসংঘ কেমন করে, কিসের ভিত্তিতে, কাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমাদের নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে এমন অশোভন প্রশ্নবাণ নিক্ষেপ করল তা আমাদের জানা দরকার। এই রিপোর্টটি তারা তৈরি করেছে কিসের ভিত্তিতে? প্রাপ্ত সে সব তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তারা কি পন্থা অনুসরণ করেছে দয়া করে তা আমাদের একটু খোলাখুলিভাবে জানাবেন কি? উল্লেখ্য, ক’দিন আগে টিআইবির কণ্ঠেও কিন্তু আমরা এই একই কথাই- তথা একই ধরনের অভিযোগ শুনতে পেয়েছি! এরা যেন উভয়ই একই স্থান থেকে প্রস্তুতকৃত একটি অভিযোগনামা পড়ে শুনিয়েছেন আমাদের! এতে প্রমাণ হয় না কি যে- এদের সকলের গোঁড়া একই স্থানে প্রোথিত? লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক
×