ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

২০২৪ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি সম্ভব

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯

২০২৪ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি সম্ভব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, ২০২৪ সালে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রফতানি করা সম্ভব। বর্তমানে দেশের মোট রফতানির ৮১.২৩ ভাগ আসে তৈরি পোশাক রফতানি থেকে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যআয়ের দেশে পরিণত হবে। এ সময় তৈরি পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক রফতানিতে বিশ^বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। আমাদের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাতের রফতানি বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে। ব্যাংকের লোন সহজ ও সুদের হার কমানো প্রয়োজন। আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদান এখন ৩২ ভাগ। দ্রুতগতিতে দেশে শিল্পায়ন হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। অনেকগুলোর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। দেশের উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠতে বেশি সময় প্রয়োজন হবে না। বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আয়োজক সংস্থা সেমস গ্লোবাল এবং চায়নার সাব-কাউন্সিল অব টেক্সটাইল ইনডাস্ট্রি টেক্সের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী ‘১৫তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন এন্ড ফেব্রিক শো-২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেন, দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে এবং ভারত থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এগিয়ে। দেশের এগিয়ে যাবার জন্য সকল ক্ষেত্রে কাজ চলছে। দেশে শিল্পায়নের জন্য চাহিদা মোতাবেক সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, মেলায় ২২টি দেশের ৩৭০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রদর্শনীতে রয়েছে নিত্য নতুন প্রযুক্তি, সুতা, ডেনিম, নিটেড ফেব্রিক্স, ফ্লিস, ইয়ার্ন এন্ড ফাইবার, রং, রাসায়নিক দ্রব্যাদি এবং উদ্ভাবনী কাঁচামাল। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০.৩০ মিনিট থেকে সন্ধা ৭.৩০ মিনিট পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। সেমস গ্লোবালের কর্ণধার মিজ মেহেরুন ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট আতিকুল ইসলাম, বিকেএমইএর ফাস্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট মনসুর আহমেদ এবং চায়নার সাব-কাউন্সিল অব টেক্সটাইল ইনডাস্ট্রি টেক্সের পরিচালক সেন জেন। ফিলিপাইন বাংলাদেশ থেকে ওষুধ ক্রয় করতে আগ্রহী ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, ফিলিপাইন বাংলাদেশ থেকে ওষুধ ক্রয় করতে আগ্রহী। এ মুহূর্তে প্রায় ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ওষুধ রফতানি হলেও, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ফিলিপাইন বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক সামগ্রী, এ্যাগ্রো ফুড প্রসেসিং ও চামড়া শিল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সেবা খাতে ফিলিপাইনের কিছু জনবল বাংলাদেশে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্পেশাল ইনোকনমিক জোনে পিলিপাইন বিনিয়োগ করবে। বর্তমানে ফিলিপাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য খুব বেশি নয়। বাংলাদেশ ফিলিপাইনে প্রধানতঃ তৈরি পোশাক শিল্পের এক্সেসরিজ, ওষুধসহ কিছু পণ্য রফতানি করে আসছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ফিলিপাইনে ৪৭.০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে ৮.০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। উভয় দেশ বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ভিসেন্ট ভিভেনসিও টি বানডিলোর সঙ্গে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ফিলিপাইনের প্রতি আহ্বান জানানো হলে রাষ্ট্রদূত এ আগ্রহের কথা জানান। আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক সামগ্রী এবং এ্যাগ্রো ফুড প্রসেসিং কারখানা স্থাপনের আহ্বান জানানো হয়।
×