ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে আরও একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হবে ॥ রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯

বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে আরও একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হবে ॥ রেলমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ রেলমন্ত্রী এ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন এমপি বলেছেন, জাপান সরকারের অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে আরও একটি ডাবল লাইনের পৃথক রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ আরও সম্প্রসারিত হবে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর সড়ক ও রেলপথ একসঙ্গে থাকায় ওই সেতুতে চাপ বেড়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রেলমন্ত্রী বলেন বিএনপির শাসনামলে রেলকে ধ্বংস করতে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের নামে এক সঙ্গে ১০ হাজার রেলকর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। নতুন লোক নিয়োগের মাধ্যমে এ সঙ্কট নিরসনে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাওয়া রেলওয়ে স্টেশন চালু করা হবে। জনগণের সেবার জন্য রেল। তাই অধিকসংখ্যক যাত্রী পরিবহনের জন্য বিদেশ থেকে আড়াইশ’ রেল কোচ আমদানি করা হচ্ছে। এসব দিয়ে একাধিক যাত্রী বহন করা হবে। আগামী পাঁচ বছরে রেলের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। তিনি বলেন বিএনপি হাতে মৃত দেশের রেলকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক রেল মন্ত্রণালয় গঠন করে বিগত আট বছরে রেলের উন্নয়নে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। দেশ বিদেশের রোল মডেল টানা তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবার নতুন আঙ্গিকে রেলকে আরও সুজ্জিত করা হবে। দেশের প্রতিটি এলাকায় আন্তঃনগর ও মেইল ট্রেন সার্ভিস চলবে। রেলওয়ের উন্নয়নে সরকার ৪৫টি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর একটি হল ৪০টি ব্রডগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক (ডিই) লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) ক্রয়। এ জন্য ইঞ্জিন সঙ্কট কাটাতে ৪০টি ব্রডগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক (ডিই) লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) কিনতে সম্প্রতি চ্যুক্তি করা হয়েছে। এসব লোকোমোটিভ সরবরাহ করবে আমেরিকান কো¤পানি মেসার্স প্রোগ্রেসিভ রেল ইউএসএ। এতে সরকারের খরচ হবে ১ হাজার ১২৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া আরও নতুন কোচ যাত্রী পরিবহনের জন্য সংযুক্ত করা হবে। আমরা ধাপে ধাপে রেলপথগুলো ডবল লাইনে নিয়ে আসব। রেলমন্ত্রীমন্ত্রী জানান ভারতের সহযোগিতায় সৈয়দপুরে আরও একটি রেল কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেখানে নতুন নতুন কোচ নির্মাণ করা হবে। ফলে বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরশীলতা কমে যাবে। বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, বেশি বেশি রেল চলাচলের কারণে বঙ্গবন্ধু সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে এর পাশেই একটি ডাবল লাইন রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। জাপান সরকারের অর্থায়নে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মোঃ শামসুজ্জামান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাপরিচালক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম, পশ্চিম রেলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক বেলাল হোসেন সরকার, নীলফামারী জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন প্রমুখ।
×