ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২৫ জানুয়ারি ২০১৯

উবাচ

এমনি এমনিই স্টাফ রিপোর্টার ॥ দলীয় কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পুড়িয়ে বিএনপি বলেছিল এসব অন্যদের কাজ। তাদের নেতাকর্মীরা এসব করে না, বোঝেও না। এখন খোদ মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের আরেক নেতার কলার চেপে ধরে চোয়াল শক্ত করে কথা বলছেন। তিনি মহাসচিব হিসেবে তার দলের নেতাকে শাসন করতেই পারেন। কিন্তু তা লুকানোর প্রয়োজন কি? বিএনপিই শুধু নয়। যিনি কলার ধরেছেন সেই মির্জা ফখরুল ইসলাম তো বটেই অস্বীকার করছেন যার কলার ধরা হয়েছিল সেই সাইফুল ইসলামের (ভিপি)। তিনি বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি। বিএনপির ঘাঁটি বগুড়ায় লিফটের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই কলার কাহিনীর ছবি তুলে ফেলেন সাংবাদিকরা। সাইফুলের জ্যাকেটের কলার চেপে ধরে ফখরুল ক্ষুব্ধ চেহারায় কিছু বলছেন তাকে। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, তাদের মধ্যে সে সময় বাগবিত-া হচ্ছিল। সাইফুল বলছেন, মহাসচিব কলার ধরেননি। কথা বলার সময় তার হাত কলারের কাছে চলে এসেছিল। নির্বাচনের ঠিক আগেভাগে বিএনপি মহাসচিবের বিরুদ্ধে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অভিযোগ তোলেন তিনি কারও ফোনই ধরেন না। আবার নির্বাচনের পরেই দলের মহাসচিব বদলানোর ইঙ্গিত দেন কয়েকজন সিনিয়র নেতা। দলের এই অবস্থায় মির্জা ফখরুলের ছোট নেতাদের কলার ধরা ছাড়া কিইবা করার আছে। মিথ্যুক সজ্জন স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেমন মানুষ? এর মূল্যায়নে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন ফখরুল ইসলাম সজ্জন মানুষ, মানুষ হিসেবেও ভাল। তিনি আসলে দলের চাহিদা পূরণ করলেন কি না, সেটা দেখবে বিএনপি। তিনি দল করেন, তাই দলের পক্ষে অনেক কিছু বলছেন। তিনি তো আর বিএনপির আবাসিক প্রতিনিধির মতো বক্তব্য রাখেন না। আমি মির্জা ফখরুল ইসলামের মুখে নোংরা কথা শুনিনি। প্রতিপক্ষ দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে পাওয়া এমন মূল্যায়ন খুব কম মানুষের ভাগ্যেই জোটে। তবে বিএনপি সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, নির্বাচনের পর বিএনপিকে দেখলে মনে হয় শিল্পী জয়নুলের কাদায় আটকে পড়া গরুর গাড়ির মতো। কাদায় আটকে আছে, সেটা ভুলের কাদায় এবং তাদের এখনকার কথাবার্তা, আচরণে ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার কোন ইঙ্গিত বা ইশারা নেই। এত বড় মূল্যায়নের পরেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কলার কাহিনী প্রকাশ পেল। আর যথারীতি বিএনপির পক্ষ থেকে বরাবরের মতোই সব কিছু অস্বীকার করার চেষ্টা করা হলো। এর প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম সজ্জন মানুষ, তবে তিনি সুন্দর করে মিথ্যা কথা বলতে পারেন। দুই বছর স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজনৈতিক পরামর্শকদের সব থেকে বড় দুঃখ হচ্ছে যারা পরামর্শক হিসেবে তাদের মনোনীত করেন তারা কেউ সেই পরামর্শ মানেন না। ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী গত কয়েক বছর ধরে বিএনপিকে যত পরামর্শ দিয়েছেন তার একটাও তারা মাথায় নেয়নি। এবারও নেবে কি না বোঝা কঠিন। তিনি সম্প্রতি বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে দুই বছরের জন্য রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে হবে, নইলে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারবে না দলটি। একটি বেসরকারী টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাতকারে এমন মত দিয়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। নির্বাচনে বিএনপির শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে বিএনপির শীর্ষ নেতা বলে কিছু নেই। তারা সাধারণ মানুষকে বলতে পারেনি ক্ষমতায় গেলে তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন। খালেদা জিয়া কারাগারে আর তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তারা কেউই সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নয়। ফলে মানুষ আস্থা রাখতে পারেনি। এই অবস্থায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনে করেন, তারেক রহমান রাজনীতি থেকে দূরে থাকলে বিএনপির পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে। তিনি চান দুটি বছর নতুন নেতৃত্বে চলুক বিএনপি। এরপর ফিরতে পারেন জিয়াউর রহমান পুত্র। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি তো মনে করি তারেক রহমানের দুই বছরের জন্য অব্যাহতি নেয়া উচিত। উনি ওখানে বসে একটা মাস্টার ডিগ্রী করুন। পরে আসলে উনি দায়িত্ব নিতে পারবেন।
×