স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাংবাদিক ও আইনজীবীদের সরকারী পেনশন সুবিধার আওতায় আনার দাবিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে রিট আবেদনে তাদের পেনশন সুবিধার আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় ফান্ড বরাদ্দ দিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী মোঃ মোজাম্মেল হক। অন্যদিকে ঢাকার প্রায় ২৮শ’ একর খাস জমি উদ্ধারে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।
সাংবাদিক ও আইনজীবীদের সরকারী পেনশন সুবিধার আওতায় আনার দাবিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, তথ্য ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের তিনটি সাংবিধানিক অঙ্গের বাইরে আইনজীবীরা একটি সাংবিধানিক অঙ্গ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। একইভাবে কিছু ‘হলুদ’ সাংবাদিক বাদে দেশের সাংবাদিকরাও তাদের সংবাদ সংগ্রহের মাধ্যমে প্রতিদিন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, যাতে করে নির্বাহী বিভাগ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, বেসরকারী সংস্থা এবং সব নাগরিক লাভবান হচ্ছেন। অথচ আইনজীবী এবং সাংবাদিকরা সব ক্ষেত্রে অবহেলিত।
খাস জামি উদ্ধারে হাইকোর্টের পুর্নাঙ্গ রায় প্রকাশ ॥ ঢাকার প্রায় ২৮শ’ একর খাস জমি উদ্ধারে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর স্বাক্ষর করার পর রায়টি প্রকাশ করা হয়। রায়ে আদালত বলেছেন, সরকারের নামে থাকা ২৮শ’ একর জমি উদ্ধার করা ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সূত্র জানায়, ১৯৯৫ সালে ঢাকা মহানগরে ভূমি জরিপ করা হয়। সে সময় জেলা প্রশাসকের এক নম্বর খতিয়ানভুক্ত প্রায় ২৮শ’ একর খাস জমি বিভিন্ন ব্যক্তির নামে রেকর্ডভুক্ত করেন জরিপ কাজে নিয়োজিত সেটেলমেন কর্মকর্তারা। এসব জমির বেশিরভাগই খাল ও নদী। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ২০১১ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, সরকারের অবশ্যই ওই জমি উদ্ধারে প্রেস সার্ভে (নতুন জরিপ) করার আইনগত অধিকার রয়েছে। অপর এক আদেশে পূর্ণ দায়-দায়িত্ব ঠিক হবার আগ পর্যন্ত কারোর বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলা না করার জন্য মতামত দেন আদালত। ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেছেন, পূণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু এখনও ওয়েবসাইটে দেয়া হয়নি। শীঘ্রই ওয়েবসাইটে দেয়া হবে।