ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১১ মামলার শুনানির তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২১ জানুয়ারি ২০১৯

  খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১১ মামলার  শুনানির তারিখ  ১৭ ফেব্রুয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছে আদালত। অন্যদিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কাভার্ড ভ্যান পোড়ানোর অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা নাশকতার মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এদিকে মানহানির অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছে আপীল বিভাগ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটটির শুনানি হাইকোর্টের নতুন একটি বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার আপীল বিভাগ ও হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ ও বিচারিক আদালত এ আদেশ প্রদান করেছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছে আদালত। রবিবার মামলাগুলো শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু সবগুলো মামলার কার্যক্রম খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন জানিয়ে শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া। পুরান ঢাকার বকশিবাজারের কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এদিন ঠিক করেন। মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর দারুস সালাম থানার নাশকতার ৮টি, যাত্রাবাড়ী থানার ২টি ও রাষ্ট্রদ্রোহের ১টি মামলা। ১১ মামলার মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। অপর ১০ মামলা ছিল অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য। প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে গতবছর ২৫ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়। এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামের এক যাত্রী। ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ। অন্যদিকে, ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়। গতবছরে বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোয় চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। সবগুলো মামলায় খালেদা জিয়াকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়া মামলাগুলোয় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন ॥ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কাভার্ড ভ্যান পোড়ানোর অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা নাশকতার মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি দাখিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কুমিল্লার নাশকতার এক মামলায় স্থানীয় বিচারিক আদালত জামিন আবেদনের শুনানি দীর্ঘায়িত করছেন। তাই এ পর্যায়ে আমরা জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানাই। এখন আবেদনটি বিচারপতি মোঃ রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় উঠলে শুনানি শুরু হবে। মইনুলের জামিন শুনানি ২৪ জানুয়ারি ॥ মানহানির অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছে আপীল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানি নিয়ে রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপীল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ মোমতাজ উদ্দিন ফকির। অন্যদিকে মইনুলের পক্ষে শুনানি করেন তার মামা এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রানা। এমপিদের শপথ গ্রহণের রিট শুনানি নতুন বেঞ্চে ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটটির শুনানি হাইকোর্টের নতুন একটি বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে। তবে কবে শুনানি হবে সেটা নিশ্চিত জানা যায়নি। জানা যায়, হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ঠিক করা হয়েছে। আদালতে রবিবার রিটটি উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
×