ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘নীল স্টিকার’ লাগানোর পরদিনই ৩ রেস্তরাঁয় পচাবাসি খাবার, জরিমানা

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২২ জানুয়ারি ২০১৯

‘নীল স্টিকার’ লাগানোর পরদিনই ৩ রেস্তরাঁয় পচাবাসি খাবার, জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভাল মানের হিসেবে ‘নীল স্টিকার’ লাগানোর পরদিনই রেস্তরাঁয় মিলেছে পচাবাসি খাবার। সোমবার বিকেলেই রাজধানীর তিনটি রেস্তরাঁয় অভিযানে গেলে এমন প্রমাণ পায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ফলে তাৎক্ষণিক জরিমানা করা হয়। রেস্তরাঁগুলো হলো সেগুনবাগিচা এলাকার ভোঁজ বাংলার স্বাদ, বাগিচা রেস্টুরেন্ট এ্যান্ড পার্টি সেন্টার, ইনজয় রেস্টুরেন্ট এ্যান্ড ফাস্ট ফুড। এমন কা-ে বিব্রত খোদ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক। উল্লেখ্য, ভোক্তা ও ভোজনরসিকদের স্বার্থ রক্ষায় রবিবার ঢাকার ৫৭ রেস্তরাঁকে মান বিবেচনায় ‘এ-প্লাস (উত্তম) ও ‘এ’ (ভালো) গ্রেডের স্বীকৃতি দিয়েছিল বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। স্বীকৃতি পাওয়ার পরদিন ‘ভাল’ তিনটি রেস্তরাঁয় অভিযান চালিয়ে পাওয়া গেল বাসি খাবার আর নোংরা পরিবেশ। অভিযানে রেস্তরাঁর ‘দুর্দশা’ দেখে তাদের এক লাখ টাকা করে মোট তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানটি পরিচালনা করেন অধিদফতরের ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার ম-ল ও জান্নাতুল ফেরদাউস। আব্দুল জব্বার ম-ল বলেন, সেগুনবাগিচা এলাকায় তিনটি নামী-দামী রেস্তরাঁয় অভিযান চালানো হয়। রেস্তরাঁয় ‘এ’ ক্যাটাগরির (ভাল মান) স্টিকারপ্রাপ্ত। বাগিচা রেস্টুরেন্টে অভিযানে গিয়ে নোংরা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরির চিত্র দেখা যায়। এছাড়াও তাদের ফ্রিজে কয়েকদিনের বাসি খাবার রাখা ছিল। তারা সেসব খাবার ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে। এছাড়াও তারা ১৬ টাকার সফট ড্রিংকস ২৫ টাকায় বিক্রি করছে। আইন অনুযায়ী এটি একটি দ-নীয় অপরাধ। একইভাবে ‘ভোঁজ বাংলার স্বাদ’- এ গিয়ে নোংরা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরি ও পুরনো বোতলে বোরহানি বিক্রির চিত্র দেখা যায়। ইনজয় রেস্টুরেন্টে মেয়াদোত্তীর্ণ দই বিক্রির প্রমাণ মিলেছে। এছাড়াও তাদের কোন পণ্যের মূল্য তালিকা ছিল না। এসব অভিযোগে তিন প্রতিষ্ঠান প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এ সময় তিনটি প্রতিষ্ঠানই তাদের ভুল স্বীকার করে। একই সঙ্গে আগামী দুই এক দিনের মধ্যে সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দেয় বলে জানান জব্বার ম-ল। এছাড়াও অভিযানে প্রেসলি বেকারিকে ৩৫ হাজার টাকা এবং তওফিস ফ্যামিলি কর্নারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ বিষয়ে ভোক্তার সহকারী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ তাদের মান দেখে স্টিকার দিয়েছে। এখন তারা নিয়ম না মানলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের আমরা তদারকি করব। এরই অংশ হিসেবে আজকে তিনটিকে জরিমানা করা হয়েছে। আগামীতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। জানতে চাইলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এগুলো মনিটর করা হবে। এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনে ডি-গ্রেডিং করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×