ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অসতর্ক চালক!;###;শুভ্র ঘোষ

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ নিরাপদ সড়ক

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ নিরাপদ সড়ক

সড়ক দুর্ঘটনা বর্তমানে আমাদের দেশে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রতিদিনই দেশের কোন না কোন স্থানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। দূর-দূরান্তের গাড়িগুলোর ড্রাইভাররা নিজেদের অনেক পণ্ডিত ভাবেন। অনেকে গাড়ি ড্রাইভ করছেন এক হাতে অন্য হাতে মোবাইলে খুব ফুর্তির সঙ্গে কথা বলছেন। এভাবেও অনেক এ্যাক্সিডেন্ট হচ্ছে। অনেক ড্রাইভার নেশাগ্রস্ত, অসুস্থ বা ক্লান্ত অবস্থায় ড্রাইভিং করেন। সড়ক দুর্ঘটনার এটাও একটা কারণ। বর্তমানে জিনিসপত্রের দামের যে উর্ধগতি। সে অনুযায়ী ড্রাইভারদের আয় হচ্ছে না। তাই তারা তাদের আয়-বৃদ্ধির জন্য কখনও কখনও নিজের প্রাণ বিলিয়ে দিচ্ছেন এবং যাত্রীদেরও মারছেন। যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং মানুষের জন্য বিপদ বয়ে আনছে। ডিজিটাল ট্র্যাফিক সিগন্যালের মাধ্যমে গাড়ি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এছাড়া প্রয়োজন নেশাগ্রস্ত বা ড্রাইভিং করার মতো শারীরিক অবস্থা না থাকা সত্ত্বেও যারা ড্রাইভিং করবেন, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা। শখের বসে কেউ যেন গাড়ি চালাতে না পারে। আনাড়ি শখ করে যারা গাড়ি চালাবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সামান্য বৃষ্টিতেই উন্নয়নশীল দেশে রাস্তা ডুবে যাওয়া বেমানান। তাই রাস্তা যেন অধিক বর্ষণেও না ডোবে, সেই পদক্ষেপ কথায় নয়, বাস্তবে নেয়া। যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিং করলে বা গাড়ি ঘোরানোর চেষ্টা করলে সেই ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। লং রোডে অনেক সময় হাইওয়ে পুলিশ খুঁজে পাওয়া যায় না। তারা যেন নিয়মমাফিক দায়িত্ব পালন করেন, তা মনিটরিং করা। রাস্তায় দায়িত্বরত পুলিশদের আরও ভালভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে রাস্তায় নামানো। সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধের আরও নিশ্চয়ই সুচিন্তিত অনেক পথ আছে। সদিচ্ছা থাকলে উপায়ের পথ বের হয়। সদিচ্ছা প্রয়োজন সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে। মাগুরা থেকে
×