ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতির মাধ্যমেই বহির্বিশ্বে উজ্জ্বল হবে দেশের ভাবমূর্তি

প্রকাশিত: ০৬:১১, ২২ জানুয়ারি ২০১৯

সংস্কৃতির মাধ্যমেই বহির্বিশ্বে উজ্জ্বল হবে দেশের ভাবমূর্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সোমবার শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনাসভা বক্তরা বলেন, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে যথাযথভাবে মেলে ধরতে উজ্জ্বল ভূমিকা রাখতে পারে আমাদের সংস্কৃতি। এভাবে সংস্কৃতির মাধ্যমেই বহির্বিশ্বে উজ্জ¦ল হবে দেশের ভাবমূর্তি। কয়েক হাজার বছরের পুরোনো ইতিহাস ঐতিহ্যের অনন্য দেশ বাংলাদেশেরও রয়েছে অত্যন্ত সমৃদ্ধ সংস্কৃতি। অসাম্প্রদায়িক এবং মানবিক বোধের এ সংস্কৃতির আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাড়াতে পারে দেশের পরিচিতি। আমাদের মঞ্চনাটক, চলচ্চিত্র বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে পারলে দেশের ভাবমূর্তি বাড়বে। শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে সোমবার বিকেলে ‘আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের সংস্কৃতি’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শিল্পকলা একাডেমি। এতে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মঞ্চনাটক তুলে ধরতে নানা উদ্যোগের কথা বলেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। অনুরূপভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের চলচ্চিত্র তুলে ধরতে নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম। এ সময় তারা বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে উদ্যোগ নিলে দেশের সংস্কৃতি বহির্বিশ্বে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে। এতে করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। রামেন্দু মজুমদার বলেন, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের দেশ খুব সমৃদ্ধ নয়। কিন্তু আমাদের রয়েছে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। আমরা এ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে বহির্বিশ্বে উপস্থিত হতে পারি। দেশের ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে সংস্কৃতি হতে পারে প্রধান মাধ্যম। তার জন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা ও উদ্যোগ। বাংলাদেশের মঞ্চনাটক অত্যন্ত সমৃদ্ধ। পৃথিবীর নানা দেশে আমরা মঞ্চনাটক প্রদর্শনীর আয়োজন করতে পারি। এতে করে অন্যান্য দেশের মানুষ যেমন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানবে, তেমনই জানবে আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কেও। চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাণের ইতিহাস খুব পুরনো নয়। তার পরও আমাদের অনেক চলচ্চিত্র পৃথিবীর নানা দেশে প্রশংসিত হয়েছে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে স্বপক্ষে বিশ্বজনমত গঠনে দারুণ ভূমিকা রেখেছে জহির রায়হানের প্রমাণ্যচিত্র ‘স্টেপ জেনোসাইড’। এ ছাড়াও আমাদের চলচ্চিত্র ‘চাকা’, ‘আগামী’, ‘সূর্যদীঘল বাড়ি’, ‘মাটির ময়না’ ইত্যাদি চলচ্চিত্র পৃথিবীর নানা দেশে প্রদর্শিত হয়েছে, পুরস্কৃত হয়েছে। সভাপতির বক্তব্যে লিয়াকত আলী লাকী বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আয়োজনে নাটক, গান ও নৃত্যের শিশুদল ও বড়দের দল নিয়ে যাওয়া সুযোগ হয়েছে। বহির্বিশ্বে এ ধরনের আয়োজনে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি নিজের দেশকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সমাদৃত হয়েছে সেখানকার দর্শকদের কাছে। আর এভাবেই সংস্কৃতির মাধ্যমে বিদেশের মাটিতে উজ্জ্বল হয়েছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি।
×