ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ॥ জামায়াতমুক্ত সংসদ এবং আমাদের প্রত্যাশা

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২৫ জানুয়ারি ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ॥ জামায়াতমুক্ত সংসদ এবং আমাদের প্রত্যাশা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মহাজোট এক অকল্পনীয় বিজয় অর্জন করেছে। এই বিজয় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন এবং শেখ হাসিনার সরকারের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে যেমন সহায়ক হবে, তেমনি আমাদের দীর্ঘ আন্দোলনের অন্যতম দাবি- জামায়াত-শিবির চক্রের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার কাজও এখন সহজ হবে। ’৭১-এর গণহত্যাকারী, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের দল মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক জামায়াতে ইসলামী এই উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন দল। আবুল আলা মওদুদী ১৯৪১ সালে ব্রিটিশ ভারতের লাহোরে (বর্তমানে পাকিস্তান) জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠা করেন ভারতবর্ষকে ইসলামিক রাষ্ট্রে রূপান্তরের উদ্দেশ্যে। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর পাকিস্তান আন্দোলনের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন মওদুদী। এর প্রধান কারণ ছিল এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন জিন্নাহ, যিনি পশ্চিমা ধাঁচে জীবনযাপনে বিশ্বাস করতেন, যাকে মওদুদী কাফের বলেছিলেন। জিন্নাহ্র বিলেতি কেতায় স্যুট-টাই পরার সমালোচনা করে মওদুদী বলতেন- যে ব্যক্তি নিজের ছয় ফুট শরীরে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, সে কী করে গোটা দেশে ইসলাম কায়েম করবে? মওদুদী পশ্চিমের কোন রাজনৈতিক মতবাদ সমর্থন করতেন না। তার মতে মনুষ্যসৃষ্ট সকল মতবাদ মানুষের জন্য হারাম। গণতন্ত্রকে মওদুদী ‘কুফরি মতবাদ’ আখ্যায়িত করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির নির্বাচনকে ‘শিকারী কুকুরের দৌড়’ বলেছিলেন। নিজের দলকে তিনি আখ্যায়িত করেছিলেন ‘আল্লাহর সেনাদল’ হিসেবে, যাদের কাজ হবে এই বিশ্বে আল্লাহ্র আইন ও শাসন কায়েম করা। এ হেন মওদুদী ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণয়নের পর ১৯৫৭ সালে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজন হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণকে জায়েজ আখ্যায়িত করে নিজের পূর্বতন বক্তব্যকে মিথ্যা প্রমাণ করেছেন। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য মওদুদী ইসলামের নামে প্রয়োজন হলে মিথ্যা বলাকেও জায়েজ বলেছিলেন। এরপর ১৯৬২ থেকে শুরু করে পাকিস্তানের এবং বাংলাদেশের প্রায় সব নির্বাচনে জামায়াত অংশগ্রহণ করেছে। নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে ১৯৭৩-এ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত অংশগ্রহণ করতে পারেনি। ১৯৬২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত যতগুলো কেন্দ্রীয় বা প্রাদেশিক নির্বাচনে জামায়াত অংশগ্রহণ করেছে কোনটিতে তারা এবারের মতো হারেনি। ১৯৬২ সালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনেও জামায়াত একটি আসন পেয়েছিল। পাকিস্তান ও বাংলাদেশে জামায়াতের নির্বাচনী ইতিহাসে এবারই প্রথম একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের ভেতর ২৫টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামায়াত একটিতেও বিজয়ী হতে পারেনি। জামায়াতের এই পরাজয়ের অন্যতম কারণ হচ্ছে- একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির গত ২৭ বছরের আন্দোলন। ২০১৮-এর ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে কটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছে তার ভেতর সবচেয়ে প্রাচীন সংগঠন হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। ১৯০৬ সালে ঢাকায় মুসলিম লীগের জন্ম হলেও এর অস্তিত্ব পাকিস্তানে যতটা দৃশ্যমান বাংলাদেশে তার শতাংশও অবশিষ্ট নেই। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী শুধু প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলই নয়Ñ আর্থিক সঙ্গতির দিক থেকেও সবচেয়ে শক্তিশালী দল। অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতের গবেষণা থেকে ২০ বছর আগেই আমরা জেনেছি, বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর যে বিশাল অর্থনৈতিক সাম্রাজ্য রয়েছে- প্রতি বছর সেখান থেকে নিট মুনাফা হয় দুই হাজার কোটি টাকারও বেশি। আমার প্রামাণ্যচিত্র ‘দি আল্টিমেট জিহাদ’-এ সৌদি বুদ্ধিজীবী ড. ইরফান আলাভী বলেছেন, ২০০৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ‘জামায়াতে ইসলামী’ ও ‘মুসলিম ব্রাদারহুড’কে ৫০ বিলিয়ন পাউন্ড দিয়েছে, বাংলাদেশী টাকায় যা প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা। সদস্য সংখ্যা ও সমর্থক হিসাব করলে নিঃসন্দেহে পাল্লা ভারি হবে আওয়ামী লীগের। এরপর বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। কিন্তু জামায়াতের মতো দলীয় নীতি-আদর্শের প্রতি নিবেদিত এবং গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলামান্য সদস্য অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে নেই। এ ছাড়া জামায়াতের রয়েছে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। মরক্কো থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত ওহাবিবাদী রাজনৈতিক ইসলামের ধজাধারী দলগুলোর সঙ্গে জামায়াতের রয়েছে দৃঢ় ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক। ‘দি আল্টিমেট জিহাদ’ ছবিতে যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক ও সন্ত্রাসবিষয়ক গবেষক মার্টিন ব্রাইট বলেছেন, লন্ডনে জামায়াতের যে শক্তিশালী সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক রয়েছে, বহু ব্রিটিশ রাজনৈতিক দলেরও তা নেই। এহেন শক্তিশালী জামায়াত বাংলাদেশে ২০১৮-এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এভাবে পরাজিত হবে তা দেশে ও বিদেশে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের রীতিমতো বিস্মিত করেছে। আমাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর পাকিস্তানের লাহোর থেকে আমাকে ফোন করেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদীর কনিষ্ঠ পুত্র হায়দার ফারুখ মওদুদী। পিতার রাজনীতি ও সংগঠনের কট্টর সমালোচক হায়দার ফারুখের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল ২০১২ সালে দ্বিতীয় দফা পাকিস্তান সফরের সময়। পাকিস্তানের জঙ্গী মৌলবাদের স্বরূপ বিশ্লেষণ করে সেখানকার ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদদের সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে আমি তখন ‘জিহাদ উইদাউট বর্ডার’ নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করছিলাম। এই ছবিতে হায়দার ফারুখ মওদুদীর এক দীর্ঘ সাক্ষাতকার রয়েছে। লাহোরে আবুল আলা মওদুদীর বাড়ির বিশাল লাইব্রেরিতে বসে তার পুত্রের কাছে জামায়াতের রাজনীতি এবং নেতাদের ভ-ামির সাতকাহন শুনে বাক্যহারা হয়ে গিয়েছিলাম। হায়দার ফারুখের বাচনভঙ্গি যেমন চমৎকার তেমনি প্রখর তার রসবোধ। আমাকে বলেছিলেন, জামায়াত সম্পর্কে তার চেয়ে বেশি জানেন আল্লাহর এমন বান্দা ভূ-ভারতে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। অকপটে বলেছেন, জন্মের পর থেকেই তো এই দলের গুণ্ডামি বদমাইশি নিজের চোখের সামনে দেখেছি। আমার পিতা যা লিখেছেন, দলের কর্মী ও সমর্থকদের যা বলতেন ব্যক্তিজীবনে তার ধারে-কাছেও ছিলেন না। তিনি সবাইকে নসিহত করতেন তার দল ও রাজনীতি করার জন্য, অথচ নিজের সন্তানদের রাজনীতির ছায়াও মাড়াতে দেননি। অন্যদের ছেলেমেয়েদের তিনি মাদ্রাসায় পড়ার উপদেশ দিতেন, নিজের নয় সন্তানকে ইংরেজী মাধ্যম স্কুলে পড়িয়েছেন, উচ্চশিক্ষার জন্য বিলেতে ও আমেরিকা পাঠিয়েছেন। বহুল আলোচিত পিতার বিদ্রোহী সন্তান হিসেবে শুধু নয়, একজন ইসলামী চিন্তাবিদ হিসেবে হায়দার ফারুখ মওদুদী পাকিস্তানে সুপরিচিত। সময় কাটান লেখালেখি করে আর বক্তৃতা দিয়ে। লাহোরে তার প্রচুর ভক্ত দেখেছি বিকেলে দর্শনলাভের জন্য বাড়িতে ভিড় জমাতে। চমৎকার ছবিও আঁকেন তিনি, যা ওহাবিবাদ ও মওদুদীবাদে নিষিদ্ধ। আমার একাধিক ছবিতে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করার কোনও অধিকার থাকতে পারে না। ব্যাখ্যা করে বলেছেন, বাংলাদেশের জন্মের বিরোধিতা করে, স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্বীকার করে জামায়াত এদেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াত জারজ সন্তান তুল্য। পিতার সম্পত্তিতে জারজ সন্তানের যেমন উত্তরাধিকারত্ব থাকে না, ঠিক সে কারণে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াত নাজায়েজ। শেখ হাসিনার উচিত এই দলটিকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা। আমার ‘জার্নি টু জাস্টিস’ ছবিতে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা যদি জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ না করেন এই দলটি বাংলাদেশকে ধ্বংস করবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল জেনে হায়দার ফারুখ অত্যন্ত প্রীত হয়েছেন। টেলিফোন করে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আপনারা যেভাবে জাতীয় সংসদ থেকে জামায়াতকে বিতাড়ন করেছেন তা পাকিস্তানে যারা জামায়াত এবং ধর্মের নামে রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তাদের অনুপ্রাণিত করবে। আমি তাকে বলেছি, আমাদের এ বিজয়ে আপনারও অবদান আছে। নির্বাচনকে উপলক্ষ করে আমি ‘ভুলি নাই’ নামে যে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছি সেখানে হায়দার ফারুখের চমকপ্রদ বক্তব্য রয়েছে। জামায়াত-বিএনপি কিভাবে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার অর্থের বিনিময়ে তাদের স্বার্থে কাজ করে তার বিশদ বিবরণ দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে তার সরস মন্তব্য ছিল- ‘আল্লাহ রসুলের দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য আইএসআইর কাছ থেকে টাকা নিতে কিংবা তাদের স্বার্থে কাজ করতে অসুবিধে কোথায়? জন্ম থেকে জামায়াত তাদের যাবতীয় দুষ্কর্মের ঢাল হিসেবে ইসলামকে ব্যবহার করেছে। ধর্মের নামে রাজনীতি যে নাজায়েজ এটি হায়দার ফারুখ কোরানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন। জামায়াতের রাজনীতি থেকে দূরে থাকার জন্য তিনি সব সময় তার দেশবাসীকে উপদেশ দেন। ২০১৮-এর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপি জোটের শোচনীয় পরাজয়ের বহু কারণ আছে। যদিও এই জোট নির্বাচনের আগে থেকেই কারচুপির কথা বলেছে, যেমনটি অতীতেও বলেছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সময়- এবার তাদের কারচুপির গল্প মানুষ বিশ্বাস করেনি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ছয় মাস আগে সিলেটে মেয়র নির্বাচনের সময়ও বিএনপি-জামায়াত আগাম কারচুপির কথা বলেছিল। নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হওয়ার পর বলেছে কারচুপি না হলে তারা দুই লাখ ভোটে জিতত। সাংবাদিকরা হিসাব করে দেখিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে জিততে হলে বিএনপিকে ভোটার সংখ্যার চেয়ে বেশি ভোট বাক্সে ভরতে হতো। বাংলাদেশে নির্বাচনে কম-বেশি কারচুপি দেখে আমরা অভ্যস্ত। নির্বাচনে বিজয় কিভাবে ছিনিয়ে নিতে হয় এই কৌশল বিএনপির কাছ থেকে শিখেছে আওয়ামী লীগ ও অন্য দলগুলো। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রশাসনের সাহায্যে কিভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়া করেছে, জেলে ঢুকিয়েছে, কিভাবে সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভেতর আতঙ্ক ছড়িয়ে, হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতন-গৃহে অগ্নিসংযোগ-লুণ্ঠন প্রভৃতি মানবতাবিরোধী অপরাধের আশ্রয় নিয়ে লাখ লাখ মানুষকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে তার ভুক্তভোগী আমাদের অনেকেই। এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছেন, যা অতীতে কখনও দেখা যায়নি। জামায়াত-বিএনপির অভিভাবক ড. কামাল হোসেন, বন্ধু মুনতাসীর মামুন যার নাম দিয়েছেন ‘জামায়াত হোসেন’- নির্বাচনে অনিয়মের কথা বলে শেখ হাসিনার নতুন সরকারকে স্বীকৃতি না দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছিলেন। বিভিন্ন দূতাবাসে ধর্ণা দিয়ে তাদের বোঝাবার সব রকম চেষ্টা করেছেন। কেউ তাদের অভিযোগের প্রতি কর্ণপাত করেননি। এমনকি পাকিস্তানও তাদের অনুগত গোলামদের আবদার উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। বিএনপি এবং তাদের ঘরানার সুশীলদের উচিত নির্মোহভাবে পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করা এবং এই পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীর আন্দোলনের নীতি-কৌশল প্রণয়ন করা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির বড় কারণগুলো হচ্ছে- ১. জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির কঠিন গাঁটছাড়া। এতকাল বিএনপি বলেছে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তাদের কোন আদর্শগত মিল নেই, জোট নেই, আছে শুধু নির্বাচনী সমঝোতা- জামায়াতের সঙ্গে আসন ভাগ করে যে যার প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে। এবার বহু আসনে বিএনপির বিরুদ্ধে যেমন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন, একইভাবে জামায়াতও স্বতন্ত্রভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে ৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। চলবে...
×