ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন উদ্যোগ উদ্বেগজনক

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২১ জানুয়ারি ২০১৯

নতুন উদ্যোগ উদ্বেগজনক

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র দফতর রবিবার বলেছে, ব্রেক্সিট ইস্যুতে পার্লামেন্ট সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা ‘খুবই উদ্বেগজনক’। পার্লামেন্ট সদস্যরা কমন্স সভার নিয়ম পরিবর্তনের চেষ্টা করছে বলে খবর বেরোনোর পর ডাউনিং স্ট্রিট এর তীব্র নিন্দা জানায়। এএফপি। মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নস্যাত করতে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ কমন্স সভার নিয়ম এমপিরা পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়ার কথা রবিবার কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ে একদল এমপির তৈরি করা বিলটি চলতি সপ্তাহেই উপস্থাপন করা হচ্ছে। ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে বলেছেন, ব্রিটিশ জনগণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে। নির্বাচিত রাজনীতিকদের উচিত জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখান। এই মুহূর্তে সরকারের ক্ষমতা ছেটে দেয়ার যে কোন উদ্যোগ খুবই উদ্বেগজনক। যেসব এমপি ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে ইচ্ছুক এই খবর তাদের জন্য একটি সতর্ক বার্তা। তারা এ সময়ে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করলে পার্লামেন্ট তাদের ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া বাতিল করে দিতে পারে। ব্রেক্সিট বিষয়ে নতুন পরিকল্পনা সম্পর্কে মে সোমবার এমপির অবহিত করবেন বলে কথা আছে। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে বিশাল ব্যবধানে (৪৩২-২০২ ভোটে) মে’র ব্রেক্সিট ডিলটি নাকচ হয়। তার নিজের কনজারভেটিভ পার্টিরই ১১৮ জন এমপি এর বিপক্ষে ভোট দেন। এ ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে তিনি নতুন করে কি ভাবছেন সেটি এমপিদের সামনে তুলে ধরবেন। পার্লামেন্টে নাকচ হওয়া ব্রেক্সিট চুক্তিতে যে বিষয়গুলো আছে সেগুলো হচ্ছে, ব্রিটেনে বসবাসরত ইউরোপীয় এবং ইউরোপে ছড়িয়ে থাকা ব্রিটিশ নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষা, অবাধ চলাচলের অধিকারের ইতি টানা ইত্যাদি। এদিকে এমপিরা নিজেদের জনসমর্থন যাচাই করার জন্য বিভিন্ন রকম সংশোধনী প্রস্তাব পার্লামেন্টে উপস্থাপনের জন্য তৈরি হচ্ছেন। গত সপ্তাহে ব্যাপক পরাজয়ের পর মে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এসব আলোচনা থেকে কি জানা গেছে সেটি তিনি মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্যদের শীঘ্রই অবগত করবেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী লিয়াম ফক্স সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইইউ ছাড়ার বিষয়ে এমপিরা যদি ২০১৬ সালের গণভোটের রায় বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হন তবে একটি ‘রাজনৈতিক সুনামি’ হয়ে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, যারা মে’কে নো ডিল বা চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের জন্য মে’র ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন তারা চরম নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিচ্ছেন। কারণ যেখানে আপনার দর কষাকষির সুযোগ আছে সেই সুযোগ কেন আপনি হাতছাড়া করবেন। ব্রেক্সিট বা যথা সময়ে ইইউ ছেড়ে আসার ফল কি হতে পারে সে বিষয়ে তিনি বলেন এটি পার্লামেন্ট ও জনগণের মধ্যে বিশাল শূন্যতা তৈরি করবে। রাজনৈতিক প্রক্রিয়াার ওপর তার কি প্রভাব পড়তে পারে তা নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন এখন সময় প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের। এদিকে মে’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিট পার্টির (ডিইউপি) সমর্থন নিশ্চিত করার জন্য সরকার আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্ত বিষয়ক একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করতে পারে। ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলেই এ সীমান্তে কাস্টমস চৌকি বসাতে হবে। আয়ারল্যান্ড আর উত্তর আয়াারল্যান্ডের মধ্যে যত মানুষ ও পণ্য এখন মুক্তভাবে চলাচল করে, তখন সেটি আর থাকবে না।
×