ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

উইন্ডিজের দায়িত্ব নিলেন পাইবাস

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ২২ জানুয়ারি ২০১৯

উইন্ডিজের দায়িত্ব নিলেন পাইবাস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব নেয়ার আগেই সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ রিচার্ড পাইবাস। সাবেক অধিনায়ক ড্যারেন স্যামিসহ অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন পাইবাসের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ব্যাপারে। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত উইন্ডিজ ক্রিকেটের পরিচালক পদে থাকা পাইবাসকে এবার কোচের দায়িত্বে বসাতে গিয়ে বিপাকের মুখেই পড়েছিল ক্রিকেট উইন্ডিজ (ডব্লিউইআইসিবি)। তবে সে সবকে পাত্তা না দিয়ে নিজের মতো কাজ শুরু করে দিয়েছেন পাইবাস। সমালোচনাকে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করে পাইবাস বলেন, ‘সমালোচনা আসলে নিত্যদিনের স্বাভাবিক ঘটনাই। খেলাধুলায় এসব হবেই। আমার শুধু নিজের কাজে মন দিতে হবে। আমার দলও ইতিবাচক রয়েছ এবং মাঠে নামতে উন্মুখ হয়ে আছে। আপনারা (সংবাদ মাধ্যম) প্রতিবেদন করবেন, হয়তো নানান দিক উন্মোচন করবেন- তবে আমি আমার নিজের কাজটাই করতে চাই।’ উইন্ডিজের দায়িত্ব নেয়া পাইবাসের প্রথম এ্যাসাইনমেন্ট ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। আগামী ২৩ জানুয়ারি ব্রিজটাউনে শুরু হবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। এরপর পাঁচটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি২০ খেলবে দুই দল। সব বাদ দিয়ে এখন শুধু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এ সিরিজের কথাই ভাবছেন তিনি। পাইবাস বলেন, ‘ছেলেরা অন্য কিছু নিয়ে ভাবছে না। আসন্ন সিরিজের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। আমিও সিরিজ শুরুর অপেক্ষা করছি। এটা হয়তো অনেক নাটুকে শোনাবে, তবে আমি এবং আমরা ম্যাচের প্রথমদিন থেকেই মনোযোগী থাকার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ এর আগে ২০১৩-২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি ক্যারিবীয় ক্রিকেটের পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। ওই সময় চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও তিনি তা নবায়ন করতে অস্বীকৃতি জানান। পুনরায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে পাইবাসের ফিরে আসাটা অনেকেই মেনে নেননি। সাবেক ক্যারিবীয় ওপেনার ডেসমন্ড হেইন্স তার নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ক্রিকেট পরিচালক হিসেবে পাইবাস থাকাকালীন অধিনায়ক ড্যারেন সামিও তার ফিরে আসার বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারেননি। পরিচালক হিসেবে পাইবাসের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার গড়তে হলে একজন ক্রিকেটারকে অবশ্যই ঘরোয়া টুর্নামেন্টে পারফর্ম করতে হবে, পাইবাসের এই নীতি অনেকেই মেনে নেয়নি। বিশ্বজুড়ে টি২০ খেলতে তাই অনেক তারকা জাতীয় দল ছাড়েন। পাইবাসের অধীনে পাকিস্তান ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। এরপর তিনি স্বল্প সময়ের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় দলের দায়িত্বে ছিলেন। এতসব বিতর্ক পেছনে ঠেলে ‘কোচ পাইবাস’ এবার ধুঁকতে থাকা উইন্ডিজ ক্রিকেটকে কতটা দিতে পারবেন সেটিই দেখার অপেক্ষা।
×