ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভবিষ্যতে বিলিয়ন ডলারে প্লাস্টিক পণ্য রফতানি করবে সরকার ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:২২, ২১ জানুয়ারি ২০১৯

 ভবিষ্যতে বিলিয়ন ডলারে প্লাস্টিক পণ্য রফতানি করবে সরকার ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্লাস্টিক পণ্য বিদেশে রফতানির মাধ্যমে বছরে আয় হচ্ছে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার। তবে শীঘ্রই মিলিয়ন থেকে বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ে সরকার পদক্ষেপ নিবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী। রবিবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে প্লাস্টিক মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই শিল্পের জন্য কেরানীগঞ্জে নিজস্ব কারখানা করার ব্যবসায়ীদের এই প্রস্তাব সরকার বিবেচনা করবে। সরকার ব্যবসা করতে আসে নাই, ব্যবসায়ীদের সাহায্য করতে এসেছে। তাই এই সরকার ব্যবসাবান্ধব। মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের সকল বড় বড় ব্যবসায়ীরা এই সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। ব্যবসায়ীও মনে করে এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ভালভাবে চলবে। এতে দেশের অর্থনীতিও আরও শক্তিশালী হবে। টিপু মুনশী বলেন, পাট শিল্পের আবশ্যিক ব্যবহার আইন এর সঙ্গে প্লাস্টিক শিল্পের পণ্য ব্যবহারের সঙ্গে কোন সাংঘর্ষিক আইন আছে কিনা তা সরকার বিশ্লেষণ করবে। এই প্লাস্টিক শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে সরকার উদারভাবে সাহায্য করবে। প্লাস্টিক ব্যবসায়ীদের সি.আর.পিতে ভূষিত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তিনি আরও বলেন, প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারের ফলে প্রাকৃতিক সম্পদ নিধন হ্রাস পাচ্ছে। এখন মানুষ প্লাস্টিকের আসবাবপত্র ব্যবহার করছে। প্লাস্টিকের ফল ব্যবহারের ফলে পরিবেশর কোন ক্ষতি হয় না। ব্যবহারের পর প্লাস্টিকের বর্জ্যটি যদি সঠিক স্থানে ফেলা হয় তাহলে পরিবেশ ভাল থাকে। মূলত ব্যবহারকারীদের সচেতনতার অভাবে প্লাস্টিক পণ্য পরিবেশ দূষিত করে। তিনি আরও বলেন, প্লাস্টিকের চাহিদা দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্লাস্টিক পণ্যের বর্জ্যও আজ রিসাইাক্লিং করে তার কাঁচামাল চায়নাতে রফতানি করা হচ্ছে। প্লাস্টিক শিল্পকে আরও উন্নত করতে সরকারের সহযোগিতা আশা করি। বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, বাণিজ্যমন্ত্রীও একজন ব্যবসায়ী, তাই টিপু মুনশীকে বাণিজ্যমন্ত্রী করায় আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আশা করি বর্তমান বাণিজ্যমন্ত্রী আমাদের প্লাস্টিক শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। তিনি এ সময় জানান, ২০২০ সালে আরও বড় পরিসরে ১২-১৫ ফেব্রুয়ারি প্লাস্টিক মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় প্রথমদিন থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক পণ্যের ক্রেতা ছিল সবচেয়ে বেশি। মেলার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার দর্শনার্থীর ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি।মূলত সাপ্তাহিক ছুটি থাকার কারণে মেলাতে প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড় ছিল। সরেজমিন মেলা ঘুরে দেখা যায়, এবার অস্ট্রেলিয়া, চায়না, মিসর, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়াসহ মোট ১৯ দেশের প্লাস্টিক পণ্য প্রদর্শন করেছে।
×