ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আমিনূর রশীদ বাবর

ট্রাফিক পুলিশের দায়

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯

ট্রাফিক পুলিশের দায়

অযাচিত অনাকাক্সিক্ষত বেদনাবহ ঘটনাই দুর্ঘটনা। বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা আছে। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন খবরের কাগজ হাতে নিলেই দেখবেন কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হওয়ার দঃসংবাদ। এমন কোন দিন নেই যে, সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যায়নি। সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা এখন এমন একপর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে রীতিমতো এটা একটি জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এই সমস্যা কিন্তু একদিনে সৃষ্টি হয়নি। এই সমস্যা বহু পূর্ব থেকে চলে আসছে। তবে ওই সময় তেমন তীব্র ছিল না। সহনীয় মাত্রায় ছিল। কালে কালে সমস্যাটি পুঞ্জীভূত হয়ে এখন বিরাট আকার ধারণ করেছে। এখন সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহন এবং যাত্রীসংখ্যা বিপজ্জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই সময় কিন্তু কেহই বিষয়টি আমলে নেয়নি। যখন বিষয়টি নিয়ে ভাবার ছিল তখন কেউই ভাবেনি। সবাই তখন সড়ক, মহাসড়কের ফুটপাথ দখলে মত্ত ছিল। স্বাধীনতা পূর্ব এই সব সড়ক যে অবস্থায় ছিল স্বাধীনতার এত বছর পরও একই অবস্থায় আছে কোন পরিবর্তন হয়নি। বরং ভূমি দস্যুরা বার বার সড়কের ফুটপাথ জবর দখল করে সড়ক ক্রমশ সঙ্কুচিত করছে, এতে পথচারীরা বাধ্য হয়ে ফুটপাথ ছেড়ে মূল রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। আমার শহরের কোর্ট রোডস্থ সড়কের প্রায় তিন শতক পরিমাণ ফুটপাথ জবর দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করে ভাড়া দেয়া হয়েছে। অনুরূপভাবে এই শহরে আরও প্রায় অর্ধশতক পরিমাণ ফুটপাথ জবর দখলে আছে। এই সব জবর দখল উচ্ছেদের ব্যাপারে কারও কোন উদ্যোগ নেই। ফুটপাথ দখলমুক্ত করার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে বলা হয় যে, এরা খুব প্রভাবশালী লোক। কোন স্বাধীন দেশে প্রভাবশালী বলে কোন শব্দ থাকতে পারে না। সড়ক দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ এলেই এক তরফাভাবে গাড়িচালক ও মালিকের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিয়ে রথী-মহারথীরা ভাল মানুষ সাজার চেষ্টা করেন। এ ধরনের মানসিকতা পরিহার করতে হবে। নিরাপদ সড়ক করতে হলে এ ধরনের মানসিকতা ত্যাগ করে সম্মিলিতভাবে কিছু কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ব্যবস্থাগুলো হচ্ছে, গাড়ির চালকদের ন্যূনতম শিক্ষা থাকতে হবে। চালকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি রাস্তায় নামানো নিষিদ্ধ করতে হবে। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই, মাল বোঝাই করা নিষিদ্ধ করতে হবে। ট্রাফিক পুলিশের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। গাড়ির মালিক ও পরিবহন শ্রমিকদের আইনের আওতায় আনতে হবে। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। গাড়ি চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করতে হবে। যথাযথ স্থানে জেবরা ক্রসিং ও স্পিড ব্রেকার দিতে হবে এবং দেশের সকল ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে হবে। গীর্জাপাড়া মৌলবীবাজার থেকে
×