ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শাহনাজের দুই মেয়ের লেখাপড়ায় সহায়তা দেবে উবার

প্রকাশিত: ০৬:১১, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯

শাহনাজের দুই মেয়ের লেখাপড়ায় সহায়তা দেবে উবার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মোটরসাইকেল হারানোর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই চালক শাহনাজের দুই মেয়ের এক বছরের শিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে উবার। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দেয় উবার কর্তৃপক্ষ। এ সময় শাহনাজের দুই মেয়ের হাতে তুলে দেয়া হয় দায়িত্ব পালনের আগাম নিশ্চয়তা সনদ। উবারের অধীনে মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি দুই মেয়ের লেখাপড়ার খরচও বহন করতে হয় শাহনাজকে। এবার তার দুই মেয়েকে এক বছরের শিক্ষা বৃত্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উবার। এজন্য ‘জেনারেশন নেক্সট’ নামে একটি উদ্যোগ চালু করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। এর আওতায় শাহনাজের দুই মেয়ের লেখাপড়ায় সহায়তা করা হবে। এ বিষয়ে উবার জানিয়েছে- ‘জেনারেশন নেক্সট’ শুরু হতে যাচ্ছে শাহনাজ আক্তারকে দিয়ে, তার দুই মেয়ের জন্য অন্তত এক বছরের বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। উবার সব সময়ই ড্রাইভার-পার্টনারদের আরও উন্নত জীবন দেয়ার জন্য সচেষ্ট। উবারের চালকরা যেন তাদের পরিবারের জন্য আরও নিশ্চিত ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারেন, এই লক্ষ্যে জেনারেশন নেক্সট উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি নির্বাচিত চালক ও পার্টনারদের পরিবারের জন্য স্কুল বৃত্তির ব্যবস্থা করবে উবার। উল্লেখ্য পার্ট-টাইম কাজের প্রস্তাব দিয়ে শাহনাজের বাইকটি ছিনতাই করেছিল এক চালক। এর আগে ১০ জানুয়ারি মিরপুরের শ্যামলী এলাকায় জনির সঙ্গে শাহনাজের পরিচয় হয়। এ সময় জনি নিজেকে পাঠাও চালক বলে পরিচয় দেয়। সে শাহনাজকে একটি স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারবে বলে জানায়। তার কথায় আশ্ব্স্ত হলে সে ১৫ জানুয়ারি দুপুর ১২টার সময় শাহনাজকে খামারবাড়ি এলাকায় আসতে বলেন। তার কথামতো স্কুটি নিয়ে যথাসময়ে সেখানে এলে হঠাৎ সে শাহনাজের স্কুটিতে উঠে বসে। এরপর তার অনুরোধে বিমানবন্দর এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে ফের মানিক মিয়া এভিনিউয়ের রাজধানী উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে আসে তারা। এরপর একটি টং দোকানে জনির সঙ্গে চা খান শাহনাজ। এ সময় জনি স্কুটি চালানোর ইচ্ছা প্রকাশ করলে শাহনাজ তাকে অনুমতি দেন। এরপর চালানোর নামে কৌশলে জনি স্কুটিটি ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। তবে পুলিশের দ্রুত তৎপরতায় বাইকটি ফিরে পান তিনি। শাহনাজ আক্তার সাংবাদিকদের বলেন- উবারের এই উদ্যোগ আমাকে ভীষণভাবে সাহায্য করবে। ইতোমধ্যে মিরপুর বাংলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং আরবান প্রিপারেটরি স্কুলের সঙ্গে কথা বলে সব ব্যবস্থা করে ফেলেছে উবার কর্তৃপক্ষ। যেহেতু তাদের স্কুলের দায়ভার উবার নিয়েছে, তাই এই অর্থটুকু আমি আমার মেয়েদের ভবিষ্যতের জন্য জমাতে পারব। একই সঙ্গে তাদের পড়াশোনাটাও নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারবো। আমি চাই আমার মতো পরনির্ভরশীল না হয়ে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার মর্যাদাই অনেক।
×