ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা

প্রকাশিত: ০৭:২৭, ২০ জানুয়ারি ২০১৯

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা

সিনিয়র শিক্ষক, আরামবাগ হাই স্কুল এন্ড কলেজ আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। e-mail: [email protected] (পর্ব - ৩৭ এর বাকী অংশ) বাংলাদেশের সাধারণ খাদ্যশস্যসমূহের খাদ্যমান বা পুষ্টিমানের উপর ভিত্তি করে এ ছকটি তৈরি করা হয়েছে। এটি The Institute of Nutrition and Food Science (INFS, 1975) কর্তৃক স্বীকৃত ও প্রকাশিত একটি ছক। প্রতি ১০০ গ্রাম গ্রহণযোগ্য খাদ্যাংশের ভিত্তিতে ক্যালরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। যে বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে তা হলো- খাদ্য তৈরি পরিবেশন ও গ্রহণের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা দৈনিক ৭-৮ গ্লাস পানি পান করা। পানি অবশ্যই ফুটিয়ে পান করতে হবে। টাটকা সবুজ শাকসবজি, মৌসুমি ফলমূল গ্রহণ। প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় এগুলো থাকা আবশ্যক। টিনজাত ও হিমায়িত শাকসবজি না খাওয়াই উত্তম। কাজ : শিক্ষার্থী তার ৭ দিনের গৃহীত খাদ্যের একটি তালিকা তৈরি করে এটিকে সুষম খাদ্যের সাথে তুলনা করে শ্রেণিতে উপস্থাপন করবে। পুষ্টির অভাবজনিত রোগ: রাতকানা (Night Blindness) : ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। সাধারণত দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের মধ্যে এ রোগ বেশি দেখা দেয়। চোখের সংবেদী ‘রড’ কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, স্বল্প আলোতে ভালো দেখা যায় না। চোখে সবকিছু ঝাপসা দেখা যায়। রোগটা বেড়ে গেলে কর্নিয়া ঘোলাটে হয়ে যায়। এগুলো রাতকানা রোগের লক্ষণ। ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন- মাছের যকৃতের তেল, কলিজা , সবুজ শাকসবজি, রঙিন ফল ও সবজি (পাকা আম ,কলা, মিষ্টি কুমড়া, গাজর ইত্যাদি ও মলা -ঢেলা মাছ খাওয়া, প্রয়েজনে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেতে দেওয়া। উক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে এ রোগ প্রতিরেধ করা সম্ভব। রিকেটস (Rikets) : এটি কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটিরিয়াজনিত রোগ নয়। ভিটামিন ‘ডি’ র অভাবে এ রোগ হয়। অন্ত্রে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষন, দাঁত ও হাড় গঠন প্রভৃতি শারীরবৃত্তীয় কাজে এ ভিটামিন প্রয়োজন। দুধ, মাখন, ডিম, কডলিভার তেল ও হাঙ্গরের তেলে প্রচুর ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির প্রভবে মানুষের ত্বকে এটি তৈরি হয়। দেহের হাড়গুলো দুর্বল হওয়া, গাট ফুলে যাওয়া, হাড়গুলো বিশেষ করে পায়ের হাড় বেঁকে যাওয়া অনেক সময় সরু হাড়গুলো ভাজ খেয়ে যাওয়া এ রোগের লক্ষণ। এছাড়া অনেক সময় দেহের কাঠামো ঠিক রাখা যায় নাহয়ে যায়। শিশুদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। নবজাতককে কিছুক্ষণ রোদে রাখা ভালো। এতে সূর্যালোকের অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি হয়। (পরবর্তীতে পুষ্টির অভাবজনিত রোগ (গলগন্ড ও রক্তশূন্যতা সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করা হবে।)
×