অভিযোগ গঠনের শুনানি ৪ ফেব্রুয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছে আদালত। সোমবার পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯নং বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত শুনানি নিয়ে এদিন ধার্য করেন। এদিন আদালতে দেড় ঘণ্টা শুনানি হয়। খালেদা জিয়াকে হুইল চেয়ারে করে দুপুর সাড়ে ১২টায় হাজির করা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আদালত মুলতবি ঘোষণা করা হয়। ১টা ৫৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আবদুর রেজাক খান, এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান খান, মাসুদ আহমেদ তালুকদার। এই মামলার আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদও শুনানিতে অংশ নেন। অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন মোশাররফ হোসেন কাজল। খালেদা জিয়ার পক্ষে আংশিক শুনানির পর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সময় চান। আদালত তা মঞ্জুর করেন। অপর আসামি শহিদুল হকের পক্ষে অপর এক আইনজীবী আংশিক শুনানি করে সময়ের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম গত তত্ত্ববাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন। পরের বছরের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। মামলার প্রধান আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক সচিব মোঃ শফিউর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন। মামলার পলাতক অন্য ৩ আসামি হলেন- সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।